কৃষকদের ফসলের জমিতে সেচের পানি দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। কিন্তু বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জ বিঘাপ্রতি ঘণ্টায় ১২৫ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। এসব অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকদের জমিতে সুলভে সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। কৃষকরা যেন প্রয়োজন মতো অল্প খরচে সেচের পানি পান সেজন্য সেচের চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পহু পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় অপারেটর। সমস্যা হচ্ছে- অনেক অপারেটরই নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে। আবার পানিও ঠিকমতো দেয় না। যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ কৃষকদের।
অতিরিক্ত চার্জ দিতে গিয়ে একদিকে তাদের পকেট ফাঁকা হচ্ছে, অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় কমছে ফসলের উৎপাদন। শুধু যে নওগাঁয় কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে তা নয়, দেশের আরো অনেক এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নওগাঁর ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ঠিকমতো সেচের পানি না পাওয়ায় তাদের ধান উৎপাদন কমেছে। আগে যেখানে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন হতো ২০ থেকে ২৫ মণ, এখন সেখানে উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১৫ মণ। অপারেটরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ কমছে না ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নলকূপে গোবিন্দপুর ও বাঙ্গাল গ্রামের ১২০ থেকে ১৩০ জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হয়। একজন অপারেটরের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতাধিক কৃষককে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। কৃষকদের আর কত ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমাদের মনে আছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়ে দুজন সাঁওতাল কৃষক ক্ষোভে, দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, সেচের গভীর নলকূপে যাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছে কৃষকরা যেমন অসহায় প্রশাসনও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। ফসলের মাঠে নানানভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর এই প্রবণতা বন্ধ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, নওগাঁয় গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা নির্ধারিত চার্জে চাহিদা মতো সেচের পানি পাচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
কৃষকদের ফসলের জমিতে সেচের পানি দেয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। কিন্তু বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্ধারিত সেচ চার্জের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিএমডিএ’র নির্ধারিত সেচ চার্জ বিঘাপ্রতি ঘণ্টায় ১২৫ টাকা। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৪শ’ টাকা। এসব অভিযোগ উঠেছে নওগাঁর প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কৃষকদের জমিতে সুলভে সেচের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে বিএমডিএ। কৃষকরা যেন প্রয়োজন মতো অল্প খরচে সেচের পানি পান সেজন্য সেচের চার্জও নির্ধারণ করে দেয়া হয়। পহু পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় অপারেটর। সমস্যা হচ্ছে- অনেক অপারেটরই নির্ধারিত দরের চেয়ে অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে। আবার পানিও ঠিকমতো দেয় না। যার খেসারত দিতে হয় সাধারণ কৃষকদের।
অতিরিক্ত চার্জ দিতে গিয়ে একদিকে তাদের পকেট ফাঁকা হচ্ছে, অন্যদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি না পাওয়ায় কমছে ফসলের উৎপাদন। শুধু যে নওগাঁয় কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে তা নয়, দেশের আরো অনেক এলাকায় আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
নওগাঁর ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন- ঠিকমতো সেচের পানি না পাওয়ায় তাদের ধান উৎপাদন কমেছে। আগে যেখানে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন হতো ২০ থেকে ২৫ মণ, এখন সেখানে উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১৫ মণ। অপারেটরের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তারা। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ কমছে না ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই নলকূপে গোবিন্দপুর ও বাঙ্গাল গ্রামের ১২০ থেকে ১৩০ জন কৃষকের ১৮০ বিঘা জমিতে সেচ দেয়া হয়। একজন অপারেটরের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতাধিক কৃষককে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন- সে প্রশ্ন আমরা করতে চাই। কৃষকদের আর কত ক্ষতি হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। আমাদের মনে আছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি পেতে হয়রানির শিকার হয়ে দুজন সাঁওতাল কৃষক ক্ষোভে, দুঃখে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন।
অভিযোগ রয়েছে, সেচের গভীর নলকূপে যাদের অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তাদের অনেকেই স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছে কৃষকরা যেমন অসহায় প্রশাসনও অনেক সময় অসহায় হয়ে পড়ে। ফসলের মাঠে নানানভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর এই প্রবণতা বন্ধ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, নওগাঁয় গভীর নলকূপের অপারেটরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকরা নির্ধারিত চার্জে চাহিদা মতো সেচের পানি পাচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।