দেশে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো বড় একটি সমস্যা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনো দেশের ১৪ শতাংশ মানুষকে বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্সেনিক রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। অবশ্য সরকারের এই তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেন। তাদের মতে, প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা নিরাপদ বলে গণ্য হবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে বাংলাদেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছিল যে, ২০১১ সালের মধ্যে আর্সেনিকের সমস্যা সমাধান করে সবার জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
এটা সত্য যে গত দুই দশকে আর্সেনিক দূষণের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমেছে। এতে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। জনসাধারণ এ বিষয়ে সচেতন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারত। যে গতিতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ এগোচ্ছে তাতে লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কেবল পানির যোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। কেননা খাবার পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
দেশে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো বড় একটি সমস্যা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনো দেশের ১৪ শতাংশ মানুষকে বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্সেনিক রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। অবশ্য সরকারের এই তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেন। তাদের মতে, প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা নিরাপদ বলে গণ্য হবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে বাংলাদেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছিল যে, ২০১১ সালের মধ্যে আর্সেনিকের সমস্যা সমাধান করে সবার জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।
এটা সত্য যে গত দুই দশকে আর্সেনিক দূষণের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমেছে। এতে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। জনসাধারণ এ বিষয়ে সচেতন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারত। যে গতিতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ এগোচ্ছে তাতে লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কেবল পানির যোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। কেননা খাবার পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।