কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ৯, ১০, ১২ ব্লকেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনের ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছে রোহিঙ্গারা।
ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশ সূত্র বলছে, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সন্দেহজনক এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চলছে।
রোহিঙ্গারা বলছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি ব্লকের ঘরে কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কিছু সদস্যের আনাগোনা ছিল। তাদের ওপর দোষ চাপানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা এ অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে গত ১৮ জানুয়ারি ঘটা অগ্নিকান্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।
আগুন লাগার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা যে নাশকতার দাবি করছে তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে একাধিক স্বার্থান্বেষীগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। আগুন লাগার পেছনে এসব গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। একটি চক্র চায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা তৈরি হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১১ জন মারা যায়, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সূত্র বলছে, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২২২টি। এর মধ্যে ৯৯টি দুর্ঘটনাজনিত।
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ঘরগুলো মূলত বাঁশ, খড়, ছনের তৈরি। যা সহজেই আগুনে ভস্মীভূত হয়। ক্যাম্পে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা ও থাকলেও সেগুলোর ভূমিকা কী ছিল তাও খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করা জরুরি।
বাড়িঘর, সহায়-সম্বল হারিয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছে রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে। তাদের আশ্রয়ের জন্য আবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ১১ নম্বর ক্যাম্পের বি ব্লকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে ৯, ১০, ১২ ব্লকেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। গৃহহারা হয়েছে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা। আগুনের ঘটনাকে নাশকতা বলে দাবি করছে রোহিঙ্গারা।
ক্যাম্পে নিয়োজিত পুলিশ সূত্র বলছে, কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সন্দেহজনক এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আগুনের রহস্য উদ্ঘাটনে অনুসন্ধান চলছে।
রোহিঙ্গারা বলছে, আগুনে পুড়ে যাওয়া তিনটি ব্লকের ঘরে কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) কিছু সদস্যের আনাগোনা ছিল। তাদের ওপর দোষ চাপানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ সশস্ত্রগোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা এ অগ্নিকান্ড ঘটাতে পারে। এ ঘটনার সঙ্গে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে গত ১৮ জানুয়ারি ঘটা অগ্নিকান্ডের যোগসূত্র থাকতে পারে।
আগুন লাগার ব্যাপারে রোহিঙ্গারা যে নাশকতার দাবি করছে তা উড়িয়ে দেয়া যায় না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে একাধিক স্বার্থান্বেষীগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। আগুন লাগার পেছনে এসব গোষ্ঠীর যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। একটি চক্র চায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পকে ঘিরে অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা তৈরি হোক। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।
একই ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই সময় ১১ জন মারা যায়, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়েছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সূত্র বলছে, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ২২২টি। এর মধ্যে ৯৯টি দুর্ঘটনাজনিত।
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ঘরগুলো মূলত বাঁশ, খড়, ছনের তৈরি। যা সহজেই আগুনে ভস্মীভূত হয়। ক্যাম্পে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কিনা ও থাকলেও সেগুলোর ভূমিকা কী ছিল তাও খতিয়ে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো খুঁজে বের করা জরুরি।
বাড়িঘর, সহায়-সম্বল হারিয়ে রোহিঙ্গাদের অনেকেই এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছে রাস্তার পাশে। ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য দ্রুত শুকনো খাবার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে হবে। তাদের আশ্রয়ের জন্য আবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।