alt

সম্পাদকীয়

বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, সতর্ক থাকতে হবে

: শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

মৌসুম বদলাচ্ছে। দেশের অনেক স্থানেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মৌসুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। বাগেরহাটের পাশাপাশি আরও অনেক জেলাতেও ঠান্ডাজনিত রোগের বিস্তার ঘটছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো এই মৌসুমে সক্রিয় হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা মানুষ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এতে বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ চলছেই। দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণও কমবেশি আছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

অনেক হাসপাতালই ডেঙ্গুরোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। এর সঙ্গে যদি ঠান্ডাজনিত রোগ যুক্ত হয় তাহলে চিকিৎসা খাতের ওপর চাপ বাড়বে। হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুক সক্ষমতা আছে ততটুকুই যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রোগীদের চিকিৎসায় যেন ত্রুটি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক চিকিৎসা পেলে একদিকে রোগীরা দ্রুত রোগমুক্ত হয়। এর ফলে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভিড়ও কমে।

মানুষ যেন সাধারণ সর্দি-কাশিতে উদ্বিগ্ন হয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতেই নিশ্চিত করা যায়। যাদের অবস্থা গুরুতর নয় তারা যেন বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সতর্ক থাকলে সহজেই ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যারা ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ, সতর্ক থাকতে হবে

শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২

মৌসুম বদলাচ্ছে। দেশের অনেক স্থানেই শীত অনুভূত হচ্ছে। মৌসুম বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ। গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদ-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। বাগেরহাটের পাশাপাশি আরও অনেক জেলাতেও ঠান্ডাজনিত রোগের বিস্তার ঘটছে বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় বাতাস অনেক বেশি শুষ্ক থাকে। কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো এই মৌসুমে সক্রিয় হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই শ্বাসতন্ত্রে চলে যায়। তাই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা মানুষ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কিউলাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। আর এতে বয়স্ক ও শিশুরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য প্রায়ই হাসপাতালে যেতে হয়। বিশেষ করে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া জরুরি হয়ে পড়ে।

দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ চলছেই। দেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের চেম্বারে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণও কমবেশি আছে। এমন পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

অনেক হাসপাতালই ডেঙ্গুরোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক হাসপাতালেই রোগীদের ভিড় সামলানোর সক্ষমতা নেই। এর সঙ্গে যদি ঠান্ডাজনিত রোগ যুক্ত হয় তাহলে চিকিৎসা খাতের ওপর চাপ বাড়বে। হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু যতটুক সক্ষমতা আছে ততটুকুই যেন সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। রোগীদের চিকিৎসায় যেন ত্রুটি না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক চিকিৎসা পেলে একদিকে রোগীরা দ্রুত রোগমুক্ত হয়। এর ফলে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভিড়ও কমে।

মানুষ যেন সাধারণ সর্দি-কাশিতে উদ্বিগ্ন হয়ে না পড়ে সেজন্য তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা বাড়িতেই নিশ্চিত করা যায়। যাদের অবস্থা গুরুতর নয় তারা যেন বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা নেয় সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সতর্ক থাকলে সহজেই ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। যারা ঠান্ডাজনিত রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের যতটা সম্ভব দূষণমুক্ত পরিবেশে থাকতে হবে।

back to top