alt

সম্পাদকীয়

পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নানান হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে পৌঁছায়। কৃষক যে দামে বিক্রি করেন আর ভোক্তা যে দামে কেনেন তার মধ্যে বেশ ব্যবধান থাকে। কখনো কখনো এই ব্যবধানের হিসাব উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপণন খরচ দিয়ে মেলানো যায় না। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে ভোক্তাকে বাড়তি মূল্যে পণ্য কিনতে হয়। এবার ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করলেন।

কাঁচাপণ্যের আড়তদার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ের দামে। গত মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্সের প্রথম সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিও করেছেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সবজির বিপণনে কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিবহন চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।’

চাঁদা আদায় করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বা পণ্য পরিবহনে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত এর খেসারত দিতে হয় ভোক্তাদেরই। ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ ঠিকই তুলে নেন। এজন্য তাদের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। আর ভোক্তাদের নিরুপায় হয়ে বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।

চাঁদাবাজির সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানেন, নীতি-নির্ধারকরাও জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের এই সমস্যা সমাধান করার কথা তারা এটা জানেন কিনা। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে চাঁদাবাজি চলতে পারত না।

সমস্যা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগীরা এ কারণে অতীতে সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করলে কখনো কখনো চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলা হয়। তবে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

আমরা বলতে চাই পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সেটাই কাম্য। চাঁদাবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করুন

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

কৃষকের উৎপাদিত পণ্য নানান হাত ঘুরে ভোক্তার হাতে পৌঁছায়। কৃষক যে দামে বিক্রি করেন আর ভোক্তা যে দামে কেনেন তার মধ্যে বেশ ব্যবধান থাকে। কখনো কখনো এই ব্যবধানের হিসাব উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপণন খরচ দিয়ে মেলানো যায় না। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ রয়েছে, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কারণে ভোক্তাকে বাড়তি মূল্যে পণ্য কিনতে হয়। এবার ব্যবসায়ীরাও একই অভিযোগ করলেন।

কাঁচাপণ্যের আড়তদার এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সড়ক পথে চাঁদাবাজির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ভোক্তা পর্যায়ের দামে। গত মঙ্গলবার এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন কাঁচামাল আড়তদার, মার্কেটিং অ্যান্ড সাপ্লায়ার্সের প্রথম সভায় তারা এই অভিযোগ করেন। ব্যবসায়ীরা পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিও করেছেন। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যেও পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজির কথা উঠে এসেছে। তিনি বলেছিলেন, ‘সবজির বিপণনে কিছুটা সমস্যা রয়েছে পরিবহন চাঁদাবাজি, মধ্যস্বত্বভোগীসহ অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতে পারলে সবজির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হবে।’

চাঁদা আদায় করা হয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বা পণ্য পরিবহনে যুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। তবে শেষ পর্যন্ত এর খেসারত দিতে হয় ভোক্তাদেরই। ব্যবসায়ীরা তাদের খরচ ঠিকই তুলে নেন। এজন্য তাদের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করতে হয়। আর ভোক্তাদের নিরুপায় হয়ে বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়।

চাঁদাবাজির সমস্যার কথা ব্যবসায়ীরা জানেন, নীতি-নির্ধারকরাও জানেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যাদের এই সমস্যা সমাধান করার কথা তারা এটা জানেন কিনা। অভিযোগ রয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে চাঁদাবাজি চলতে পারত না।

সমস্যা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধেও প্রায়ই চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন। ভুক্তভোগীরা এ কারণে অতীতে সরকারের হস্তক্ষেপও কামনা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। মূল্যস্ফীতি চরম আকার ধারণ করলে কখনো কখনো চাঁদাবাজি বন্ধের কথা বলা হয়। তবে টেকসই পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

আমরা বলতে চাই পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সেটাই কাম্য। চাঁদাবাজ যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top