alt

সম্পাদকীয়

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

: বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের ৩৬ জেলায় জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কিউলেক্স মশাবাহিত রোগ জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গত বছর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮৮ জনকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের হার কম হলেও রোগের ভয়াবহতা কম নয়। জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগী নানান শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত মানুষ মারা যেতেও পারে। গত ৪ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা গেছে বলে জানা যায়।

ডেঙ্গু রোগের প্রকোপে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জাপানি এনকেফ্যালাটিসের মতো ডেঙ্গুও মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে ২০২২ সালে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন রোগী মারা যান।

মশা নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এটা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্র্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের যে কী অবস্থা সেটা সহজেই অনুমেয়।

মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকরা মুক্তি পাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপে নেয়া হলে মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আর এই কর্মপরিকল্পনায় শহর-নগরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলগুলোকেও মুক্ত করতে হবে। নইলে মশা দমনের কাজে টেকসই ফল মিলবে না।

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করেতে হবে। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে যেন অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের ৩৬ জেলায় জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কিউলেক্স মশাবাহিত রোগ জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গত বছর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮৮ জনকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের হার কম হলেও রোগের ভয়াবহতা কম নয়। জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগী নানান শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত মানুষ মারা যেতেও পারে। গত ৪ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা গেছে বলে জানা যায়।

ডেঙ্গু রোগের প্রকোপে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জাপানি এনকেফ্যালাটিসের মতো ডেঙ্গুও মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে ২০২২ সালে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন রোগী মারা যান।

মশা নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এটা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্র্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের যে কী অবস্থা সেটা সহজেই অনুমেয়।

মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকরা মুক্তি পাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপে নেয়া হলে মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আর এই কর্মপরিকল্পনায় শহর-নগরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলগুলোকেও মুক্ত করতে হবে। নইলে মশা দমনের কাজে টেকসই ফল মিলবে না।

জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করেতে হবে। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে যেন অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।

back to top