alt

সম্পাদকীয়

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

: বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩

খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ম-দুর্নীতির অনেক অভিযোগই পাওয়া গেছে। ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও এসেছে। যে কারণে তিনি কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস-এর চাল, আটার মতো জরুরি খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হলে মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করছে সরকার। এতে হয়তো একটা শৃঙ্খলা আসবে। মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে পণ্য কিনতে হবে না হয়তো। ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমানো যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্পমূল্যে ওএমএস-এর পণ্য কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি এখন অনেক মধ্যবিত্তেরও ভরসা ওএমএস-এর পণ্য।

ওএমএস-এর কার্ড কারা পাবেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করব, উপকারভোগী নির্বাচনে বা কার্ড বিতরণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হবে না।

তবে ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে ব্যবস্থাপনার ঘাটতিই একমাত্র সমস্যা নয়। এখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও আছে। প্রায়ই ওএমএস-এর পণ্য পাচারের খবর পাওয়া যায়। এর আগে গণমাধ্যমে হাজার হাজার কেজি চাল পাচারের একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাচার হওয়ার সময় অনেক চাল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাচারা যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই-একজনকে গ্রেপ্তারের কথা শোনা যায়।

অভিযোগ রয়েছে যে, বিপুল পরিমাণ চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোনো কেনো অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি এসব অভিযোগেরও সুরাহা করা জরুরি।

ওএমএস-এর পণ্য পাচার বন্ধ করা না গেলে প্রকৃত উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাচারের অভিযোগে চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে বা জেলে ভরে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ডিলারদের বিরুদ্ধেও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩

খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রিতে অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ম-দুর্নীতির অনেক অভিযোগই পাওয়া গেছে। ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরেও এসেছে। যে কারণে তিনি কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস-এর চাল, আটার মতো জরুরি খাদ্যপণ্য বিক্রি করা হলে মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করছে সরকার। এতে হয়তো একটা শৃঙ্খলা আসবে। মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে পণ্য কিনতে হবে না হয়তো। ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমানো যায়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্পমূল্যে ওএমএস-এর পণ্য কিনতে পারলে তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি এখন অনেক মধ্যবিত্তেরও ভরসা ওএমএস-এর পণ্য।

ওএমএস-এর কার্ড কারা পাবেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশা করব, উপকারভোগী নির্বাচনে বা কার্ড বিতরণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হবে না।

তবে ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে ব্যবস্থাপনার ঘাটতিই একমাত্র সমস্যা নয়। এখানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগও আছে। প্রায়ই ওএমএস-এর পণ্য পাচারের খবর পাওয়া যায়। এর আগে গণমাধ্যমে হাজার হাজার কেজি চাল পাচারের একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। পাচার হওয়ার সময় অনেক চাল জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাচারা যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই-একজনকে গ্রেপ্তারের কথা শোনা যায়।

অভিযোগ রয়েছে যে, বিপুল পরিমাণ চাল পাচারের সঙ্গে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে কোনো কেনো অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে। ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি এসব অভিযোগেরও সুরাহা করা জরুরি।

ওএমএস-এর পণ্য পাচার বন্ধ করা না গেলে প্রকৃত উপকারভোগীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাচারের অভিযোগে চুনোপুঁটিদের গ্রেপ্তার করে বা জেলে ভরে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। পাচারের নেপথ্যে কারা আছে সেটা খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। ডিলারদের বিরুদ্ধেও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top