alt

সম্পাদকীয়

নদী দখলদারদের তালিকা প্রসঙ্গে

: সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৪৮টি নদীর দখলদারদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করছে না। চার বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে নদী দখলদারদের যে নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল তা থেকে দখলদারদের নাম বাদ দেয়া হচ্ছে। নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪৮টি নদীর ৩৮ হাজার দখলদার ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করে আবার তা উঠিয়ে নেয়া হয়। এ নিয়ে গণমাধমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে কেবল ৪৮টি নদীই নয়, দেশের অনেক নদীই দখল হয়ে গেছে। দী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের নদনদী রক্ষার দায়িত্ব জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হাতে। দখলদার চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ করাই তাদের কাজ। নদ-নদী দখলমুক্ত ও দূষণরোধে সংস্থাটির সফলতা নেই বলতে গেলেই চলে। সিএস ম্যাপের কথা বলে ৩৮ হাজার দখলদারের নাম তারা মুছে ফেলেছে।

দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা জরুরি। এজন্য যেসব নদী দখল হয়ে গেছে, সেসব নদী থেকে দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। নদ-নদীতে দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দখল উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় অভিযান শেষ হতে না হতেই নদী আবার দখল হয়ে যায়।

নদী দখলদারিত্বের টেকসই অবসান ঘটাতে হলে দখলদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর আর সেজন্য দখলদারদের চিহ্নিত করা এবং তাদের তালিকা করা জরুরি। নদী রক্ষা কমিশন ৪৮টি নদী দখলকারীদের চিহ্নিত করেছে, তাদের একটি তালিকাও করেছে। সেটা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছিল। এরপর তালিকা অনুযায়ী দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা না করে ওয়েবসাইট থেকে সেই নামের তালিকা সরিয়ে নেয়া হলো এর কারণ কী?

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, তালিকায় ভুলত্রুটি আছে। এতে কোন নদী দখলদারের নাম নেই। আছে নদী দখল করে নির্মাণ করা স্থাপনার নাম। তিনি প্রকল্পের কাজের ফাঁকিবাজি করারও অভিযোগ তুলেছে।

তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দখলদারদের নামের তালিকা প্রথমে দেয়া হলেও নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের চাপে নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে তালিকা করার পর সেটা প্রকাশ না করার অর্থ কী? তালিকা তৈরির নামে রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় করার অধিকার কারো নেই। রাষ্ট্রের সম্পদ যারা অপচয় করেছে, তাদের কাজের স্বচ্ছতার জবাবদিহিতা আদায় করা হয়েছে- এমনটিই আমারা দেখতে চাই।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

নদী দখলদারদের তালিকা প্রসঙ্গে

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন দেশের ৪৮টি নদীর দখলদারদের নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করছে না। চার বছর ধরে সমীক্ষা চালিয়ে নদী দখলদারদের যে নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল তা থেকে দখলদারদের নাম বাদ দেয়া হচ্ছে। নদী কমিশনের ওয়েবসাইটে ৪৮টি নদীর ৩৮ হাজার দখলদার ও প্রতিষ্ঠানের নামের তালিকা প্রকাশ করে আবার তা উঠিয়ে নেয়া হয়। এ নিয়ে গণমাধমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে কেবল ৪৮টি নদীই নয়, দেশের অনেক নদীই দখল হয়ে গেছে। দী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের নদনদী রক্ষার দায়িত্ব জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের হাতে। দখলদার চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সুপারিশ করাই তাদের কাজ। নদ-নদী দখলমুক্ত ও দূষণরোধে সংস্থাটির সফলতা নেই বলতে গেলেই চলে। সিএস ম্যাপের কথা বলে ৩৮ হাজার দখলদারের নাম তারা মুছে ফেলেছে।

দেশের নদ-নদীগুলো রক্ষা করা জরুরি। এজন্য যেসব নদী দখল হয়ে গেছে, সেসব নদী থেকে দখলদার উচ্ছেদ করতে হবে। নদ-নদীতে দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দখল উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় অভিযান শেষ হতে না হতেই নদী আবার দখল হয়ে যায়।

নদী দখলদারিত্বের টেকসই অবসান ঘটাতে হলে দখলদারদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর আর সেজন্য দখলদারদের চিহ্নিত করা এবং তাদের তালিকা করা জরুরি। নদী রক্ষা কমিশন ৪৮টি নদী দখলকারীদের চিহ্নিত করেছে, তাদের একটি তালিকাও করেছে। সেটা ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছিল। এরপর তালিকা অনুযায়ী দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা না করে ওয়েবসাইট থেকে সেই নামের তালিকা সরিয়ে নেয়া হলো এর কারণ কী?

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, তালিকায় ভুলত্রুটি আছে। এতে কোন নদী দখলদারের নাম নেই। আছে নদী দখল করে নির্মাণ করা স্থাপনার নাম। তিনি প্রকল্পের কাজের ফাঁকিবাজি করারও অভিযোগ তুলেছে।

তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দখলদারদের নামের তালিকা প্রথমে দেয়া হলেও নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের চাপে নাম বাদ দেয়া হয়েছে।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে তালিকা করার পর সেটা প্রকাশ না করার অর্থ কী? তালিকা তৈরির নামে রাষ্ট্রের সম্পদ অপচয় করার অধিকার কারো নেই। রাষ্ট্রের সম্পদ যারা অপচয় করেছে, তাদের কাজের স্বচ্ছতার জবাবদিহিতা আদায় করা হয়েছে- এমনটিই আমারা দেখতে চাই।

back to top