বছর না ঘুরতেই আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আগুনে দগ্ধ ১২ জনকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।
শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এই কারখানায় কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার ছিল। সিলিন্ডারগুলো অনেক সময় পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্ত কমিটি সেটা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে। সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডে এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুন বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ৫১ জন মারা গিয়েছিলেন। অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন ও পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারখানার ঝুঁকি নিরূপণে ও নিরসনে নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কারখানায় এগুলো করা হয়েছিল কিনা সেটা জানতে হবে।
কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অনেক কারখানায় এর ঘাটতি দেখা যায়। অগ্নিনির্বাপণ বা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তার ১০ শতাংশও নিয়মও এসব কারখানা মেনে চলে না। ফলে বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটে বা তা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষের যেমন দায় আছে, তেমনি অনুমোদনকারী সংস্থাগুলোও এ দায় এড়াতে পারে না।
কোন একটা দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার কারণও উদ্ঘাটন করে তারা। এসব ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশ করে। সেই সুপারিশগুলো মেনে চললে কারখানায় বিস্ফোরণের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। দায়িত্ব-কর্তব্যে যাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়-সেটা আমরা জানতে চাই। সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কারও কোন গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
রোববার, ০৫ মার্চ ২০২৩
বছর না ঘুরতেই আবারও ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। এবারের ঘটনাটি ঘটেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামের একটি কারখানায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণে ৬ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। আগুনে দগ্ধ ১২ জনকে চমেকে ভর্তি করা হয়েছে।
শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের এই কারখানায় কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে এখনো জানা যায়নি। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, দুর্ঘটনাস্থলে অনেক সিলিন্ডার ছিল। সিলিন্ডারগুলো অনেক সময় পরীক্ষা করা হয় না। বিস্ফোরণের অনেক কারণ থাকতে পারে। তদন্ত কমিটি সেটা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছে। সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডে এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুন বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ৫১ জন মারা গিয়েছিলেন। অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন ও পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। কারখানার ঝুঁকি নিরূপণে ও নিরসনে নিয়মিত মনিটরিং করতে হয়। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। সংশ্লিষ্ট কারখানায় এগুলো করা হয়েছিল কিনা সেটা জানতে হবে।
কারখানাগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি। অনেক কারখানায় এর ঘাটতি দেখা যায়। অগ্নিনির্বাপণ বা অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে যেসব ব্যবস্থা বা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, তার ১০ শতাংশও নিয়মও এসব কারখানা মেনে চলে না। ফলে বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনা ঘটে বা তা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায় না। এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকপক্ষের যেমন দায় আছে, তেমনি অনুমোদনকারী সংস্থাগুলোও এ দায় এড়াতে পারে না।
কোন একটা দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার কারণও উদ্ঘাটন করে তারা। এসব ঘটনা রোধে কিছু সুপারিশ করে। সেই সুপারিশগুলো মেনে চললে কারখানায় বিস্ফোরণের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা হয়তো এড়ানো সম্ভব হতো। দায়িত্ব-কর্তব্যে যাদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়-সেটা আমরা জানতে চাই। সীতাকুণ্ডের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে কারও কোন গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের স্বজনদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।