alt

সম্পাদকীয়

সেচের পানি পেতে কৃষকদের এত ভোগান্তি কেন

: শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

কৃষকদের ফসলের জমিতে সেচের পানি দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। কিন্তু বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জ বিঘাপ্রতি ঘণ্টায় ১২৫ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। এসব অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকদের জমিতে সুলভে সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। কৃষকরা যেন প্রয়োজন মতো অল্প খরচে সেচের পানি পান সেজন্য সেচের চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পহু পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় অপারেটর। সমস্যা হচ্ছে- অনেক অপারেটরই নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে। আবার পানিও ঠিকমতো দেয় না। যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ কৃষকদের।

অতিরিক্ত চার্জ দিতে গিয়ে একদিকে তাদের পকেট ফাঁকা হচ্ছে, অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় কমছে ফসলের উৎপাদন। শুধু যে নওগাঁয় কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে তা নয়, দেশের আরো অনেক এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নওগাঁর ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ঠিকমতো সেচের পানি না পাওয়ায় তাদের ধান উৎপাদন কমেছে। আগে যেখানে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন হতো ২০ থেকে ২৫ মণ, এখন সেখানে উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১৫ মণ। অপারেটরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ কমছে না ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নলকূপে গোবিন্দপুর ও বাঙ্গাল গ্রামের ১২০ থেকে ১৩০ জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হয়। একজন অপারেটরের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতাধিক কৃষককে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। কৃষকদের আর কত ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমাদের মনে আছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়ে দুজন সাঁওতাল কৃষক ক্ষোভে, দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।

অভিযোগ রয়েছে, সেচের গভীর নলকূপে যাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছে কৃষকরা যেমন অসহায় প্রশাসনও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। ফসলের মাঠে নানানভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর এই প্রবণতা বন্ধ করা জরুরি।

আমরা বলতে চাই, নওগাঁয় গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা নির্ধারিত চার্জে চাহিদা মতো সেচের পানি পাচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

সেচের পানি পেতে কৃষকদের এত ভোগান্তি কেন

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩

কৃষকদের ফসলের জমিতে সেচের পানি দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। কিন্তু বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জ বিঘাপ্রতি ঘণ্টায় ১২৫ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। এসব অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কৃষকদের জমিতে সুলভে সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। কৃষকরা যেন প্রয়োজন মতো অল্প খরচে সেচের পানি পান সেজন্য সেচের চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পহু পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় অপারেটর। সমস্যা হচ্ছে- অনেক অপারেটরই নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে। আবার পানিও ঠিকমতো দেয় না। যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ কৃষকদের।

অতিরিক্ত চার্জ দিতে গিয়ে একদিকে তাদের পকেট ফাঁকা হচ্ছে, অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় কমছে ফসলের উৎপাদন। শুধু যে নওগাঁয় কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে তা নয়, দেশের আরো অনেক এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

নওগাঁর ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ঠিকমতো সেচের পানি না পাওয়ায় তাদের ধান উৎপাদন কমেছে। আগে যেখানে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন হতো ২০ থেকে ২৫ মণ, এখন সেখানে উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১৫ মণ। অপারেটরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ কমছে না ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নলকূপে গোবিন্দপুর ও বাঙ্গাল গ্রামের ১২০ থেকে ১৩০ জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হয়। একজন অপারেটরের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতাধিক কৃষককে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। কৃষকদের আর কত ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমাদের মনে আছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়ে দুজন সাঁওতাল কৃষক ক্ষোভে, দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।

অভিযোগ রয়েছে, সেচের গভীর নলকূপে যাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছে কৃষকরা যেমন অসহায় প্রশাসনও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। ফসলের মাঠে নানানভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর এই প্রবণতা বন্ধ করা জরুরি।

আমরা বলতে চাই, নওগাঁয় গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা নির্ধারিত চার্জে চাহিদা মতো সেচের পানি পাচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top