alt

সম্পাদকীয়

শিশুশ্রম নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক

: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

শিশুশ্রম নির্মূল করার কথা ছিল ২০১৬ সালের মধ্যে। ২০১০ সালের প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নির্মূল নীতিমালায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে- এখনো শিশুশ্রম আছে। গত বুধবার জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দেশে এখনো শিশুশ্রমে নিয়োজিত আছে ১৭ লাখ শিশু। এর মধ্যে ১২ লাখ শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।

নির্ধারিত সময়ের পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও শিশুশ্রম নির্মূল করা যায়নি। এটা হতাশাজনক। তবে অতীত পরিসংখ্যান থেকে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু চিত্র মেলে। ২০০৩ সালে দেশে শিশু শ্রমিক ছিল ৩৪ লাখ। সেই তুলনায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কমেছে। তবে করোনা মহামারীতে শিশুশ্রম আবার বেড়েছে। সাধারণত নিম্নবিত্ত পরিবারেরর শিশু ও পথশিশুরাই শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে শিশুশ্রমে নিযুক্ত হয়েছে।

বিবিএস-এর জরিপ বলছে, দেশে ১৮টি খাতে কাজকর্মে নিয়োজিত ১৬ লাখ ৯৮ হাজার শিশু। আর এই শিশুশ্রমে নেমে পড়ার মূল কারণ দারিদ্র্যতা। যে সময় আনন্দ-উল্লাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার কথা তখন শিশু শ্রমিকরা থাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। শিক্ষাবঞ্চিত এসব শিশু দিন-রাত পরিশ্রম করে। তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

শিশুশ্রম নির্মূল হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করতে না পারে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে এনে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা জরুরি।

কিছু পরিবার আছে যাদের শিশুরা কাজ না করলে সংসার চলবে না। এ ধরনের পরিবারের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। কোভিড-১৯-এ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উপার্জনের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন. শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য সর্বপ্রথম দারিদ্র্যতা হ্রাস করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে শিশুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া গেলে সব শিশুই একদিন আপন প্রতিভায় সমুজ্জ্বল হবে। তাই শিশুশ্রম নির্মূল নিরসনে সরকার তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

শিশুশ্রম নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

শিশুশ্রম নির্মূল করার কথা ছিল ২০১৬ সালের মধ্যে। ২০১০ সালের প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নির্মূল নীতিমালায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বাস্তবতা হচ্ছে- এখনো শিশুশ্রম আছে। গত বুধবার জাতীয় সংসদে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, দেশে এখনো শিশুশ্রমে নিয়োজিত আছে ১৭ লাখ শিশু। এর মধ্যে ১২ লাখ শিশু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত।

নির্ধারিত সময়ের পর ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও শিশুশ্রম নির্মূল করা যায়নি। এটা হতাশাজনক। তবে অতীত পরিসংখ্যান থেকে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু চিত্র মেলে। ২০০৩ সালে দেশে শিশু শ্রমিক ছিল ৩৪ লাখ। সেই তুলনায় শিশু শ্রমিকের সংখ্যা অনেক কমেছে। তবে করোনা মহামারীতে শিশুশ্রম আবার বেড়েছে। সাধারণত নিম্নবিত্ত পরিবারেরর শিশু ও পথশিশুরাই শিশুশ্রমে নিয়োজিত হয়। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকে শিশুশ্রমে নিযুক্ত হয়েছে।

বিবিএস-এর জরিপ বলছে, দেশে ১৮টি খাতে কাজকর্মে নিয়োজিত ১৬ লাখ ৯৮ হাজার শিশু। আর এই শিশুশ্রমে নেমে পড়ার মূল কারণ দারিদ্র্যতা। যে সময় আনন্দ-উল্লাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার কথা তখন শিশু শ্রমিকরা থাকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে। শিক্ষাবঞ্চিত এসব শিশু দিন-রাত পরিশ্রম করে। তাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বাধাপ্রাপ্ত হয়।

শিশুশ্রম নির্মূল হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। কোনো প্রতিষ্ঠান যাতে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত করতে না পারে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে ফিরিয়ে এনে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করা জরুরি।

কিছু পরিবার আছে যাদের শিশুরা কাজ না করলে সংসার চলবে না। এ ধরনের পরিবারের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। কোভিড-১৯-এ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের উপার্জনের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন. শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য সর্বপ্রথম দারিদ্র্যতা হ্রাস করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে শিশুর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া গেলে সব শিশুই একদিন আপন প্রতিভায় সমুজ্জ্বল হবে। তাই শিশুশ্রম নির্মূল নিরসনে সরকার তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top