ময়মনসিংহের নান্দাইলের কালীগঞ্জ বাজারে নরসুন্দা নদী পার হতে মানুষকে একসময় শুকনো মৌসুমে বাশের সাঁকো আর বর্ষায় নৌকা ব্যবহার করতে হতো। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, একটি পাকা সেতু সেখানে নির্মাণ করা হোক। তাহলে তাদের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর হবে।
সেতু একটি করা হয়েছে। কিন্তু সেতুতে উঠতে হয় মই দিয়ে, নামতেও হয় মই দিয়ে। কারণ সেতুর কোন পাশেই নেই সংযোগ সড়ক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে করা এই সেতু কার উপকারে আসছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কোন অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পেছনে সেতুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেতু দিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলা বা পৌরসভার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায়। সেতু থাকলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ছাড়াও কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে সুবিধা হয়। তবে শুধু সেতু নির্মাণ করলেই হয় না। সংযোগ সড়কও থাকা চাই। সংযোগ রাস্তা না থাকালে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর হয় না। বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা আরও বাড়ে।
নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করার ফলে নান্দাইলের উল্লিখিত স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে পূর্ণাঙ্গ আকারে কাজে লাগাতে হলে সেতুর উভয়পাশে সংযোগ সড়কও থাকতে হবে। তাহলে মানুষ সহজে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে। পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ মই বেয়ে সেতুতে ওঠানামা করতে পারলেও পরিবহন যোগাযোগের পথে বাধা রয়েই গেছে।
আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জ সেতুর উভয় পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হোক। মাটি ভরাট বা সংযোগ রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ে। রাস্তা নির্মাণে কোন জটিলতা বা বাধা থাকলে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দূর করতে হবে। সেতু নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের কাজে আসে। তারা এর সুফল ভোগ করতে পারেন। কারণ সেতু নির্মাণ করা হয় মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য। কোন এলাকায় সেতু তৈরি করা হলো কিন্তু রাস্তা হলো না; আবার রাস্তা হলো কিন্তু পারাপারে সেতু বা কালভার্ট করা হলো না-এতে মানুষের কল্যাণ হয় না।
রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
ময়মনসিংহের নান্দাইলের কালীগঞ্জ বাজারে নরসুন্দা নদী পার হতে মানুষকে একসময় শুকনো মৌসুমে বাশের সাঁকো আর বর্ষায় নৌকা ব্যবহার করতে হতো। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, একটি পাকা সেতু সেখানে নির্মাণ করা হোক। তাহলে তাদের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর হবে।
সেতু একটি করা হয়েছে। কিন্তু সেতুতে উঠতে হয় মই দিয়ে, নামতেও হয় মই দিয়ে। কারণ সেতুর কোন পাশেই নেই সংযোগ সড়ক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে করা এই সেতু কার উপকারে আসছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কোন অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পেছনে সেতুর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেতু দিয়ে প্রত্যন্ত এলাকাকে জেলা, উপজেলা বা পৌরসভার সঙ্গে সহজেই যুক্ত করা যায়। সেতু থাকলে সাধারণ মানুষের যাতায়াত ছাড়াও কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহনে সুবিধা হয়। তবে শুধু সেতু নির্মাণ করলেই হয় না। সংযোগ সড়কও থাকা চাই। সংযোগ রাস্তা না থাকালে মানুষের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর হয় না। বরং ক্ষেত্রবিশেষে তা আরও বাড়ে।
নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করার ফলে নান্দাইলের উল্লিখিত স্থানে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে পূর্ণাঙ্গ আকারে কাজে লাগাতে হলে সেতুর উভয়পাশে সংযোগ সড়কও থাকতে হবে। তাহলে মানুষ সহজে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারবে। পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ মই বেয়ে সেতুতে ওঠানামা করতে পারলেও পরিবহন যোগাযোগের পথে বাধা রয়েই গেছে।
আমরা বলতে চাই, কালীগঞ্জ সেতুর উভয় পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হোক। মাটি ভরাট বা সংযোগ রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে নির্ধারিত সময়ে। রাস্তা নির্মাণে কোন জটিলতা বা বাধা থাকলে সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দূর করতে হবে। সেতু নির্মাণের পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে হবে। যাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের কাজে আসে। তারা এর সুফল ভোগ করতে পারেন। কারণ সেতু নির্মাণ করা হয় মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য। কোন এলাকায় সেতু তৈরি করা হলো কিন্তু রাস্তা হলো না; আবার রাস্তা হলো কিন্তু পারাপারে সেতু বা কালভার্ট করা হলো না-এতে মানুষের কল্যাণ হয় না।