রংপুরের পীরগাছায় আগাম জাতের আলুর বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে বীজ। ফলে স্থানীয় বাজারে চলছে বীজের কৃত্রিম সংকট। জমি চাষ দিয়ে উপযোগী করলেও বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা আলু রোপণ করতে পারছেন না। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের আগাম জাতের আলু বীজ রয়েছে। তবে কৃষক ভালো ফলনের আশায় বেসরকারি বীজের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। কিন্তু বাজারে চাহিদামতো বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্র্যাক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করছে না। তাদের কাছ থেকে এক শ্রেণির দালাল ও ফরিয়ারা বীজ কিনে নিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
কোম্পানির নির্ধরিত মূল্য- আলুর কার্টুন ৮ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫০ টাকা বলে জানা গেছে। কিন্তু ডিলাররা কার্টুন ১০-১১ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫৮-৬০ টাকা বিক্রি করছেন। আলু বীজের সংকট থাকলে এর উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বীজ বেসরকারি হোক আর সরকারি হোক সেটা যদি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হয় তাহলে এর দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না। এক শ্রেণির ডিলার, দালাল এবং ফরিয়া কারসাজি করে আলু বীজের সংকট তৈরি করেছে। কৃষি অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন। আসলেই কি বীজ সংকট দেখা দিয়েছে নাকি সংকট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতেই আলুর বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, বেশি দাম দিলে পাওয়া যায়; গলদটা কোথায় সেটা খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। কোনো পণ্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তারা জারিমানা করতে পারে।
আমরা চাই, যে কোন উপায়ে বীজ সংকট দূর করা হোক। বিএডিসির বীজ পর্যাপ্ত সরবরাহ করা গেলে একটা ভারসাম্য আসতে পারে। শুধু বীজই নয়, প্রায়ই দেখা যায়- কৃষক চাষাবাদ করতে গিয়ে সার, সেচ, জলাবদ্ধতাসহ নানান সংকটে পড়েন। এসব সংকট নিরসনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটাই কাম্য।
মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২
রংপুরের পীরগাছায় আগাম জাতের আলুর বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে বীজ। ফলে স্থানীয় বাজারে চলছে বীজের কৃত্রিম সংকট। জমি চাষ দিয়ে উপযোগী করলেও বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা আলু রোপণ করতে পারছেন না। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, বাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের আগাম জাতের আলু বীজ রয়েছে। তবে কৃষক ভালো ফলনের আশায় বেসরকারি বীজের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। কিন্তু বাজারে চাহিদামতো বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্র্যাক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করছে না। তাদের কাছ থেকে এক শ্রেণির দালাল ও ফরিয়ারা বীজ কিনে নিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
কোম্পানির নির্ধরিত মূল্য- আলুর কার্টুন ৮ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫০ টাকা বলে জানা গেছে। কিন্তু ডিলাররা কার্টুন ১০-১১ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫৮-৬০ টাকা বিক্রি করছেন। আলু বীজের সংকট থাকলে এর উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বীজ বেসরকারি হোক আর সরকারি হোক সেটা যদি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হয় তাহলে এর দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না। এক শ্রেণির ডিলার, দালাল এবং ফরিয়া কারসাজি করে আলু বীজের সংকট তৈরি করেছে। কৃষি অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন। আসলেই কি বীজ সংকট দেখা দিয়েছে নাকি সংকট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতেই আলুর বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, বেশি দাম দিলে পাওয়া যায়; গলদটা কোথায় সেটা খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। কোনো পণ্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তারা জারিমানা করতে পারে।
আমরা চাই, যে কোন উপায়ে বীজ সংকট দূর করা হোক। বিএডিসির বীজ পর্যাপ্ত সরবরাহ করা গেলে একটা ভারসাম্য আসতে পারে। শুধু বীজই নয়, প্রায়ই দেখা যায়- কৃষক চাষাবাদ করতে গিয়ে সার, সেচ, জলাবদ্ধতাসহ নানান সংকটে পড়েন। এসব সংকট নিরসনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটাই কাম্য।