কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নানান হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে পৌঁছায়। কৃষক যে দামে বিক্রি করেন আর ভোক্তা যে দামে কেনেন তার মধ্যে বেশ ব্যবধান থাকে। কখনো কখনো এই ব্যবধানের হিসাব উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপণন খরচ দিয়ে মেলানো যায় না। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে ভোক্তাকে বাড়তি মূল্যে পণ্য কিনতে হয়। এবার ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করলেন।
কাঁচাপণ্যের আড়তদার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ের দামে। গত মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্সের প্রথম সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিও করেছেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সবজির বিপণনে কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিবহন চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।’
চাঁদা আদায় করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বা পণ্য পরিবহনে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত এর খেসারত দিতে হয় ভোক্তাদেরই। ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ ঠিকই তুলে নেন। এজন্য তাদের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। আর ভোক্তাদের নিরুপায় হয়ে বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।
চাঁদাবাজির সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানেন, নীতি-নির্ধারকরাও জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের এই সমস্যা সমাধান করার কথা তারা এটা জানেন কিনা। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে চাঁদাবাজি চলতে পারত না।
সমস্যা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগীরা এ কারণে অতীতে সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করলে কখনো কখনো চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলা হয়। তবে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
আমরা বলতে চাই পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সেটাই কাম্য। চাঁদাবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২
কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নানান হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে পৌঁছায়। কৃষক যে দামে বিক্রি করেন আর ভোক্তা যে দামে কেনেন তার মধ্যে বেশ ব্যবধান থাকে। কখনো কখনো এই ব্যবধানের হিসাব উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপণন খরচ দিয়ে মেলানো যায় না। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে ভোক্তাকে বাড়তি মূল্যে পণ্য কিনতে হয়। এবার ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করলেন।
কাঁচাপণ্যের আড়তদার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ের দামে। গত মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্সের প্রথম সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিও করেছেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সবজির বিপণনে কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিবহন চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।’
চাঁদা আদায় করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বা পণ্য পরিবহনে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত এর খেসারত দিতে হয় ভোক্তাদেরই। ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ ঠিকই তুলে নেন। এজন্য তাদের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। আর ভোক্তাদের নিরুপায় হয়ে বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।
চাঁদাবাজির সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানেন, নীতি-নির্ধারকরাও জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের এই সমস্যা সমাধান করার কথা তারা এটা জানেন কিনা। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে চাঁদাবাজি চলতে পারত না।
সমস্যা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগীরা এ কারণে অতীতে সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করলে কখনো কখনো চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলা হয়। তবে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
আমরা বলতে চাই পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সেটাই কাম্য। চাঁদাবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।