alt

সম্পাদকীয়

কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন

: বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সাতটি ইউনিয়নের ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত ক্লিনিকে যান না। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে কতদিন ও কতক্ষণ স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে সেটা নির্দিষ্ট করা আছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা সহায়কদের মধ্যে কে কবে স্বাস্থ্যসেবা দেবেন সেটাও নির্ধারিত। প্রশ্ন হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে তারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটা দেখভাল করার কেউ আছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি নিয়মিত মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিত তাহলে ঝিনাইগাতীর হাজারো মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হতে হতো না। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম মনিটর করে না।

শুধু ঝিনাইগাতীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অপেশাদারিত্ব, অবকাঠামোগত সমস্যা, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব, ওষুধ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার ১৯৯৯ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে মোট কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫শ। প্রতিটি ক্লিনিকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা পরামর্শ দেয়ার কথা। ক্লিনিকগুলো এসব সেবা কতটা দিতে পারছে, সেবার মান কেমন সেটা মূল্যায়ন করা জরুরি।

দিনে দিনে ক্লিনিকের সেবার মান বাড়বে, সেবার পরিধি বাড়বে, সেবার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বাড়বে, আরও বেশিসংখ্যক মানুষ এই সেবার আওতায় আসবে- সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোন কোন কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষ ন্যূনতম সেবা পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পেশাদারিত্বের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি তারা ক্লিনিকে উপস্থিত পর্যন্ত থকেন না। তাহলে মানুষ সেবা পাবে কিভাবে?

কমিউনিটি ক্লিনিকে ভালোভাবে চলতে থাকা একটি ব্যবস্থা এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল কেন সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। ক্লিনিকগুলোর দুর্দশার কারণ কী, সমস্যাগুলো কী তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্লিনিকগুলোতে যদি মানসম্মত সেবা দেয়া না যায়, তাহলে একসময় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে তা ব্যর্থ হবে। আমরা চাই না, কোনো প্রান্তিক মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হোক।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন

বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর সাতটি ইউনিয়নের ২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত ক্লিনিকে যান না। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহে কতদিন ও কতক্ষণ স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে সেটা নির্দিষ্ট করা আছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা সহায়কদের মধ্যে কে কবে স্বাস্থ্যসেবা দেবেন সেটাও নির্ধারিত। প্রশ্ন হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে তারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটা দেখভাল করার কেউ আছে কিনা।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি নিয়মিত মনিটরিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিত তাহলে ঝিনাইগাতীর হাজারো মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হতে হতো না। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম মনিটর করে না।

শুধু ঝিনাইগাতীতেই নয়, দেশের অনেক স্থানেই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সেবা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের অপেশাদারিত্ব, অবকাঠামোগত সমস্যা, প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব, ওষুধ সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার ১৯৯৯ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে মোট কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৫শ। প্রতিটি ক্লিনিকে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্যবিষয়ক নানা পরামর্শ দেয়ার কথা। ক্লিনিকগুলো এসব সেবা কতটা দিতে পারছে, সেবার মান কেমন সেটা মূল্যায়ন করা জরুরি।

দিনে দিনে ক্লিনিকের সেবার মান বাড়বে, সেবার পরিধি বাড়বে, সেবার সঙ্গে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের দক্ষতা বাড়বে, আরও বেশিসংখ্যক মানুষ এই সেবার আওতায় আসবে- সেটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কোন কোন কমিউনিটি ক্লিনিকে মানুষ ন্যূনতম সেবা পাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পেশাদারিত্বের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এমনকি তারা ক্লিনিকে উপস্থিত পর্যন্ত থকেন না। তাহলে মানুষ সেবা পাবে কিভাবে?

কমিউনিটি ক্লিনিকে ভালোভাবে চলতে থাকা একটি ব্যবস্থা এখন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল কেন সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে। ক্লিনিকগুলোর দুর্দশার কারণ কী, সমস্যাগুলো কী তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। ক্লিনিকগুলোতে যদি মানসম্মত সেবা দেয়া না যায়, তাহলে একসময় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে তা ব্যর্থ হবে। আমরা চাই না, কোনো প্রান্তিক মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হোক।

back to top