alt

সম্পাদকীয়

কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ছয় ইউনিয়নে শ্রমিক রয়েছেন ২ হাজার ৩৬০ জন। গত ২৬ নভেম্বর থেকে তারা প্রকল্পের অধীনে কাজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে কাজ করেছেন ৩২ দিন। কিন্তু কেউই একটি টাকাও মজুরি পাননি।

মজুরি না পাওয়া হতদরিদ্র শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অসুখ-বিসুখে তার কষ্ট আরও বাড়ে। টাকার অভাবে অনেকে চিকিৎসাও করতে পারছেন না। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করলে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কিন্তু তারা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, মজুরি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুতই তারা টাকা পেয়ে যাবে।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। ফুলবাড়ীতে ওই প্রকল্পের কাজ যেভাবে চলছে তাতে দরিদ্র মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। যেসব মানুষ দিন এনে দিন খায় তারা যদি মাসাধিককাল মজুরি না পায় তাহলে তাদের টিকে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়ে।

দিন শেষে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হবে সেটাই কাম্য। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগে কাজটি আরও সহজ হবার কথা। কাজ করার পর দিন গড়িয়ে সপ্তাহ গেছে, সপ্তাহ গড়িয়ে মাস গেছে। অথচ ফুলবাড়ীতে শ্রমিকরা তাদের পাওনা বুঝে পাননি। এর কারণ কী সেটা জানতে হবে। এই অহেতুক বিলম্বের পেছনে কারও কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও গাফিলতি থাকলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা দ্রুত তাদের পাওনা বুঝে পাচ্ছেন এমনটাই আমরা দেখতে চাই। এই মজুরির টাকার ওপর তাদের পরিবার-পরিজন নির্ভরশীল। তাদের কষ্ট লাঘবে কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন মজুরি বকেয়া না পড়ে সে বিষয় এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের পাওনা দ্রুত পরিশোধ করুন

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

কর্মসৃজন প্রকল্পের অধীনে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ছয় ইউনিয়নে শ্রমিক রয়েছেন ২ হাজার ৩৬০ জন। গত ২৬ নভেম্বর থেকে তারা প্রকল্পের অধীনে কাজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে কাজ করেছেন ৩২ দিন। কিন্তু কেউই একটি টাকাও মজুরি পাননি।

মজুরি না পাওয়া হতদরিদ্র শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অসুখ-বিসুখে তার কষ্ট আরও বাড়ে। টাকার অভাবে অনেকে চিকিৎসাও করতে পারছেন না। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করলে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। কিন্তু তারা পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, মজুরি দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুতই তারা টাকা পেয়ে যাবে।

হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। ফুলবাড়ীতে ওই প্রকল্পের কাজ যেভাবে চলছে তাতে দরিদ্র মানুষ কতটা উপকৃত হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। যেসব মানুষ দিন এনে দিন খায় তারা যদি মাসাধিককাল মজুরি না পায় তাহলে তাদের টিকে থাকাই দুরূহ হয়ে পড়ে।

দিন শেষে শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হবে সেটাই কাম্য। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যুগে কাজটি আরও সহজ হবার কথা। কাজ করার পর দিন গড়িয়ে সপ্তাহ গেছে, সপ্তাহ গড়িয়ে মাস গেছে। অথচ ফুলবাড়ীতে শ্রমিকরা তাদের পাওনা বুঝে পাননি। এর কারণ কী সেটা জানতে হবে। এই অহেতুক বিলম্বের পেছনে কারও কোনো গাফিলতি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। কারও গাফিলতি থাকলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা দ্রুত তাদের পাওনা বুঝে পাচ্ছেন এমনটাই আমরা দেখতে চাই। এই মজুরির টাকার ওপর তাদের পরিবার-পরিজন নির্ভরশীল। তাদের কষ্ট লাঘবে কর্তৃপক্ষকে তৎপর হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন মজুরি বকেয়া না পড়ে সে বিষয় এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top