কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের চিংড়িচাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি একশ’ একর চিংড়ি ঘেরের জন্য চাঁদা দিতে হয় এক হাজার টাকা। চাঁদা দেয়া না হলে ঘেরের চিংড়ি লুট করে নিয়ে যায় চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে আজ রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে চিংড়িচাষিরা চিংড়ি উৎপাদন করেন। ঘেরের ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে চিংড়ি বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। তাদের কষ্ট আর ত্যাগের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে চিংড়িশিল্প। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের।
প্রশ্ন হচ্ছে, চিংড়িচাষিরা কতটুকু লাভবান হন। তাদের লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ, দখলবাজ বা জবরদখলকারীরা। প্রায়ই মাছের ঘের দখল ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে গুরুতর অভিযোগ আছে। চাঁদাবাজি যারা করে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে থাকে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বা যায় না। আবার এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, চাঁদাবাজ চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাত রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হব। চিংড়িচাষিরা তাদের শ্রম ও ঘামের পূর্ণ সুফল পাক, তাদের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে না ফেলুক-এটাই আমাদের চাওয়া।
রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়ি জোনের চিংড়িচাষিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি একশ’ একর চিংড়ি ঘেরের জন্য চাঁদা দিতে হয় এক হাজার টাকা। চাঁদা দেয়া না হলে ঘেরের চিংড়ি লুট করে নিয়ে যায় চাঁদাবাজরা। এ নিয়ে আজ রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে চিংড়িচাষিরা চিংড়ি উৎপাদন করেন। ঘেরের ইজারা পাওয়া থেকে শুরু করে চিংড়ি বিক্রি করা পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে তাদের অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। তাদের কষ্ট আর ত্যাগের ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে চিংড়িশিল্প। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের।
প্রশ্ন হচ্ছে, চিংড়িচাষিরা কতটুকু লাভবান হন। তাদের লাভের গুড় খেয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ, দখলবাজ বা জবরদখলকারীরা। প্রায়ই মাছের ঘের দখল ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটে।
চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা একটা প্রশ্ন। প্রশাসনের নাকের ডগার ওপর দিয়ে চাঁদাবাজি করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে গুরুতর অভিযোগ আছে। চাঁদাবাজি যারা করে তারা সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে থাকে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বা যায় না। আবার এমনও অভিযোগ পাওয়া যায় যে, চাঁদাবাজ চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের আঁতাত রয়েছে।
আমরা বলতে চাই, চিংড়ি ঘেরকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হব। চিংড়িচাষিরা তাদের শ্রম ও ঘামের পূর্ণ সুফল পাক, তাদের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে না ফেলুক-এটাই আমাদের চাওয়া।