এক মাস ধরে কাটা হচ্ছে ঘাঘট নদীর মাটি। গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের রেলওয়ে ভেড়ামারা ব্রিজসংলগ্ন নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টরে ভরে মাটি কেটে নেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশেই চক্রটি মাটি কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাটি কাটার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি বায়ু দূষণের কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। নির্বিচারে মাটি কেটে নেয়া হলে নদীর পাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় দেখা যায় যে, পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সময় মাটি নদীতে পড়ে নদীর নাব্যও কমে যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি করে। তখন অনেক মানুষ বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপরও নানাভাবে এর প্রভাব পড়ে।
নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারী খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্ত আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না।
অবৈবধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটলে অর্থদন্ড বা কারাদন্ডের মতো শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আইন অমান্য করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রায়ই আইন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
নদীর মাটি কাটা বন্ধে কখনো কখনো বিছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দেখা যায় সাধারণত মাটি কাটায় নিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করা হয়। কিন্তু নেপথ্য থেকে যারা অবৈধ বাণিজ্য করছে এবং তাদের যারা অন্যায়ভাবে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হয় না। যে কারণে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বুধবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩
এক মাস ধরে কাটা হচ্ছে ঘাঘট নদীর মাটি। গাইবান্ধার খোলাহাটি ইউনিয়নের রেলওয়ে ভেড়ামারা ব্রিজসংলগ্ন নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২টি ট্রাক্টরে ভরে মাটি কেটে নেয়া হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশেই চক্রটি মাটি কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাটি কাটার ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এটি বায়ু দূষণের কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে মাটি কাটার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীর মাটি লুটের ঘটনা দেশে প্রায়ই ঘটে। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকে। নির্বিচারে মাটি কেটে নেয়া হলে নদীর পাড় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক সময় দেখা যায় যে, পাড়ের মাটি কেটে নেয়ার সময় মাটি নদীতে পড়ে নদীর নাব্যও কমে যায়। আবার বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানি ঢুকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি করে। তখন অনেক মানুষ বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপরও নানাভাবে এর প্রভাব পড়ে।
নদীর পাড়ের মাটি বা সরকারী খাসজমির মাটি কাটার কিছু নিয়ম রয়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে মাটি কাটা যায়। কিন্ত আইন মেনে কাউকে মাটি কাটতে দেখা যায় না।
অবৈবধভাবে নদীর পাড়ের মাটি কাটলে অর্থদন্ড বা কারাদন্ডের মতো শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে আইন অমান্য করলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রায়ই আইন ব্যবস্থা নেয়া হয় না।
নদীর মাটি কাটা বন্ধে কখনো কখনো বিছিন্নভাবে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে দেখা যায় সাধারণত মাটি কাটায় নিযুক্ত শ্রমিকদের আটক করা হয়। কিন্তু নেপথ্য থেকে যারা অবৈধ বাণিজ্য করছে এবং তাদের যারা অন্যায়ভাবে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হয় না। যে কারণে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। নদীর মাটি কাটতে হলে সেটা আইনের মধ্যে থেকেই করতে হবে। যারা অবৈধভাবে নদীর মাটি কাটছে এবং এ কাজে তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।