হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের মেয়াদ ফুরিয়েছে চার বছর আগে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এর কোনো অংশে স্ল্যাব ভেঙে গেছে তো কোনো অংশে তা উঠে গেছে। রেলিংগুলো জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াতে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষকে বেশ ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও শিশু শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ছে। শুকনো মৌসুমে স্ব-উদ্যোগে এলাকার মানুষ সেখানে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেন। তবে বাঁশের সাঁকো থেকে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয় বর্ষা মৌসুমে। তখন সেতু পারাপারে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। রোগী পরিবহন, কৃষকদের কৃষিপণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে প্রায়ই।
সেতুর এমন ভঙ্গুর অবস্থায় সওজ কর্তৃপক্ষ ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙালেও তা মানছেন না অনেকেই। প্রতিনিয়ত ভারি যানবাহন, বালুভর্তি ট্রাক ও ট্রাক্টর চলছে। এর ফলে সেতুটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। অনেকের আশঙ্কা, সেখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি- খোয়াই নদীতে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে স্থায়ী আরসিসি অথবা পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত জরাজীর্ণ সেতু অপসারণ করে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে।
আমরা বলতে চাই, চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর ওপর বিদ্যমান সেতু জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোড়াতালির সেতুতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেতুটি সংস্কারের চেয়ে পুনর্নিমাণ করাই শ্রেয় হবে বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়েছে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেতু নির্মাণ করবে।
মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের মেয়াদ ফুরিয়েছে চার বছর আগে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এর কোনো অংশে স্ল্যাব ভেঙে গেছে তো কোনো অংশে তা উঠে গেছে। রেলিংগুলো জোড়াতালি দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াতে আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষকে বেশ ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও শিশু শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ছে। শুকনো মৌসুমে স্ব-উদ্যোগে এলাকার মানুষ সেখানে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেন। তবে বাঁশের সাঁকো থেকে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি হয় বর্ষা মৌসুমে। তখন সেতু পারাপারে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। রোগী পরিবহন, কৃষকদের কৃষিপণ্য পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটে প্রায়ই।
সেতুর এমন ভঙ্গুর অবস্থায় সওজ কর্তৃপক্ষ ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড টাঙালেও তা মানছেন না অনেকেই। প্রতিনিয়ত ভারি যানবাহন, বালুভর্তি ট্রাক ও ট্রাক্টর চলছে। এর ফলে সেতুটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ছে। অনেকের আশঙ্কা, সেখানে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি- খোয়াই নদীতে নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে স্থায়ী আরসিসি অথবা পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য ডিপিপির কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত জরাজীর্ণ সেতু অপসারণ করে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে।
আমরা বলতে চাই, চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর ওপর বিদ্যমান সেতু জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার উপযোগী করে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। জোড়াতালির সেতুতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেতুটি সংস্কারের চেয়ে পুনর্নিমাণ করাই শ্রেয় হবে বলে আমরা মনে করি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্বাসও দিয়েছে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেতু নির্মাণ করবে।