দেশের ৩৬ জেলায় জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কিউলেক্স মশাবাহিত রোগ জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গত বছর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮৮ জনকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের হার কম হলেও রোগের ভয়াবহতা কম নয়। জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগী নানান শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত মানুষ মারা যেতেও পারে। গত ৪ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা গেছে বলে জানা যায়।
ডেঙ্গু রোগের প্রকোপে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জাপানি এনকেফ্যালাটিসের মতো ডেঙ্গুও মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে ২০২২ সালে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন রোগী মারা যান।
মশা নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এটা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্র্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের যে কী অবস্থা সেটা সহজেই অনুমেয়।
মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকরা মুক্তি পাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপে নেয়া হলে মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আর এই কর্মপরিকল্পনায় শহর-নগরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলগুলোকেও মুক্ত করতে হবে। নইলে মশা দমনের কাজে টেকসই ফল মিলবে না।
জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করেতে হবে। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে যেন অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
দেশের ৩৬ জেলায় জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কিউলেক্স মশাবাহিত রোগ জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিসে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। গত বছর সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ নতুন নয়। গত পাঁচ বছরে ১২ হাজার ১৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৮৮ জনকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। সংক্রমণের হার কম হলেও রোগের ভয়াবহতা কম নয়। জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগী নানান শারীরিক জটিলতায় ভোগেন। এমনকি এ রোগে আক্রান্ত মানুষ মারা যেতেও পারে। গত ৪ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কমপক্ষে ৭৯ জন মারা গেছে বলে জানা যায়।
ডেঙ্গু রোগের প্রকোপে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। জাপানি এনকেফ্যালাটিসের মতো ডেঙ্গুও মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে ২০২২ সালে। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন রোগী মারা যান।
মশা নাগরিকদের জীবনে বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মশার বংশবৃদ্ধি কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। শহর-নগর তো বটেই গ্রামাঞ্চলেও মশার বংশবৃদ্ধি ঘটছে। এটা নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নানা পদক্ষেপ নিলেও তা কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়নি। রাজধানী ঢাকায় বা অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে কর্র্তৃপক্ষগুলো মশা নিয়ন্ত্রণে গলদঘর্ম হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলের যে কী অবস্থা সেটা সহজেই অনুমেয়।
মশাবাহিত রোগ থেকে নাগরিকরা মুক্তি পাক সেটাই আমরা চাই। এজন্য মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিত পদক্ষেপে নেয়া হলে মশা দমন করা সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আর এই কর্মপরিকল্পনায় শহর-নগরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলগুলোকেও মুক্ত করতে হবে। নইলে মশা দমনের কাজে টেকসই ফল মিলবে না।
জাপানিজ এনকেফ্যালাইটিস রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। রোগ প্রতিরোধের কৌশল সম্পর্কে নাগরিকদের অবহিত করেতে হবে। কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করতে গিয়ে মানুষের মধ্যে যেন অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।