alt

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে যত ইটভাটা আছে তার ৫৯ ভাগই অবৈধ। সরকারি হিসাবে দেশে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩টি। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ইটভাটা মাত্রই পরিবেশ দূষণ ঘটায়। তবে নিয়ম মেনে বৈধভাবে যেসব ইটভাটা গড়ে ওঠে, যেসব ভাটা নিয়ম মেনে ইট তৈরি করে সেসব ভাটায় পরিবেশ দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। ইটভাটার অবস্থান, চিমনির উচ্চতা, জ্বালানি ইত্যাদি কারণে পরিবেশ দূষণে তারতম্য ঘটে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর মধ্যে আইন মানার বালাই থাকে না।

কোনো বসতির পাশে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বনাঞ্চলের পাশে ইটভাটা গড়ে তোলা যায় না। ফসলি জমি, খালবিল, নদীনালা থেকে মাটি কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো বনের গাছ কেটে ইটভাটায় পোড়ানো যায় না। ২০১৩ সালে করা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে স্থায়ী চিমনির ইটভাটা নিষিদ্ধ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির চিমনির পরিবর্তে টানেল চুলা, ইমপ্রুভড জিগজ্যাগ চুলা বা হাইব্রিড হফম্যান চুলা ব্যবহার করার কথা বলা হয়। সনাতন ধারার চিমনি থেকে অবিরত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হয়। সেই ধোঁয়ার সঙ্গে ছাইও ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের ওপর। এতে ওজন স্তরের ক্ষতি হয় মারাত্মকভাবে। আর এ থেকে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়।

নিয়ম হচ্ছে আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন এলাকা, পৌরসভা বা উপজেলা সদরে, বনাঞ্চলের আশপাশে, জলাভূমির ধারে, কৃষিজমির কাছাকাছি এবং পরিবেশের ওপর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে-এমন স্থানে ইটভাটা গড়ে তোলা যাবে না। এসব এলাকার দুই কিলোমিটারের বাইরে ইটভাটা তৈরি করতে হবে; কিন্তু একটি শ্রেণি খেয়াল-খুশিমতো যেখানে-সেখানে ভাটা তৈরি করছে। এসব ভাটা তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয় না।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে অবৈধ ইটভাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এজন্য বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালালে হবে না। তালিকা ধরে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। যারা আইন অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোথাও কোনো অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হলে কেউ আর অবৈধভাবে ইটভাটা প্রস্তুতের সাহস পাবে না।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধ ইটভাটা বন্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

দেশে যত ইটভাটা আছে তার ৫৯ ভাগই অবৈধ। সরকারি হিসাবে দেশে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৩টি। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ইটভাটা মাত্রই পরিবেশ দূষণ ঘটায়। তবে নিয়ম মেনে বৈধভাবে যেসব ইটভাটা গড়ে ওঠে, যেসব ভাটা নিয়ম মেনে ইট তৈরি করে সেসব ভাটায় পরিবেশ দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। ইটভাটার অবস্থান, চিমনির উচ্চতা, জ্বালানি ইত্যাদি কারণে পরিবেশ দূষণে তারতম্য ঘটে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোর মধ্যে আইন মানার বালাই থাকে না।

কোনো বসতির পাশে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বনাঞ্চলের পাশে ইটভাটা গড়ে তোলা যায় না। ফসলি জমি, খালবিল, নদীনালা থেকে মাটি কাটার ক্ষেত্রে নিয়ম-কানুন রয়েছে। খেয়ালখুশিমতো বনের গাছ কেটে ইটভাটায় পোড়ানো যায় না। ২০১৩ সালে করা ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনে স্থায়ী চিমনির ইটভাটা নিষিদ্ধ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির চিমনির পরিবর্তে টানেল চুলা, ইমপ্রুভড জিগজ্যাগ চুলা বা হাইব্রিড হফম্যান চুলা ব্যবহার করার কথা বলা হয়। সনাতন ধারার চিমনি থেকে অবিরত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বের হয়। সেই ধোঁয়ার সঙ্গে ছাইও ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশের ওপর। এতে ওজন স্তরের ক্ষতি হয় মারাত্মকভাবে। আর এ থেকে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হয়।

নিয়ম হচ্ছে আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি করপোরেশন এলাকা, পৌরসভা বা উপজেলা সদরে, বনাঞ্চলের আশপাশে, জলাভূমির ধারে, কৃষিজমির কাছাকাছি এবং পরিবেশের ওপর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে-এমন স্থানে ইটভাটা গড়ে তোলা যাবে না। এসব এলাকার দুই কিলোমিটারের বাইরে ইটভাটা তৈরি করতে হবে; কিন্তু একটি শ্রেণি খেয়াল-খুশিমতো যেখানে-সেখানে ভাটা তৈরি করছে। এসব ভাটা তৈরির সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া হয় না।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে অবৈধ ইটভাটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। এজন্য বিচ্ছিন্নভাবে অভিযান চালালে হবে না। তালিকা ধরে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। যারা আইন অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা গড়ে তুলছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কোথাও কোনো অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হলে কেউ আর অবৈধভাবে ইটভাটা প্রস্তুতের সাহস পাবে না।

back to top