রোজা শুরু হবে সপ্তাহ দুয়েক পর। তার আগেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে একাধিক মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যে, এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। অবশ্য এমন কথা প্রতিবারই রোজার আগে শোনা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এবারও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়নি। চিনির দাম আরও আগেই বেড়ে গেছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের দাম। দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাম যে এক জায়গায় স্থিতিশীল হবে সেটার আশাও করা যাচ্ছে না।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অনেক দিন ধরে। সাধারণ মানুষকে সংসার চালাতে হচ্ছে অনেক হিসাব কষে, কাটছাঁট করে। সরকারের দেয়া স্বল্পমূল্যের পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারিতে দেখা যায় নতুন নতুন মুখ। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা প্রতিবারই বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এর আগে মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু পণ্য নিয়মিত বিক্রি করা হয়। তা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এর কারণ কী? অনেকে অভিযোগ করে বলেন যে, সুশাসনের অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডলার সংকট, জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া বা অভ্যন্তরীণ মজুতদারির কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু এর বাইরেও দ্রব্যমূল্য বাড়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে-এমন ঘটনা অতীতে ঘটতে দেখা গেছে। যে কারণে প্রশ্ন ওঠে যে, সমস্যার শেকড়ের সন্ধান মিলেছে কিনা। নাকি সমস্যার চূড়ায় হাত দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে না পারলে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা কঠিন হবে।
শনিবার, ০৪ মার্চ ২০২৩
রোজা শুরু হবে সপ্তাহ দুয়েক পর। তার আগেই নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। তবে একাধিক মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যে, এবারের রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না। অবশ্য এমন কথা প্রতিবারই রোজার আগে শোনা যায়। বাস্তবতা হচ্ছে, এবারও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়নি। চিনির দাম আরও আগেই বেড়ে গেছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমসহ আরও কিছু পণ্যের দাম। দাম কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দাম যে এক জায়গায় স্থিতিশীল হবে সেটার আশাও করা যাচ্ছে না।
নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে অনেক দিন ধরে। সাধারণ মানুষকে সংসার চালাতে হচ্ছে অনেক হিসাব কষে, কাটছাঁট করে। সরকারের দেয়া স্বল্পমূল্যের পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের দীর্ঘ সারিতে দেখা যায় নতুন নতুন মুখ। তারা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা প্রতিবারই বলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত আছে। কেউ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। এর আগে মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কিছু পণ্য নিয়মিত বিক্রি করা হয়। তা সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এর কারণ কী? অনেকে অভিযোগ করে বলেন যে, সুশাসনের অভাব এবং সরকারি সংস্থাগুলোর অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ডলার সংকট, জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দামও বাড়ে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়া বা অভ্যন্তরীণ মজুতদারির কারণেও দ্রব্যমূল্য বাড়তে পারে অস্বাভাবিক হারে। কিন্তু এর বাইরেও দ্রব্যমূল্য বাড়ার আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিশ্ববাজারে দাম বাড়েনি কিন্তু দেশে দাম বাড়ছে-এমন ঘটনা অতীতে ঘটতে দেখা গেছে। যে কারণে প্রশ্ন ওঠে যে, সমস্যার শেকড়ের সন্ধান মিলেছে কিনা। নাকি সমস্যার চূড়ায় হাত দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার মূল কারণ খুঁজে বের করা এবং সে অনুযায়ী সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সমস্যার গভীরে পৌঁছাতে না পারলে নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানা কঠিন হবে।