হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার এবং মেরামতের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল; কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সেখানকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতি বছরই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। বাস্তবতা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে সেই কাজ শেষ করা হয় না। আর কৃষকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করেন।
বোরো হচ্ছে হাওর এলকার একমাত্র ফসল। যদি কোনো কারণে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল হয় তাহলে বোরোর ক্ষতি হয়। তখন সেখানকার কৃষকদের দুর্গতির শেষ থাকে না। আগাম বন্যা হাওরের কৃষকদের অনেকবারই সর্বস্বান্ত করেছে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয় মূলত আগাম বন্যার কথা মাথায় রেখে। শুধু বাঁধই তাদের আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
সমস্যা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করেন ঢিমেতালে। আগাম বন্যা নিয়ে তাদের মধ্যে কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কোনরকমে একটা বাঁধ তৈরি করে কিভাবে বিল তুলে নেবেন সেই ভাবনায় তারা দিন পার করেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হয়। এতে কাজের মান ভালো হয় না।
বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে কিনা সেটা তদারকির দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। তারা কাজটা ঠিকমতো করে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণে আগাম বন্যায় যদি ফসলের ক্ষতি হয় তার দায়িত্ব কি পাউবো নেবে।
প্রতি বছরই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কালক্ষেপণ করা হয়। এই গাফিলতি মেনে নেয়া যায় না। যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জগন্নাথপুরসহ হাওরের যেসব স্থানে বাঁধ নির্মাণ এখনো সম্পন্ন হয়নি সেখানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতে যেন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শেষ হয় সেটা নিশ্চিত করতে এখনই সচেতন হতে হবে।
বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩
হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার এবং মেরামতের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল; কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সেখানকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতি বছরই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। বাস্তবতা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে সেই কাজ শেষ করা হয় না। আর কৃষকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করেন।
বোরো হচ্ছে হাওর এলকার একমাত্র ফসল। যদি কোনো কারণে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল হয় তাহলে বোরোর ক্ষতি হয়। তখন সেখানকার কৃষকদের দুর্গতির শেষ থাকে না। আগাম বন্যা হাওরের কৃষকদের অনেকবারই সর্বস্বান্ত করেছে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয় মূলত আগাম বন্যার কথা মাথায় রেখে। শুধু বাঁধই তাদের আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
সমস্যা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করেন ঢিমেতালে। আগাম বন্যা নিয়ে তাদের মধ্যে কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কোনরকমে একটা বাঁধ তৈরি করে কিভাবে বিল তুলে নেবেন সেই ভাবনায় তারা দিন পার করেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হয়। এতে কাজের মান ভালো হয় না।
বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে কিনা সেটা তদারকির দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। তারা কাজটা ঠিকমতো করে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণে আগাম বন্যায় যদি ফসলের ক্ষতি হয় তার দায়িত্ব কি পাউবো নেবে।
প্রতি বছরই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কালক্ষেপণ করা হয়। এই গাফিলতি মেনে নেয়া যায় না। যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জগন্নাথপুরসহ হাওরের যেসব স্থানে বাঁধ নির্মাণ এখনো সম্পন্ন হয়নি সেখানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতে যেন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শেষ হয় সেটা নিশ্চিত করতে এখনই সচেতন হতে হবে।