পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। এই খাতে চাঁদাবাজি শুরু হয় সড়কে গাড়ি নামানোর আগেই। আর সড়কে গাড়ি চালাতে হলে তো নিয়মিতই চাঁদা দিতে হয়। রসিদ কেটে চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদাবাজির জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকেই দায়ী করা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা এই অভিযোগ করেছে। এবার অভিযোগ করল পরিবহন শ্রমিক লীগ।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগ সভাপতি বলেন, পরিবহন খাতে বছরে ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা দিয়ে কী করা হয়। এই টাকা কোন শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানা যায় না। চাঁদার টাকা পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগলেও এর যৌক্তিকতা বোঝা যেত। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের পেছনে চাঁদাবাজির গভীর প্রভাব রয়েছে। যারা চাঁদা দেয় তারা সড়কে পরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। আর যারা চাঁদা আদায় করে তারা আইন বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এভাবেই তৈরি হয়েছে এক দুষ্টচক্র।
শুধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একটি গোষ্ঠীই যে চাঁদাবাজি করছে তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করে বলে অতীতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনও করতে দেখা গেছে।
চাঁদাবাজির দুষ্টচক্রের খেসারত দিতে হয় যাত্রী সাধারণকে। শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ঘাড়েই চাঁদার বোঝা চাপে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও তারা কাক্সিক্ষত সেবা পায় না। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে শুধু বাসের ভাড়াই বাড়ে না, পণ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে যায়।
পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খল করার প্রশ্নে চাঁদাবাজি বন্ধের বিকল্প নেই। কারা চাঁদাবাজি করে সেটা সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া। চাঁদাবাজির দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। তাহলে পরিবহন শ্রমিকদের মঙ্গল হবে, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।
রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির অভিযোগ নতুন নয়। এই খাতে চাঁদাবাজি শুরু হয় সড়কে গাড়ি নামানোর আগেই। আর সড়কে গাড়ি চালাতে হলে তো নিয়মিতই চাঁদা দিতে হয়। রসিদ কেটে চাঁদা আদায় করা হয়। আর চাঁদাবাজির জন্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোকেই দায়ী করা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা এই অভিযোগ করেছে। এবার অভিযোগ করল পরিবহন শ্রমিক লীগ।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক লীগ সভাপতি বলেন, পরিবহন খাতে বছরে ৪ হাজার ১৫ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এই চাঁদা আদায় করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, চাঁদার টাকা দিয়ে কী করা হয়। এই টাকা কোন শ্রমিকের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে বলে জানা যায় না। চাঁদার টাকা পরিবহন শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগলেও এর যৌক্তিকতা বোঝা যেত। অভিযোগ রয়েছে যে, চাঁদাবাজির মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
পরিবহন খাতে নৈরাজ্যের পেছনে চাঁদাবাজির গভীর প্রভাব রয়েছে। যারা চাঁদা দেয় তারা সড়কে পরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। আর যারা চাঁদা আদায় করে তারা আইন বাস্তবায়নে বাধা দেয়। এভাবেই তৈরি হয়েছে এক দুষ্টচক্র।
শুধু পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একটি গোষ্ঠীই যে চাঁদাবাজি করছে তা নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক শ্রেণীর সদস্যও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি করে বলে অতীতে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনও করতে দেখা গেছে।
চাঁদাবাজির দুষ্টচক্রের খেসারত দিতে হয় যাত্রী সাধারণকে। শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ঘাড়েই চাঁদার বোঝা চাপে। বাড়তি ভাড়া দিয়েও তারা কাক্সিক্ষত সেবা পায় না। পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে শুধু বাসের ভাড়াই বাড়ে না, পণ্যদ্রব্যের দামও বেড়ে যায়।
পরিবহন খাতকে সুশৃঙ্খল করার প্রশ্নে চাঁদাবাজি বন্ধের বিকল্প নেই। কারা চাঁদাবাজি করে সেটা সংশ্লিষ্টদের অজানা নয়। জরুরি হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া। চাঁদাবাজির দুষ্টচক্র ভাঙতে হবে। তাহলে পরিবহন শ্রমিকদের মঙ্গল হবে, সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে।