পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে আকস্মিকভাবে জলসার আয়োজন করা হয়নি। আয়োজকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েই জলসার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এটাই সেখানে প্রথম জলসা নয়। সেটি ছিল ৯৮তম জলসা।
জলসা বন্ধের দাবিও উঠেছিল জোরেশোরে, প্রকাশ্যে। যারা এই আয়োজনের বিরোধিতা করছিল তারা ডিসি বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে বলে জানা যায়।
আয়োজকরা বলছেন, প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেয়েই তারা তাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন।
পুলিশ দাবি করছে, অনুষ্ঠান আয়োজনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আমরা জানতে চাইব, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরও একাধিক দিন সেখানে হামলা হলো কীভাবে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল কীভাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার আগে-পরে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। গুজব প্রতিরোধেও প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অতীতেও দেখা গেছে,সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় না বা কালক্ষেপণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনস্থালে পৌঁছায়। আবার ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ ওঠে। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে নামমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে শুধু পঞ্চগড়েই নয় অতীতে ঘটা অনেক সাম্প্রদায়িক হামলাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। সাম্প্রদায়িক হামলার ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ জানা ও তা নস্যাৎ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন এ ধরনের আগাম তথ্য জানতে পারে কিনা, জানলে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রশাসনকে কেউ উদ্যোগী হয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার কথা জানালেও তারা গদাইলস্করি চালে কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয় আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেই হিসাব করতে হবে।
পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। হামলা প্রতিরোধে কারও কোন ব্যর্থতা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের ‘সালানা জলসা’কে কেন্দ্র করে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। সেখানে আকস্মিকভাবে জলসার আয়োজন করা হয়নি। আয়োজকরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়েই জলসার দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর এটাই সেখানে প্রথম জলসা নয়। সেটি ছিল ৯৮তম জলসা।
জলসা বন্ধের দাবিও উঠেছিল জোরেশোরে, প্রকাশ্যে। যারা এই আয়োজনের বিরোধিতা করছিল তারা ডিসি বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে বলে জানা যায়।
আয়োজকরা বলছেন, প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেয়েই তারা তাদের কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন।
পুলিশ দাবি করছে, অনুষ্ঠান আয়োজনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। আমরা জানতে চাইব, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরও একাধিক দিন সেখানে হামলা হলো কীভাবে। লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটল কীভাবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার আগে-পরে অনেক গুজব ছড়িয়েছে। গুজব প্রতিরোধেও প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অতীতেও দেখা গেছে,সাম্প্রদায়িক হামলার আশঙ্কার কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে আগে জানানো হলেও তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় না বা কালক্ষেপণ করে। কোন কোন ক্ষেত্রে হামলার কয়েক ঘন্টা পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনস্থালে পৌঁছায়। আবার ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব ভূমিকা পালনের অভিযোগ ওঠে। সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। মাঝেমধ্যে নামমাত্র প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে শুধু পঞ্চগড়েই নয় অতীতে ঘটা অনেক সাম্প্রদায়িক হামলাই প্রতিরোধ করা সম্ভব হতো বলে আমরা মনে করি। সাম্প্রদায়িক হামলার ‘পূর্ব পরিকল্পনা’ জানা ও তা নস্যাৎ করা প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন এ ধরনের আগাম তথ্য জানতে পারে কিনা, জানলে কী ব্যবস্থা নেয় সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রশাসনকে কেউ উদ্যোগী হয়ে সাম্প্রদায়িক হামলার কথা জানালেও তারা গদাইলস্করি চালে কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসনের গদাইলস্করি চালের কারণে কারা লাভবান হয় আর কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেই হিসাব করতে হবে।
পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। হামলা প্রতিরোধে কারও কোন ব্যর্থতা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।