বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মোমবাতি ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতে করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রেডিওলজি বিভাগের। গত তিন-চার দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সার্জারি ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে তারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেন না। মোম বা চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৬৮ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আর সংস্কার করা হয়নি। এজন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যবহৃত তার অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতও করা হয়েছে।
শেবাচিম দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বহু মানুষ এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বা যাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই- তাদের প্রধান ভরসা এ হাসপাতাল। এমন একটি হাসপাতালে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তাও আবার সার্জারি ও রেডিওলজি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগে।
হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বা বিতরণ ব্যবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে সেটাই কাম্য। সংযোগে কোথাও ত্রুটি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াই কর্তব্য। সেখানে কাজগুলো করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আছেন কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। থাকলে তারা কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত সচল করার কাজে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণ কী।
দিনের পর দিন হাসপাতালের একটা অংশ বিদ্যুৎবিহীন থাকে কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। আমরা বলতে চাই, শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ও চিকৎসক-নার্সদের সেবাদানের কাজকে মসৃণ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই।
শনিবার, ১২ নভেম্বর ২০২২
বরিশালের শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পাঁচটি ইউনিট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। মোমবাতি ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসা চালাতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এতে করে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা, ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রেডিওলজি বিভাগের। গত তিন-চার দিন ধরেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সার্জারি ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের চারটি ওয়ার্ড।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে তারা ঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারছেন না। মোম বা চার্জার লাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে হচ্ছে।
জানা যায়, ১৯৬৮ সালে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আর সংস্কার করা হয়নি। এজন্য বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ব্যবহৃত তার অনেক ক্ষেত্রে নষ্ট হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিতও করা হয়েছে।
শেবাচিম দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বহু মানুষ এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবার ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ বা যাদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই- তাদের প্রধান ভরসা এ হাসপাতাল। এমন একটি হাসপাতালে দিনের পর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। তাও আবার সার্জারি ও রেডিওলজি বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগে।
হাসপাতাল রক্ষণাবেক্ষণের কাজের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ সংযোগ বা বিতরণ ব্যবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা হবে সেটাই কাম্য। সংযোগে কোথাও ত্রুটি থাকলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়াই কর্তব্য। সেখানে কাজগুলো করা হয়েছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ আছেন কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব। থাকলে তারা কতটা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত সচল করার কাজে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণ কী।
দিনের পর দিন হাসপাতালের একটা অংশ বিদ্যুৎবিহীন থাকে কী করে সেটা ভেবে আমরা বিস্মিত হই। আমরা বলতে চাই, শেবাচিম হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীদের ভোগান্তি দূর করতে ও চিকৎসক-নার্সদের সেবাদানের কাজকে মসৃণ করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের বিকল্প নেই।