alt

সম্পাদকীয়

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

: বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

গড়াই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ কাজ গত দুই মাস ধরে করে যাচ্ছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের প্রভাবশালী একটি চক্র। এভাবে বালু তোলার কাজ চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে। তখন বসতভিটা, আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন নদী-তীরের বাসিন্দারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু গড়াই নদীরই নয়, দেশের অনেক নদী থেকেই অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। নদী থেকে বালু তোলা যাবে না তা কিন্তু নয়, তবে সেটা হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। কোনো নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীভাঙন দেখা দিতে পারে। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে একপর্যায়ে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেয়। অনেক মানুষ জীবনের সহায়-সম্বল হারান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বালু তোলা বন্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা একটা প্রশ্ন।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন থাকতেও তা মানা হচ্ছে না কেন। আইন প্রয়োগে সরকারইবা কী করছে।

আমরা বলতে চাই, শুধু মধুখালীর গড়াই নদীর নয়, সব নদীর অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্য করে যারা বালু তোলে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কেউ অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে বের করতে হবে। আইনভঙ্গকারী ব্যক্তি যিনিই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩

গড়াই নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এ কাজ গত দুই মাস ধরে করে যাচ্ছে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের প্রভাবশালী একটি চক্র। এভাবে বালু তোলার কাজ চলতে থাকলে বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন দেখা দিতে পারে। তখন বসতভিটা, আবাদি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন নদী-তীরের বাসিন্দারা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানালেও কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু গড়াই নদীরই নয়, দেশের অনেক নদী থেকেই অবৈধভাবে বালু তোলা হয়। নদী থেকে বালু তোলা যাবে না তা কিন্তু নয়, তবে সেটা হতে হবে পরিকল্পিতভাবে। কোনো নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীভাঙন দেখা দিতে পারে। অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলার কারণে একপর্যায়ে নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেয়। অনেক মানুষ জীবনের সহায়-সম্বল হারান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বালু তোলা বন্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা একটা প্রশ্ন।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা হলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন থাকতেও তা মানা হচ্ছে না কেন। আইন প্রয়োগে সরকারইবা কী করছে।

আমরা বলতে চাই, শুধু মধুখালীর গড়াই নদীর নয়, সব নদীর অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করতে হবে। আইন অমান্য করে যারা বালু তোলে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কেউ অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কিনা, সেটাও তদন্ত করে বের করতে হবে। আইনভঙ্গকারী ব্যক্তি যিনিই হোন না কেন তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top