alt

সম্পাদকীয়

ফসলি জমির মাটি কাটা প্রসঙ্গে

: শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুরের সদরপুরে তিন ফসলি জমির মাটি কিনে নিচ্ছে ইটভাটাগুলো। টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে কৃষকরা। মাটি কাটার কারণে জমি হারাচ্ছে উর্বরা শক্তি, কমছে শস্য উৎপাদন। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই, ফসলি জমি কেটে ইট তৈরি করলে কী ক্ষতি হয় সেটা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন।

পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে ইটভাটার মালিকরা কখনোই মাথা ঘামান না। তাদের উদাসীনতায় দেশের পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।

একসময় অভিযোগ ছিল, জমির মালিকরা জোর করে বা কৌশলে কৃষি জমির মাটি কিনে নেয়। এখন দেখা যাচ্ছে অনেক স্থানের অনেক কৃষকই স্বেচ্ছায় জমির মাটি বিক্রি করছে। এর কারণ হচ্ছে অর্থযোগ। কৃষকরা মাটি বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন, ফসল ফলানোর চেয়ে মাটি বিক্রি করাকে বেশি লাভজনক মনে করছেন। এতে সময় ও শ্রম লাগে না। যে কারণে অনেকেই এ পথে পা বাড়াচ্ছেন। কিন্তু আপাত এই মুনাফা জাতীয় কৃষি উৎপাদনে যে কত বড় ক্ষতি করছে, সেটা তারা ভেবে দেখছেন না।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমিতে ভালো ফসল উৎপাদনের উপযোগী হলো জমির উপরিভাগের মাটি। জমির মাটির উৎপাদন শক্তি জমা থাকে মাটির ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি গভীরতায়। এটাই হলো জমির টপসয়েল। এই টপ সয়েল তৈরিতে একশ’ থেকে পাঁচশ’ বছর সময় লাগে। ফসল বেড়ে ওঠার সব গুণাগুণ মাটির এ অংশে থাকে। বীজ এ অংশ থেকে জীবনীশক্তি ও বিকাশের উপাদান গ্রহণ করে। এতে ওই জমিতে ফসল ভালো হয়। আর এই অংশটি কেটে নিলে জমি তার মৃত্তিকা শক্তি হারায়। মাটি কেটে নেয়া ফসলি জমির হারানো এ উর্বরা শক্তি ফিরে পেতে ১০ বছরেরও অধিক কাল অপেক্ষা করতে হয়।

ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন এবং কৃষি জমির মাটি কাটা আইন (নিয়ন্ত্রক) ২০১৩-এর উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে জেল বা জরিমানার বিধান রয়েছে।

পরিবেশ ও কৃষিকে রক্ষা করতে হলে কৃষি জমির মাটির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে ইটভাটার মালিকদের যেমন দায়-দায়িত্ব আছে, তেমনি কৃষকদের দায়-দায়িত্ব থাকার প্রয়োজনকে অস্বীকার করা চলে না। ইট তৈরিতে মাটিরও দরকার পড়ে।

তবে মাটি ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। আমরা আশা করবো ইট তৈরিতে মাটির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলা হবে। আর যারা আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এখন ইট তৈরিতে মাটির অনেক বিকল্প বের হয়েছে। যেটা কৃষি ও পরিবেশ উভয়কেই রক্ষা করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যারা ইট তৈরি করে তাদেরকে মাটির বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আর ফসলি জমির মাটি বিক্রি সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে হবে।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ফসলি জমির মাটি কাটা প্রসঙ্গে

শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

ফরিদপুরের সদরপুরে তিন ফসলি জমির মাটি কিনে নিচ্ছে ইটভাটাগুলো। টাকার বিনিময়ে মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে কৃষকরা। মাটি কাটার কারণে জমি হারাচ্ছে উর্বরা শক্তি, কমছে শস্য উৎপাদন। পরিবেশের ক্ষতি তো হচ্ছেই, ফসলি জমি কেটে ইট তৈরি করলে কী ক্ষতি হয় সেটা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন।

পরিবেশের ক্ষতি সম্পর্কে ইটভাটার মালিকরা কখনোই মাথা ঘামান না। তাদের উদাসীনতায় দেশের পরিবেশের যথেষ্ট ক্ষতি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে।

একসময় অভিযোগ ছিল, জমির মালিকরা জোর করে বা কৌশলে কৃষি জমির মাটি কিনে নেয়। এখন দেখা যাচ্ছে অনেক স্থানের অনেক কৃষকই স্বেচ্ছায় জমির মাটি বিক্রি করছে। এর কারণ হচ্ছে অর্থযোগ। কৃষকরা মাটি বিক্রি করে নগদ টাকা পাচ্ছেন, ফসল ফলানোর চেয়ে মাটি বিক্রি করাকে বেশি লাভজনক মনে করছেন। এতে সময় ও শ্রম লাগে না। যে কারণে অনেকেই এ পথে পা বাড়াচ্ছেন। কিন্তু আপাত এই মুনাফা জাতীয় কৃষি উৎপাদনে যে কত বড় ক্ষতি করছে, সেটা তারা ভেবে দেখছেন না।

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমিতে ভালো ফসল উৎপাদনের উপযোগী হলো জমির উপরিভাগের মাটি। জমির মাটির উৎপাদন শক্তি জমা থাকে মাটির ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি গভীরতায়। এটাই হলো জমির টপসয়েল। এই টপ সয়েল তৈরিতে একশ’ থেকে পাঁচশ’ বছর সময় লাগে। ফসল বেড়ে ওঠার সব গুণাগুণ মাটির এ অংশে থাকে। বীজ এ অংশ থেকে জীবনীশক্তি ও বিকাশের উপাদান গ্রহণ করে। এতে ওই জমিতে ফসল ভালো হয়। আর এই অংশটি কেটে নিলে জমি তার মৃত্তিকা শক্তি হারায়। মাটি কেটে নেয়া ফসলি জমির হারানো এ উর্বরা শক্তি ফিরে পেতে ১০ বছরেরও অধিক কাল অপেক্ষা করতে হয়।

ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন এবং কৃষি জমির মাটি কাটা আইন (নিয়ন্ত্রক) ২০১৩-এর উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোন মাধমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কেউ যদি আইন অমান্য করে তাহলে জেল বা জরিমানার বিধান রয়েছে।

পরিবেশ ও কৃষিকে রক্ষা করতে হলে কৃষি জমির মাটির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে ইটভাটার মালিকদের যেমন দায়-দায়িত্ব আছে, তেমনি কৃষকদের দায়-দায়িত্ব থাকার প্রয়োজনকে অস্বীকার করা চলে না। ইট তৈরিতে মাটিরও দরকার পড়ে।

তবে মাটি ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। আমরা আশা করবো ইট তৈরিতে মাটির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইন মেনে চলা হবে। আর যারা আইন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এখন ইট তৈরিতে মাটির অনেক বিকল্প বের হয়েছে। যেটা কৃষি ও পরিবেশ উভয়কেই রক্ষা করে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যারা ইট তৈরি করে তাদেরকে মাটির বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আর ফসলি জমির মাটি বিক্রি সম্পর্কে কৃষকদের সচেতন করতে হবে।

back to top