গত শুক্র থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৬ দিনই বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এর মধ্যে আজ সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭২। দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকাটি প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অবস্থায় বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ঢাকার একিউআই এর চেয়েও অনেক বেশি।
রাজধানী ঢাকার চারপাশজুড়ে রয়েছে ইটভাটা, এর অভ্যন্তরে রয়েছে কলকারখানা আর পরিবহন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা উন্নয়ন কাজ। আবর্জনা পোড়ানোর অপসংস্কৃতির কারণেও বায়ুদূষণ ঘটে। এসব কারণে ঢাকাকে বরাবরই বায়ুদূষণের মতো ভয়াবহ সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। শীতে বায়ুদূষণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কুয়াশার প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়েছে, এতে জমা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা। বৃষ্টি ছাড়া বায়ু দূষণের বিপদ থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থাকলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে না।
নগর কর্তৃপক্ষ বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে সড়কে সড়কে পানি ছিটাচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও পানি ছিটান। এতে সাময়িক স্বস্তি মেলে। তবে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা রোধে এটা খুব বেশি কাজে দেয় না। যে কারণে বারবারই ঢাকাকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে হচ্ছে।
বায়ুদূষণ যে শুধু ঢাকার সমস্যা তা নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার তুলনায় খারাপ অবস্থায় আছে।
বায়ুদূষণকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ কাজ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষকরে সরকারি সংস্কার কাজে সমন্বয় সাধন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এক রাস্তা একাধিকবার খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ইটভাটাগুলো রাজধানীর পাশ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। আইন মেনে ইটভাটা চালাতে হবে। শিল্পকারখানা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা জরুরি। আবর্জনা পোড়ানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করা দরকার।
গাছপালা ও জলাশয় ছাড়া বায়ুদূষণের বিপদ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে সবুজ নগরীতে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা বাস্তবায়ন করা ছাড়া ঢাকাকে সবুজ করা বা রাখা কঠিন হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৩
গত শুক্র থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৬ দিনই বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ ছিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এর মধ্যে আজ সকালে ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ছিল ৩৭২। দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকাটি প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার।
একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অবস্থায় বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। ঢাকার একিউআই এর চেয়েও অনেক বেশি।
রাজধানী ঢাকার চারপাশজুড়ে রয়েছে ইটভাটা, এর অভ্যন্তরে রয়েছে কলকারখানা আর পরিবহন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা উন্নয়ন কাজ। আবর্জনা পোড়ানোর অপসংস্কৃতির কারণেও বায়ুদূষণ ঘটে। এসব কারণে ঢাকাকে বরাবরই বায়ুদূষণের মতো ভয়াবহ সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। শীতে বায়ুদূষণের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কুয়াশার প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়েছে, এতে জমা হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর সূক্ষ্ম বস্তুকণা। বৃষ্টি ছাড়া বায়ু দূষণের বিপদ থেকে দ্রুত রক্ষা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থাকলে জনস্বাস্থ্যের বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব হবে না।
নগর কর্তৃপক্ষ বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে সড়কে সড়কে পানি ছিটাচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও পানি ছিটান। এতে সাময়িক স্বস্তি মেলে। তবে বায়ুদূষণের ভয়াবহতা রোধে এটা খুব বেশি কাজে দেয় না। যে কারণে বারবারই ঢাকাকে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করতে হচ্ছে।
বায়ুদূষণ যে শুধু ঢাকার সমস্যা তা নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশের ৫৪টি জেলারই বায়ুর মান আদর্শ মাত্রার তুলনায় খারাপ অবস্থায় আছে।
বায়ুদূষণকে টেকসইভাবে মোকাবিলা করতে হলে, পরিবেশবান্ধব নির্মাণ কাজ নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষকরে সরকারি সংস্কার কাজে সমন্বয় সাধন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সমন্বয় করে কাজ করলে এক রাস্তা একাধিকবার খোঁড়াখুঁড়ির যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাবে। বায়ুদূষণকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সংকট হিসেবে দেখতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এটি সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
ইটভাটাগুলো রাজধানীর পাশ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। আইন মেনে ইটভাটা চালাতে হবে। শিল্পকারখানা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা জরুরি। আবর্জনা পোড়ানোর অপসংস্কৃতি ত্যাগ করা দরকার।
গাছপালা ও জলাশয় ছাড়া বায়ুদূষণের বিপদ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে সবুজ নগরীতে রূপান্তর করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বিকেন্দ্রীকরণের ধারণা বাস্তবায়ন করা ছাড়া ঢাকাকে সবুজ করা বা রাখা কঠিন হবে।