alt

সম্পাদকীয়

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

: শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি প্লাস) প্রকল্পের আগের উপকারভোগী শ্রমিকদের বাদ দেয়ার অভিযোগ মিলেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছে ঘুষ দাবি করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ দিতে না পারায় তাদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আগে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬৭ জন। বর্তমানে তা কমিয়ে ৫ হাজার ৭১ জন করা হলো কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে।

বঞ্চিত শ্রমিকরা কাজ ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকার অতিদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসৃজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। মূল্যস্ফীতির চাপে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের অর্থনৈতিক সংকট লাঘবে কর্মসৃজন কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পে ১১০ দিনের কর্মসূচিতে প্রতি শ্রমিক মজুরি পান দিন ৪শ টাকা। সে হিসাবে একজন শ্রমিক প্রকল্প শেষে ৪৪ হাজার টাকা পান। এ টাকায় অতিদরিদ্র মানুষ কিছুটা স্বস্তি পান; কিন্তু উলিপুরে অনেক শ্রমিকের সেই স্বস্তিটুকুও মিলিয়ে গেছে। এর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায় কতটা সেটা খাতিয়ে দেখা দরকার।

দেশের অনেক স্থানেই কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। প্রকৃত উপকারভোগীদের যদি বাদ দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে প্রকল্পে লোক নেয়া হয়, তাহলে কর্মসৃজন প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কর্মসৃজন কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা আছে। তারা এ ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করবে- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

উলিপুরে কর্মসৃজন প্রকল্প কর্মসূচির ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা বলতে চাই, প্রকল্পে প্রকৃত উপকারভোগীরা যেন স্থান পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী আগের উপকারভোগীরা কাজ করবেন বলে উপজেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। পুরাতন শ্রমিকদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বলা হয়েছে। আমরা এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি প্লাস) প্রকল্পের আগের উপকারভোগী শ্রমিকদের বাদ দেয়ার অভিযোগ মিলেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের কাছে ঘুষ দাবি করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ দিতে না পারায় তাদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। উলিপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আগে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬৭ জন। বর্তমানে তা কমিয়ে ৫ হাজার ৭১ জন করা হলো কেন সেই প্রশ্নও উঠেছে।

বঞ্চিত শ্রমিকরা কাজ ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

সরকার অতিদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মসৃজন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। মূল্যস্ফীতির চাপে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের অর্থনৈতিক সংকট লাঘবে কর্মসৃজন কর্মসূচি ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পে ১১০ দিনের কর্মসূচিতে প্রতি শ্রমিক মজুরি পান দিন ৪শ টাকা। সে হিসাবে একজন শ্রমিক প্রকল্প শেষে ৪৪ হাজার টাকা পান। এ টাকায় অতিদরিদ্র মানুষ কিছুটা স্বস্তি পান; কিন্তু উলিপুরে অনেক শ্রমিকের সেই স্বস্তিটুকুও মিলিয়ে গেছে। এর জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায় কতটা সেটা খাতিয়ে দেখা দরকার।

দেশের অনেক স্থানেই কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। প্রকৃত উপকারভোগীদের যদি বাদ দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে প্রকল্পে লোক নেয়া হয়, তাহলে কর্মসৃজন প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কর্মসৃজন কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা আছে। তারা এ ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করবে- সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

উলিপুরে কর্মসৃজন প্রকল্প কর্মসূচির ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা বলতে চাই, প্রকল্পে প্রকৃত উপকারভোগীরা যেন স্থান পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী আগের উপকারভোগীরা কাজ করবেন বলে উপজেলা প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। পুরাতন শ্রমিকদের বাদ দিয়ে নতুন শ্রমিকদের নিয়োগ দেয়া হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও বলা হয়েছে। আমরা এ আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

back to top