লোকবল ও ট্রেন সংকটের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশন। শুধু স্টেশনই নয়, বন্ধ রয়েছে খুলনা, রাজশাহী থেকে চলাচলকারী কয়েকটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনও। ফলে এ পথে সরাসরি যাতায়াতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী শিলিগুড়ি ট্রেনটিও। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে শুধু যে এই একটি রেলস্টেশন বন্ধ হয়েছে তা নয়। এ পর্যন্ত দেশে রেলওয়ের ১১৬টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭০টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে রেওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে। আর পূর্বাঞ্চলে বন্ধ হয়েছে ৪৬টি। শুধু স্টেশনই নয় করোনা মহামারীর সময় বন্ধ হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ১৪টি রুটের ৪২টি লোকাল ট্রেনও। স্টেশন ও ট্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেমনটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে গোয়ালন্দ রেলপথ দিয়ে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। এর মাধ্যমে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
সরকার বর্তমানে রেল খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩০ বছর মেয়াদি (২০১৬-৪৫) সংশোধিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, নতুন নতুন রেলপথ তৈরি করছে। এর মধ্যেই আবার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বহু স্টেশন ও রেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মান বাড়ছে না যাত্রীসেবারও।
ট্রেনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী চলাচল করতে পারে। তাছাড়া ট্রেনে পরিবহন খরচ সড়কপথের চেয়ে অনেক কম, দুর্ঘটনার ভয় নেই বললেই চলে। সাশ্রয়ী বলে সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াতে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কম খরচে পণ্য পরিবহনের সুবিধাও রয়েছে। এজন্যই যাতায়াত ও যোগাযোগে এগিয়ে থাকা দেশগুলো রেলপথকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাত্রীভাড়া কমিয়ে ও সেবা বাড়িয়ে রেল খাতকে লাভজনক খাতে পরিণত করা হয়েছে। মালামাল পরিবহনের উন্নয়ন ঘটিয়ে রেলের আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর দেশে নানা অজুহাতে দিন দিন স্টেশন ও ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।
রেলের সেবা সংকুচিত নয়, আরও বিস্তৃত করতে হবে। যাত্রী সাধারণকে রেল যাতায়াতের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রেলে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে, ট্রেন সংকটের অবসান ঘটাতে হবে। বিদ্যমান যে লাইনগুলো আছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। বন্ধ থাকা ট্রেন ও স্টেশনগুলো চালু করতে হবে। গোয়ালন্দে যে স্টেশন ও ট্রেন চালুর দাবি করা হয়েছে, তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
বুধবার, ২৩ নভেম্বর ২০২২
লোকবল ও ট্রেন সংকটের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশন। শুধু স্টেশনই নয়, বন্ধ রয়েছে খুলনা, রাজশাহী থেকে চলাচলকারী কয়েকটি আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনও। ফলে এ পথে সরাসরি যাতায়াতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী শিলিগুড়ি ট্রেনটিও। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে শুধু যে এই একটি রেলস্টেশন বন্ধ হয়েছে তা নয়। এ পর্যন্ত দেশে রেলওয়ের ১১৬টি স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭০টি স্টেশন বন্ধ হয়েছে রেওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে। আর পূর্বাঞ্চলে বন্ধ হয়েছে ৪৬টি। শুধু স্টেশনই নয় করোনা মহামারীর সময় বন্ধ হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ১৪টি রুটের ৪২টি লোকাল ট্রেনও। স্টেশন ও ট্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যেমনটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে গোয়ালন্দ রেলপথ দিয়ে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। এর মাধ্যমে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দুর্দশার করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে।
সরকার বর্তমানে রেল খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩০ বছর মেয়াদি (২০১৬-৪৫) সংশোধিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, নতুন নতুন রেলপথ তৈরি করছে। এর মধ্যেই আবার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। বহু স্টেশন ও রেল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মান বাড়ছে না যাত্রীসেবারও।
ট্রেনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী চলাচল করতে পারে। তাছাড়া ট্রেনে পরিবহন খরচ সড়কপথের চেয়ে অনেক কম, দুর্ঘটনার ভয় নেই বললেই চলে। সাশ্রয়ী বলে সাধারণ মানুষ ট্রেনে যাতায়াতে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কম খরচে পণ্য পরিবহনের সুবিধাও রয়েছে। এজন্যই যাতায়াত ও যোগাযোগে এগিয়ে থাকা দেশগুলো রেলপথকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাত্রীভাড়া কমিয়ে ও সেবা বাড়িয়ে রেল খাতকে লাভজনক খাতে পরিণত করা হয়েছে। মালামাল পরিবহনের উন্নয়ন ঘটিয়ে রেলের আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর দেশে নানা অজুহাতে দিন দিন স্টেশন ও ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে।
রেলের সেবা সংকুচিত নয়, আরও বিস্তৃত করতে হবে। যাত্রী সাধারণকে রেল যাতায়াতের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য রেলে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিতে হবে, ট্রেন সংকটের অবসান ঘটাতে হবে। বিদ্যমান যে লাইনগুলো আছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার করতে হবে। বন্ধ থাকা ট্রেন ও স্টেশনগুলো চালু করতে হবে। গোয়ালন্দে যে স্টেশন ও ট্রেন চালুর দাবি করা হয়েছে, তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে সেটা আমাদের প্রত্যাশা।