alt

সম্পাদকীয়

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগের সুরাহা করুন

: রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। এই খাতে চাঁদাবাজি শুরু হয় সড়কে গাড়ি নামানোর আগেই। আর সড়কে গাড়ি চালাতে হলে তো নিয়মিতই চাঁদা দিতে হয়। রসিদ কেটে চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদাবাজির জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকেই দায়ী করা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা এই অভিযোগ করেছে। এবার অভিযোগ করল পরিবহন শ্রমিক লীগ।

গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগ সভাপতি বলেন, পরিবহন খাতে বছরে ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা দিয়ে কী করা হয়। এই টাকা কোন শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানা যায় না। চাঁদার টাকা পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগলেও এর যৌক্তিকতা বোঝা যেত। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের পেছনে চাঁদাবাজির গভীর প্রভাব রয়েছে। যারা চাঁদা দেয় তারা সড়কে পরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। আর যারা চাঁদা আদায় করে তারা আইন বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এভাবেই তৈরি হয়েছে এক দুষ্টচক্র।

শুধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একটি গোষ্ঠীই যে চাঁদাবাজি করছে তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করে বলে অতীতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনও করতে দেখা গেছে।

চাঁদাবাজির দুষ্টচক্রের খেসারত দিতে হয় যাত্রী সাধারণকে। শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ঘাড়েই চাঁদার বোঝা চাপে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও তারা কাক্সিক্ষত সেবা পায় না। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে শুধু বাসের ভাড়াই বাড়ে না, পণ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে যায়।

পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খল করার প্রশ্নে চাঁদাবাজি বন্ধের বিকল্প নেই। কারা চাঁদাবাজি করে সেটা সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া। চাঁদাবাজির দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। তাহলে পরিবহন শ্রমিকদের মঙ্গল হবে, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগের সুরাহা করুন

রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। এই খাতে চাঁদাবাজি শুরু হয় সড়কে গাড়ি নামানোর আগেই। আর সড়কে গাড়ি চালাতে হলে তো নিয়মিতই চাঁদা দিতে হয়। রসিদ কেটে চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদাবাজির জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকেই দায়ী করা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা এই অভিযোগ করেছে। এবার অভিযোগ করল পরিবহন শ্রমিক লীগ।

গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগ সভাপতি বলেন, পরিবহন খাতে বছরে ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা দিয়ে কী করা হয়। এই টাকা কোন শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানা যায় না। চাঁদার টাকা পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগলেও এর যৌক্তিকতা বোঝা যেত। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।

পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের পেছনে চাঁদাবাজির গভীর প্রভাব রয়েছে। যারা চাঁদা দেয় তারা সড়কে পরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। আর যারা চাঁদা আদায় করে তারা আইন বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এভাবেই তৈরি হয়েছে এক দুষ্টচক্র।

শুধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একটি গোষ্ঠীই যে চাঁদাবাজি করছে তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করে বলে অতীতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনও করতে দেখা গেছে।

চাঁদাবাজির দুষ্টচক্রের খেসারত দিতে হয় যাত্রী সাধারণকে। শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ঘাড়েই চাঁদার বোঝা চাপে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও তারা কাক্সিক্ষত সেবা পায় না। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে শুধু বাসের ভাড়াই বাড়ে না, পণ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে যায়।

পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খল করার প্রশ্নে চাঁদাবাজি বন্ধের বিকল্প নেই। কারা চাঁদাবাজি করে সেটা সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া। চাঁদাবাজির দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। তাহলে পরিবহন শ্রমিকদের মঙ্গল হবে, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।

back to top