alt

সম্পাদকীয়

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরির নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

গত বৃহস্পতিবার বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চুরি হওয়া চাল। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল সিলগালা গুদাম থেকে চুরি হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল চুরির খবর জানা গেছে।

অবশ্য চুরি বা পাচার হওয়া অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাল চুরি বা পাচারের অভিযোগ করা হয় মামলা। কিন্তু কোনো কিছুতেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এক-দুই কেজি নয় হাজার হাজার কেজ চাল চুরি বা পাচার হয় কীভাবে। অভিযোগ আছে যে, সংশ্লিষ্ট একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে চাল পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অনেক সময়।

এর আগে চুরি বা পাচারকালে চাল উদ্ধার করার পাশাপাশি কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও অসাধু ডিলার জড়িত।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কম মূল্যের চাল কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কোনো অসাধু চক্রের অপতৎপরতায় মানুষের এই স্বস্তি যেন উধাও হয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। চুরি বা পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে, তাদের জেলে পুরে চাল পাচার বন্ধ করা যাবে না।

নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গডফাদার যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

বগুড়ায় যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

tab

সম্পাদকীয়

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরির নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

গত বৃহস্পতিবার বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৬০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এগুলো খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চুরি হওয়া চাল। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১ হাজার ১২৪ বস্তা চাল সিলগালা গুদাম থেকে চুরি হয়। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা আত্মসাতের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। গণমাধ্যমের কল্যাণে কখনো কখনো হাজার হাজার কেজি চাল চুরির খবর জানা গেছে।

অবশ্য চুরি বা পাচার হওয়া অনেক চাল জব্দও করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাল চুরি বা পাচারের অভিযোগ করা হয় মামলা। কিন্তু কোনো কিছুতেই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। জনগণকে কম দামে চাল-ডাল দেয়ার যে লক্ষ্য সরকার নিয়েছে তাও ব্যাহত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এক-দুই কেজি নয় হাজার হাজার কেজ চাল চুরি বা পাচার হয় কীভাবে। অভিযোগ আছে যে, সংশ্লিষ্ট একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে চাল পাচার হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে অনেক সময়।

এর আগে চুরি বা পাচারকালে চাল উদ্ধার করার পাশাপাশি কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে, পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও অসাধু ডিলার জড়িত।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কম মূল্যের চাল কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। কোনো অসাধু চক্রের অপতৎপরতায় মানুষের এই স্বস্তি যেন উধাও হয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

আমরা বলতে চাই, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরি বা পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। চুরি বা পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে, তাদের জেলে পুরে চাল পাচার বন্ধ করা যাবে না।

নেপথ্যের শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। গডফাদার যে বা যারাই হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই।

বগুড়ায় যাদের বিরুদ্ধে চাল চুরির অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top