দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। তবে কেবল শিশুরাই যে এই রোগে আক্রান্ত হয় তা নয়। নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও। যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও’।
এক হিসাব অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ২৪ হাজার ৩০০ শিশু। এই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সেবা নেওয়া বা আদৌ কোনো চিকিৎসাসেবা না নেওয়া অনেক শিশুই এ হিসাবের বাইরে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কত সংখ্যক শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায় না।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা রয়েছে। তারপরও এত বেশিসংখ্যক শিশু কেন এই রোগে মারা যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অভিভাবক রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে দেরি করেন। এসব অভিভাবকদের একটি অংশ মনে করেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন চিকিৎসা ছাড়াই শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। অভিভাবকদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করা গেলে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। দেশের অনেক শিশু এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যাও অনেক। এক হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে ৫০ শতাংশ শিশু। নিউমোনিয়ার এসব কারণ দূর করা গেলে রোগটিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রান্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। চিকিৎসার উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। প্রশিক্ষিত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য জনবল গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিউমোনিয়ায় মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। তবে কেবল শিশুরাই যে এই রোগে আক্রান্ত হয় তা নয়। নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও। যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও’।
এক হিসাব অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ২৪ হাজার ৩০০ শিশু। এই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সেবা নেওয়া বা আদৌ কোনো চিকিৎসাসেবা না নেওয়া অনেক শিশুই এ হিসাবের বাইরে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কত সংখ্যক শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায় না।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা রয়েছে। তারপরও এত বেশিসংখ্যক শিশু কেন এই রোগে মারা যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অভিভাবক রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে দেরি করেন। এসব অভিভাবকদের একটি অংশ মনে করেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন চিকিৎসা ছাড়াই শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। অভিভাবকদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করা গেলে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। দেশের অনেক শিশু এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যাও অনেক। এক হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে ৫০ শতাংশ শিশু। নিউমোনিয়ার এসব কারণ দূর করা গেলে রোগটিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রান্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। চিকিৎসার উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। প্রশিক্ষিত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য জনবল গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিউমোনিয়ায় মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।