alt

সম্পাদকীয়

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

: বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩

হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার এবং মেরামতের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল; কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সেখানকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতি বছরই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। বাস্তবতা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে সেই কাজ শেষ করা হয় না। আর কৃষকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করেন।

বোরো হচ্ছে হাওর এলকার একমাত্র ফসল। যদি কোনো কারণে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল হয় তাহলে বোরোর ক্ষতি হয়। তখন সেখানকার কৃষকদের দুর্গতির শেষ থাকে না। আগাম বন্যা হাওরের কৃষকদের অনেকবারই সর্বস্বান্ত করেছে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয় মূলত আগাম বন্যার কথা মাথায় রেখে। শুধু বাঁধই তাদের আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

সমস্যা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করেন ঢিমেতালে। আগাম বন্যা নিয়ে তাদের মধ্যে কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কোনরকমে একটা বাঁধ তৈরি করে কিভাবে বিল তুলে নেবেন সেই ভাবনায় তারা দিন পার করেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হয়। এতে কাজের মান ভালো হয় না।

বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে কিনা সেটা তদারকির দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। তারা কাজটা ঠিকমতো করে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণে আগাম বন্যায় যদি ফসলের ক্ষতি হয় তার দায়িত্ব কি পাউবো নেবে।

প্রতি বছরই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কালক্ষেপণ করা হয়। এই গাফিলতি মেনে নেয়া যায় না। যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জগন্নাথপুরসহ হাওরের যেসব স্থানে বাঁধ নির্মাণ এখনো সম্পন্ন হয়নি সেখানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতে যেন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শেষ হয় সেটা নিশ্চিত করতে এখনই সচেতন হতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

বুধবার, ০৮ মার্চ ২০২৩

হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সংস্কার এবং মেরামতের কাজ ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা ছিল; কিন্তু সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কোনো কোনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। সেখানকার একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে না হতেই বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মধ্যে রশি টানাটানির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতি বছরই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার জন্য সরকার সময় নির্ধারণ করে দেয়। বাস্তবতা হচ্ছে নির্ধারিত সময়ে সেই কাজ শেষ করা হয় না। আর কৃষকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করেন।

বোরো হচ্ছে হাওর এলকার একমাত্র ফসল। যদি কোনো কারণে আগাম বন্যা বা পাহাড়ি ঢল হয় তাহলে বোরোর ক্ষতি হয়। তখন সেখানকার কৃষকদের দুর্গতির শেষ থাকে না। আগাম বন্যা হাওরের কৃষকদের অনেকবারই সর্বস্বান্ত করেছে। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার করা হয় মূলত আগাম বন্যার কথা মাথায় রেখে। শুধু বাঁধই তাদের আগাম বন্যার ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।

সমস্যা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করেন ঢিমেতালে। আগাম বন্যা নিয়ে তাদের মধ্যে কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। কোনরকমে একটা বাঁধ তৈরি করে কিভাবে বিল তুলে নেবেন সেই ভাবনায় তারা দিন পার করেন। অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে তড়িঘড়ি করে কাজ করা হয়। এতে কাজের মান ভালো হয় না।

বাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে কিনা সেটা তদারকির দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো)। তারা কাজটা ঠিকমতো করে না বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে বেড়িবাঁধের নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার কারণে আগাম বন্যায় যদি ফসলের ক্ষতি হয় তার দায়িত্ব কি পাউবো নেবে।

প্রতি বছরই হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে কালক্ষেপণ করা হয়। এই গাফিলতি মেনে নেয়া যায় না। যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার কারণ অনুসন্ধান করে দেখতে হবে, এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। জগন্নাথপুরসহ হাওরের যেসব স্থানে বাঁধ নির্মাণ এখনো সম্পন্ন হয়নি সেখানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে। আগামীতে যেন সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ে কাজ শেষ হয় সেটা নিশ্চিত করতে এখনই সচেতন হতে হবে।

back to top