alt

সম্পাদকীয়

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

: রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২

দেশে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো বড় একটি সমস্যা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনো দেশের ১৪ শতাংশ মানুষকে বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্সেনিক রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। অবশ্য সরকারের এই তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেন। তাদের মতে, প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা নিরাপদ বলে গণ্য হবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে তারা মনে করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে বাংলাদেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছিল যে, ২০১১ সালের মধ্যে আর্সেনিকের সমস্যা সমাধান করে সবার জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।

এটা সত্য যে গত দুই দশকে আর্সেনিক দূষণের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমেছে। এতে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। জনসাধারণ এ বিষয়ে সচেতন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারত। যে গতিতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ এগোচ্ছে তাতে লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কেবল পানির যোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। কেননা খাবার পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২

দেশে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার পথে আর্সেনিক এখনো বড় একটি সমস্যা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনো দেশের ১৪ শতাংশ মানুষকে বাধ্য হয়ে এমন পানি পান করতে হচ্ছে যাতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ আর্সেনিক রয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা অর্ধেক কমেছে। অবশ্য সরকারের এই তথ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সংশয় প্রকাশ করেন। তাদের মতে, প্রতি লিটার পানিতে কী পরিমাণ আর্সেনিক থাকলে তা নিরাপদ বলে গণ্য হবে, সেটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মান এবং দেশীয় মানের মধ্যে বেশ পার্থক্য রয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বিবেচনা করলে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপের সংখ্যা সরকারের দেয়া হিসাবের চেয়ে বেশি হতে পারে বলে তারা মনে করেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা দশমিক শূন্য ১ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে বাংলাদেশে নির্ধারিত মান অনুযায়ী, প্রতি লিটার পানিতে আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা হচ্ছে দশমিক শূন্য ৫ মিলিগ্রাম।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছিল যে, ২০১১ সালের মধ্যে আর্সেনিকের সমস্যা সমাধান করে সবার জন্য নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনো চাহিদা অনুযায়ী নিরাপদ পানি পাচ্ছে না।

এটা সত্য যে গত দুই দশকে আর্সেনিক দূষণের পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। দেশে অগভীর নলকূপের সংখ্যা কমেছে। এতে আর্সেনিক দূষণের শঙ্কা কমেছে। জনসাধারণ এ বিষয়ে সচেতন হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি আরও ভালো হতে পারত। যে গতিতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপের কাজ এগোচ্ছে তাতে লক্ষ্য পূরণ করতে হলে এক যুগেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে কেউ কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ খাবার পানি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কেবল পানির যোগান নিশ্চিত করলেই চলে না, পানিকে অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে। কেননা খাবার পানি যদি নিরাপদ না হয় তাহলে মানুষের সামগ্রিক জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার আরও জোরদার প্রচেষ্টা চালাবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

back to top