alt

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

: বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই মেশিন চার মাস ধরে অকেজো। চিকিৎসা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। এমআরআই মেশিনটি মেরামত করতে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগবে। হাসপাতালের অকোজো মেশিন মেরামতের দায়িত্ব নিমিইউ অ্যান্ড টিসি কর্তৃপক্ষের। অর্থ ছাড়ের জন্য ওই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হলেও তারা অর্থছাড়ে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেলের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এমআরআই মেশিনটি গত বছর অক্টোবর মাসে নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার এমআরআই পরীক্ষার জন্য রোগীদের এখন দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে গিয়ে একদিকে তাদের যেমন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে, তেমনি হয়রানিরও স্বীকার হচ্ছেন তারা। যাদের টাকা আছে তারা বাইরে থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন। প্রতিদিন এই এমআরআই মেশিনে ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু মেশিনটি অকেজো হয়ে যাওয়া পর চিকিৎসাসুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।

কোটি টাকা মূল্যের মেশিনটি এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হলে অন্যান্য যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন হচ্ছে, মেশিনটি মেরামত করানো হচ্ছে না কেন। মেরামত না করা কারণে সেটা একপর্যায়ে অকেজো হয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি এর দায় এড়াতে পারবে।

শুধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নয়, দেশের অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বিকল হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে তা সচল করতে কর্র্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে সেটাই স্বাভাবিক। আর তা হলে রোগীরা চিকিৎসাবঞ্চিত হয় না, তাদের ভোগান্তিও পোহাতে হয় না।

রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য ওই হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটি দ্রুত মেরমাত করা হয়েছে এবং রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।

সিরাজগঞ্জের ট্রমা সেন্টারটি দ্রুত চালু করুন

রুদ্র প্রকৃতি

দুমকির ভাড়ানি খালে সেতু চাই

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

ভৈরবে খাল খননে বাধা দূর করুন

প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

খোয়াই নদী বাঁচাতে টেকসই ব্যবস্থা নিন

নিমতলী ট্র্যাজেডি থেকে কী শিক্ষা নিয়েছি আমরা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

বাসাইলে সেতু পুনর্নির্মাণে পদক্ষেপ নিন

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

বুধবার, ০১ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমআরআই মেশিন চার মাস ধরে অকেজো। চিকিৎসা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। এমআরআই মেশিনটি মেরামত করতে ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগবে। হাসপাতালের অকোজো মেশিন মেরামতের দায়িত্ব নিমিইউ অ্যান্ড টিসি কর্তৃপক্ষের। অর্থ ছাড়ের জন্য ওই কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হলেও তারা অর্থছাড়ে আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেলের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

এমআরআই মেশিনটি গত বছর অক্টোবর মাসে নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার এমআরআই পরীক্ষার জন্য রোগীদের এখন দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে গিয়ে একদিকে তাদের যেমন অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে, তেমনি হয়রানিরও স্বীকার হচ্ছেন তারা। যাদের টাকা আছে তারা বাইরে থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন। প্রতিদিন এই এমআরআই মেশিনে ১৫ থেকে ২০ জন রোগীর পরীক্ষা করা হতো। কিন্তু মেশিনটি অকেজো হয়ে যাওয়া পর চিকিৎসাসুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা।

কোটি টাকা মূল্যের মেশিনটি এভাবে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখা হলে অন্যান্য যন্ত্রাংশও নষ্ট হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন হচ্ছে, মেশিনটি মেরামত করানো হচ্ছে না কেন। মেরামত না করা কারণে সেটা একপর্যায়ে অকেজো হয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি এর দায় এড়াতে পারবে।

শুধু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ নয়, দেশের অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বিকল হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে তা সচল করতে কর্র্তৃপক্ষ জরুরি পদক্ষেপ নেবে সেটাই স্বাভাবিক। আর তা হলে রোগীরা চিকিৎসাবঞ্চিত হয় না, তাদের ভোগান্তিও পোহাতে হয় না।

রোগীদের রোগ নির্ণয়ের জন্য ওই হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটি দ্রুত মেরমাত করা হয়েছে এবং রোগীরা নিয়মিত চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top