গত বৃহস্পতিবার বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চুরি হওয়া চাল। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল সিলগালা গুদাম থেকে চুরি হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল চুরির খবর জানা গেছে।
অবশ্য চুরি বা পাচার হওয়া অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাল চুরি বা পাচারের অভিযোগ করা হয় মামলা। কিন্তু কোনো কিছুতেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এক-দুই কেজি নয় হাজার হাজার কেজ চাল চুরি বা পাচার হয় কীভাবে। অভিযোগ আছে যে, সংশ্লিষ্ট একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে চাল পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অনেক সময়।
এর আগে চুরি বা পাচারকালে চাল উদ্ধার করার পাশাপাশি কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও অসাধু ডিলার জড়িত।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কম মূল্যের চাল কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কোনো অসাধু চক্রের অপতৎপরতায় মানুষের এই স্বস্তি যেন উধাও হয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। চুরি বা পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে, তাদের জেলে পুরে চাল পাচার বন্ধ করা যাবে না।
নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গডফাদার যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
বগুড়ায় যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩
গত বৃহস্পতিবার বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চুরি হওয়া চাল। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল সিলগালা গুদাম থেকে চুরি হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল চুরির খবর জানা গেছে।
অবশ্য চুরি বা পাচার হওয়া অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাল চুরি বা পাচারের অভিযোগ করা হয় মামলা। কিন্তু কোনো কিছুতেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, এক-দুই কেজি নয় হাজার হাজার কেজ চাল চুরি বা পাচার হয় কীভাবে। অভিযোগ আছে যে, সংশ্লিষ্ট একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে চাল পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অনেক সময়।
এর আগে চুরি বা পাচারকালে চাল উদ্ধার করার পাশাপাশি কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও অসাধু ডিলার জড়িত।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কম মূল্যের চাল কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কোনো অসাধু চক্রের অপতৎপরতায় মানুষের এই স্বস্তি যেন উধাও হয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। চুরি বা পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে, তাদের জেলে পুরে চাল পাচার বন্ধ করা যাবে না।
নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গডফাদার যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
বগুড়ায় যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।