alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

: বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩

রাজধানী ঢাকার সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি।

সিদ্দিক বাজারে ভবন বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, রাজধানী মগবাজারে ২০২১ সালের জুন মাসে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার সঙ্গে সিদ্দিকবাজারের ঘটনার মিল রয়েছে। রাজধানীতে একটি দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটছে আরেকটি দুর্ঘটনা। তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীর দুটি ভবনে ঘটেছে বিস্ফোরণ। সপ্তাহ দুয়েক আগে গুলশানে ভবনে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ঢাকা শহর এখন ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে তোলা হয়েছে। রাজধানীর একেক এলাকার ঝুঁকি একেক রকমের। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকার মধ্যে রাসায়নিক গুদাম গড়ে উঠছে। অনেক ভবন নির্মাণেই মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। পয়োবর্জ্য লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাসের লাইন প্রভৃতি স্থাপনে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিদ্যমান অবস্থায় ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। এর মূল কারণ ‘ম্যাপিং’ নেই।

ভবন বিস্ফোরণের পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত কারণ হয়তো জানা যাবে। অতীতে দেখা গেছে এধরনের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে ভবন নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, নজরদারি প্রভৃতি স্তরে কোনো নরা কোনো ত্রুটি রয়েছে। ভবনগুলো যদি নিয়ম মেনে না তৈরি হয় তাহলে তাতে ত্রুটি আর ঝুঁকি থাকার আশঙ্কাই বেশি থাকে। নিয়ম লঙ্ঘন করে ভবন গড়ে উঠলে ঢাকা যে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠবে তাতে বিস্ময়রে কিছু নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা ইতোমধ্যে ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’ নগরীতে পরিণত হয়েছে ।

প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা শহর যে ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’ শহরে উপনীত হয়েছে তার জন্য কারও কোনো দায় রয়েছে কিনা। ভবনগুলো যখন নির্মাণ করা হয় তখন সেটা নিয়ম মেনে তৈরি করা হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করার দায়িত্ব কার? তারা কি তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে?

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত ভবনগুলোকে কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে। ভবিষতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাতে গড়ে উঠতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

যক্ষ্মা নির্মূলে কাজ করে যেতে হবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলা

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

আসন্ন বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩

রাজধানী ঢাকার সিদ্দিক বাজারে একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করি।

সিদ্দিক বাজারে ভবন বিস্ফোরণের কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, রাজধানী মগবাজারে ২০২১ সালের জুন মাসে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল তার সঙ্গে সিদ্দিকবাজারের ঘটনার মিল রয়েছে। রাজধানীতে একটি দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটছে আরেকটি দুর্ঘটনা। তিন দিনের ব্যবধানে রাজধানীর দুটি ভবনে ঘটেছে বিস্ফোরণ। সপ্তাহ দুয়েক আগে গুলশানে ভবনে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিস বলছে, ঢাকা শহর এখন ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে তোলা হয়েছে। রাজধানীর একেক এলাকার ঝুঁকি একেক রকমের। পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকার মধ্যে রাসায়নিক গুদাম গড়ে উঠছে। অনেক ভবন নির্মাণেই মানা হয়নি বিল্ডিং কোড। পয়োবর্জ্য লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, গ্যাসের লাইন প্রভৃতি স্থাপনে বিশৃঙ্খলা রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বলছে, বিদ্যমান অবস্থায় ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। এর মূল কারণ ‘ম্যাপিং’ নেই।

ভবন বিস্ফোরণের পেছনে কোনো না কোনো কারণ রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত কারণ হয়তো জানা যাবে। অতীতে দেখা গেছে এধরনের দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের তদন্তে ভবন নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ, নজরদারি প্রভৃতি স্তরে কোনো নরা কোনো ত্রুটি রয়েছে। ভবনগুলো যদি নিয়ম মেনে না তৈরি হয় তাহলে তাতে ত্রুটি আর ঝুঁকি থাকার আশঙ্কাই বেশি থাকে। নিয়ম লঙ্ঘন করে ভবন গড়ে উঠলে ঢাকা যে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠবে তাতে বিস্ময়রে কিছু নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা ইতোমধ্যে ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’ নগরীতে পরিণত হয়েছে ।

প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকা শহর যে ‘বিস্ফোরণোন্মুখ’ শহরে উপনীত হয়েছে তার জন্য কারও কোনো দায় রয়েছে কিনা। ভবনগুলো যখন নির্মাণ করা হয় তখন সেটা নিয়ম মেনে তৈরি করা হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করার দায়িত্ব কার? তারা কি তাদের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে?

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণের ঘটনাগুলো সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নিত ভবনগুলোকে কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে। ভবিষতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন যাতে গড়ে উঠতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

back to top