alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছেই, কোন টোটকায় সারবে এই ব্যাধি

: সোমবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৩

দুর্ঘটনাবিহীন সড়কের স্বপ্ন দেশে কেউ বোধহয় দেখেন না। তবে দুর্ঘটনা কমবে, মানুষের যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে সেই আশা মানুষ করে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষকে অতীতে অনেকবার পথে নামতে দেখা গেছে। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়েছে। বাস্তবে কি মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে, সড়ক কি নিরাপদ হয়েছে?

রাজধানীতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ২৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে।

গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন। যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৩৫৬ জন।

ওপরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায়, নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। প্রায়ই তাদের এই দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু কেন?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর যত মানুষ মারা গেছে তার ১৬ শতাংশ হচ্ছে শিক্ষার্থী।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোন নিরাময় মিলছে না। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। কিন্তু কোন টোটকাই কাজে লাগেনি।

সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।

বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

সংবাদমাধ্যমের ভুল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প চালু করুন

পানিশূন্য তিস্তা

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে

হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত হোক

মিথেন নির্গমন কমানো জরুরি

সড়ক নির্মাণ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছেই, কোন টোটকায় সারবে এই ব্যাধি

সোমবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৩

দুর্ঘটনাবিহীন সড়কের স্বপ্ন দেশে কেউ বোধহয় দেখেন না। তবে দুর্ঘটনা কমবে, মানুষের যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে সেই আশা মানুষ করে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষকে অতীতে অনেকবার পথে নামতে দেখা গেছে। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়েছে। বাস্তবে কি মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে, সড়ক কি নিরাপদ হয়েছে?

রাজধানীতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ২৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে।

গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন। যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৩৫৬ জন।

ওপরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায়, নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। প্রায়ই তাদের এই দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু কেন?

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর যত মানুষ মারা গেছে তার ১৬ শতাংশ হচ্ছে শিক্ষার্থী।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোন নিরাময় মিলছে না। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। কিন্তু কোন টোটকাই কাজে লাগেনি।

সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।

back to top