alt

সম্পাদকীয়

শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংকট নিরসন করুন

: শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মোমবাতি ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতে করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রেডিওলজি বিভাগের। গত তিন-চার দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সার্জারি ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে তারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেন না। মোম বা চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৬৮ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আর সংস্কার করা হয়নি। এজন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যবহৃত তার অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতও করা হয়েছে।

শেবাচিম দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বহু মানুষ এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বা যাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই- তাদের প্রধান ভরসা এ হাসপাতাল। এমন একটি হাসপাতালে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তাও আবার সার্জারি ও রেডিওলজি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগে।

হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বা বিতরণ ব্যবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে সেটাই কাম্য। সংযোগে কোথাও ত্রুটি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াই কর্তব্য। সেখানে কাজগুলো করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আছেন কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। থাকলে তারা কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত সচল করার কাজে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণ কী।

দিনের পর দিন হাসপাতালের একটা অংশ বিদ্যুৎবিহীন থাকে কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। আমরা বলতে চাই, শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ও চিকৎসক-নার্সদের সেবাদানের কাজকে মসৃণ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংকট নিরসন করুন

শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২

বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মোমবাতি ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতে করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রেডিওলজি বিভাগের। গত তিন-চার দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সার্জারি ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে তারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেন না। মোম বা চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে।

জানা যায়, ১৯৬৮ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আর সংস্কার করা হয়নি। এজন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যবহৃত তার অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতও করা হয়েছে।

শেবাচিম দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বহু মানুষ এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বা যাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই- তাদের প্রধান ভরসা এ হাসপাতাল। এমন একটি হাসপাতালে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তাও আবার সার্জারি ও রেডিওলজি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগে।

হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বা বিতরণ ব্যবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে সেটাই কাম্য। সংযোগে কোথাও ত্রুটি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াই কর্তব্য। সেখানে কাজগুলো করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আছেন কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। থাকলে তারা কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত সচল করার কাজে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণ কী।

দিনের পর দিন হাসপাতালের একটা অংশ বিদ্যুৎবিহীন থাকে কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। আমরা বলতে চাই, শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ও চিকৎসক-নার্সদের সেবাদানের কাজকে মসৃণ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই।

back to top