alt

সম্পাদকীয়

মীরসরাইয়ে বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা চালু করা হোক

: রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চাষের অন্যতম বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম)। এক সময় এ সেচ ব্যবস্থাপনায় হাজার একর জমি, শুকনো মৌসুমে ইরি ও শাকসবজি চাষাবাদ হতো। এখন সেচের অভাবে ধান ছাড়া অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষিকাজে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৫ বছর আগে মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮টি পানির সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম) দিয়েছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এগুলোর মধ্যে এখন মাত্র ৪ টি সচল রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ হয়ে থাকে স্কিমের পানি দিয়ে। স্কিমগুলো সচল থাকলে চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হতো। এগুলো চালু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক।

বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্কিমে কিছু পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। আর কিছু পাম্প চালু করছে না স্কিম পরিচালকরা। এছাড়া সড়কের কাজ করতে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেন ভেঙে ফেলেছে এলজিইডি।

বৈশ্বিক সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের নির্দেশ দিয়েছে। কোন জমি যাতে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। দেশে কৃষিজমি কমে যাওয়ায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। সেখানে সেচ ব্যবস্থার অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম) বন্ধ রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, কৃষক ও কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে এগুলো চালু করা হোক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্কিমগুলো চালুর বিষয়ে কৃষি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসিকে নিয়ে সমন্বয় করাসহ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করব, চালু করার বিষয়টি শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বাস্তব রূপ পাবে। এজন্য যা যা করা দরকার তাই করতে হবে।

স্কিমগুলো চালু হলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে, সেচ খরচও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে। যা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

মীরসরাইয়ে বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা চালু করা হোক

রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চাষের অন্যতম বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম)। এক সময় এ সেচ ব্যবস্থাপনায় হাজার একর জমি, শুকনো মৌসুমে ইরি ও শাকসবজি চাষাবাদ হতো। এখন সেচের অভাবে ধান ছাড়া অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষিকাজে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে প্রায় ১৫ বছর আগে মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৮টি পানির সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম) দিয়েছিল বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এগুলোর মধ্যে এখন মাত্র ৪ টি সচল রয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ হয়ে থাকে স্কিমের পানি দিয়ে। স্কিমগুলো সচল থাকলে চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ হতো। এগুলো চালু করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক।

বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্কিমে কিছু পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। আর কিছু পাম্প চালু করছে না স্কিম পরিচালকরা। এছাড়া সড়কের কাজ করতে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেন ভেঙে ফেলেছে এলজিইডি।

বৈশ্বিক সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের নির্দেশ দিয়েছে। কোন জমি যাতে অনাবাদি অবস্থায় পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার কথা বারবার বলা হচ্ছে। দেশে কৃষিজমি কমে যাওয়ায় উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলছে সরকার। সেখানে সেচ ব্যবস্থার অভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিকল্প সেচ ব্যবস্থাপনা (স্কিম) বন্ধ রয়েছে।

আমরা বলতে চাই, কৃষক ও কৃষি উৎপাদনের স্বার্থে এগুলো চালু করা হোক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্কিমগুলো চালুর বিষয়ে কৃষি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসিকে নিয়ে সমন্বয় করাসহ কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা আশা করব, চালু করার বিষয়টি শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বাস্তব রূপ পাবে। এজন্য যা যা করা দরকার তাই করতে হবে।

স্কিমগুলো চালু হলে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে আসবে। এতে পরিবেশগত বিপর্যয় প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে, সেচ খরচও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে। যা দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

back to top