alt

সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

: সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। গত শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে জীবাণু শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অতীতে গবেষণায় দেখা গেছে যে, দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ওষুধ প্রশাসন, আইসিডিডিআর,বি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।

এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এ কারণে অনেক শিশু মারাও যাচ্ছে। আইসিডিডিআর,বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

দীর্ঘকাল ধরেই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। অবশ্য সারা পৃথিবীই এ সমস্যায় ভুগছে। বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এ সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সম্পর্কে এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদে মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।

ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। একশ্রেণির রোগী বা রোগীর স্বজন, কোনো কোনো ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জোরদার মনিটরিং চালাতে হবে। যারা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনা গড়ে তুলতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোনো কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। কাজেই অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা যেমন জরুরি, এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে

সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার হচ্ছে বলে প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়। গত শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বক্তারা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে জীবাণু শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অতীতে গবেষণায় দেখা গেছে যে, দেশে শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ, মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ, কানের রোগ, টাইফয়েড, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, গনোরিয়া, সিফিলিসের চিকিৎসায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, ওষুধ প্রশাসন, আইসিডিডিআর,বি, গ্লোবাল অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স ও দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ ডিনামিক্স, ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিসির দেয়া যৌথ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছিল।

এছাড়া নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে রোগজীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এ কারণে অনেক শিশু মারাও যাচ্ছে। আইসিডিডিআর,বি ও ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল (এমজিএইচ) পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

দীর্ঘকাল ধরেই বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে, ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে উঠলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। অবশ্য সারা পৃথিবীই এ সমস্যায় ভুগছে। বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এ সমস্যা ইতোমধ্যে শেকড় গেড়ে বসেছে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার সম্পর্কে এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে করোনা মহামারীর চেয়েও ভয়াবহ বিপদে মুখে পড়তে হতে পারে মানবজাতিকে।

ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী হয়ে ওঠার বড় একটি কারণ হচ্ছে এর যথেচ্ছ ব্যবহার। একশ্রেণির রোগী বা রোগীর স্বজন, কোনো কোনো ওষুধ বিক্রেতার বিরুদ্ধে খেয়ালখুশিমতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিপজ্জনক প্রবণতা কঠোরভাবে বন্ধ করা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক যেন বিক্রি করা না হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জোরদার মনিটরিং চালাতে হবে। যারা ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

যেসব রোগের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার জরুরি সেসব ক্ষেত্রে যেন নিয়ম ও মাত্রা মেনে ওষুধ গ্রহণ করা হয় সে সম্পর্কে সচেতনা গড়ে তুলতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের নিয়ম যথার্থভাবে না মানা হলে সংশ্লিষ্ট রোগীর শরীরে কোনো কোন অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে। কাজেই অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধ করা যেমন জরুরি, এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও তেমন গুরুত্বপূর্ণ।

back to top