alt

সম্পাদকীয়

নদীর মাটি কাটা বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

এক মাস ধরে কাটা হচ্ছে ঘাঘট নদীর মাটি। গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের রেলওয়ে ভেড়ামারা ব্রিজসংলগ্ন নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টরে ভরে মাটি কেটে নেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশেই চক্রটি মাটি কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাটি কাটার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি বায়ু দূষণের কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। নির্বিচারে মাটি কেটে নেয়া হলে নদীর পাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় দেখা যায় যে, পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সময় মাটি নদীতে পড়ে নদীর নাব্যও কমে যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি করে। তখন অনেক মানুষ বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপরও নানাভাবে এর প্রভাব পড়ে।

নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারী খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্ত আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না।

অবৈবধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটলে অর্থদন্ড বা কারাদন্ডের মতো শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আইন অমান্য করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রায়ই আইন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

নদীর মাটি কাটা বন্ধে কখনো কখনো বিছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দেখা যায় সাধারণত মাটি কাটায় নিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করা হয়। কিন্তু নেপথ্য থেকে যারা অবৈধ বাণিজ্য করছে এবং তাদের যারা অন্যায়ভাবে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হয় না। যে কারণে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ছাতিয়াইন-নাসিরনগর সড়ক সংস্কার করুন

সমুদ্রদূষণ বন্ধে ব্যবস্থা নিন

মনোহরদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করুন

একটি ভালো রায়

বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

সংবাদমাধ্যমের ভুল ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

খোকসা পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির প্রকল্প চালু করুন

পানিশূন্য তিস্তা

সরকারি কলেজে আসবাবপত্র কেনায় অনিয়ম-দুর্নীতি প্রসঙ্গে

হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত হোক

মিথেন নির্গমন কমানো জরুরি

সড়ক নির্মাণ চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

খুলনায় সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করুন

রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত হোক

করতোয়ার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিন

ব্রয়লার মুরগির দাম প্রসঙ্গে

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

tab

সম্পাদকীয়

নদীর মাটি কাটা বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩

এক মাস ধরে কাটা হচ্ছে ঘাঘট নদীর মাটি। গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের রেলওয়ে ভেড়ামারা ব্রিজসংলগ্ন নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টরে ভরে মাটি কেটে নেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশেই চক্রটি মাটি কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাটি কাটার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি বায়ু দূষণের কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। নির্বিচারে মাটি কেটে নেয়া হলে নদীর পাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় দেখা যায় যে, পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সময় মাটি নদীতে পড়ে নদীর নাব্যও কমে যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি করে। তখন অনেক মানুষ বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপরও নানাভাবে এর প্রভাব পড়ে।

নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারী খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্ত আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না।

অবৈবধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটলে অর্থদন্ড বা কারাদন্ডের মতো শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আইন অমান্য করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রায়ই আইন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

নদীর মাটি কাটা বন্ধে কখনো কখনো বিছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দেখা যায় সাধারণত মাটি কাটায় নিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করা হয়। কিন্তু নেপথ্য থেকে যারা অবৈধ বাণিজ্য করছে এবং তাদের যারা অন্যায়ভাবে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হয় না। যে কারণে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।

অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top