দুর্ঘটনাবিহীন সড়কের স্বপ্ন দেশে কেউ বোধহয় দেখেন না। তবে দুর্ঘটনা কমবে, মানুষের যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে সেই আশা মানুষ করে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষকে অতীতে অনেকবার পথে নামতে দেখা গেছে। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়েছে। বাস্তবে কি মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে, সড়ক কি নিরাপদ হয়েছে?
রাজধানীতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ২৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে।
গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন। যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৩৫৬ জন।
ওপরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায়, নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। প্রায়ই তাদের এই দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু কেন?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর যত মানুষ মারা গেছে তার ১৬ শতাংশ হচ্ছে শিক্ষার্থী।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোন নিরাময় মিলছে না। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। কিন্তু কোন টোটকাই কাজে লাগেনি।
সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।
সোমবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৩
দুর্ঘটনাবিহীন সড়কের স্বপ্ন দেশে কেউ বোধহয় দেখেন না। তবে দুর্ঘটনা কমবে, মানুষের যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে সেই আশা মানুষ করে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানুষকে অতীতে অনেকবার পথে নামতে দেখা গেছে। সরকার দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়েছে। বাস্তবে কি মানুষের দাবি পূরণ হয়েছে, সড়ক কি নিরাপদ হয়েছে?
রাজধানীতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ২৭ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তারা এই পরিসংখ্যান তৈরি করেছে।
গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে বেশি। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন। যা গত আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৩৫৬ জন।
ওপরের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে বলা যায়, নিরাপদ সড়কের প্রত্যাশা অধরাই রয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। প্রায়ই তাদের এই দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু কেন?
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিনজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর যত মানুষ মারা গেছে তার ১৬ শতাংশ হচ্ছে শিক্ষার্থী।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোন নিরাময় মিলছে না। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছে আদালত। কিন্তু কোন টোটকাই কাজে লাগেনি।
সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।