alt

সম্পাদকীয়

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

বন্যহাতির অভয়ারণ্য ধ্বংস করে মৎস্য ও পোলট্রি খামার এবং ফল-সবজির বাগানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইন্দা খোন্দকারপাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে খামার আর বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরেই। গাছপালা কেটে বা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হচ্ছে। সেখানে প্লট আকারে জমি বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই বন ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কীভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের গাছপালা বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রক্ষা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

দেশের বনগুলো দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বন দখল হয়ে গেছে। প্রায়ই হাতি, বানর, শেয়ালের মতো অনেক বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। সাধারণত বনে খাবারের অভাব দেখা দিলে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসে।

বন উজাড়িকরণের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশের সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান রক্ষা করতে ও তাদের খাদ্য সংস্থান নিশ্চিত করতে, দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে।

বন রক্ষায় বনবিভাগকে তৎপর হতে হবে। কক্সবাজারে বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন ধ্বংসকারীরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয়। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া যায় সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

আজ সেই কালরাত্রি : গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে হবে

সাতক্ষীরা হাসপাতালের ডায়ালাসিস মেশিন সংকট দূর করুন

পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি

আর কত অপেক্ষার পর বিধবা ছালেহার ভাগ্যে ঘর মিলবে

tab

সম্পাদকীয়

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩

বন্যহাতির অভয়ারণ্য ধ্বংস করে মৎস্য ও পোলট্রি খামার এবং ফল-সবজির বাগানের কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কক্সবাজারের রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির চাইন্দা খোন্দকারপাড়ার পশ্চিমের পাহাড়ে। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে খামার আর বাগান তৈরির প্রক্রিয়া চলছে অনেক দিন ধরেই। গাছপালা কেটে বা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হচ্ছে। সেখানে প্লট আকারে জমি বিক্রি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বন উজাড় করে প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বন বিভাগের নাকের ডগার ওপর দিয়েই বন ধ্বংস করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই ধ্বংসযজ্ঞে বনবিভাগের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীও জড়িত। বন উজাড় করে কীভাবে নিজের আখের গোছানো যায় তারা সেই চিন্তায় ব্যস্ত। বনের গাছপালা বন্যপ্রাণীর বাসস্থান রক্ষা নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই।

দেশের বনগুলো দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর সংরক্ষিত বন দখল হয়ে গেছে। প্রায়ই হাতি, বানর, শেয়ালের মতো অনেক বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসে। সাধারণত বনে খাবারের অভাব দেখা দিলে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসে।

বন উজাড়িকরণের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। দেশের সংরক্ষিত বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বন্যপ্রাণীদের বাসস্থান রক্ষা করতে ও তাদের খাদ্য সংস্থান নিশ্চিত করতে, দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে।

বন রক্ষায় বনবিভাগকে তৎপর হতে হবে। কক্সবাজারে বন ধ্বংসের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। বন ধ্বংসের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। বন ধ্বংসকারীরা সাধারণত স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে এমন ব্যক্তিরা এসব তৎপরতায় লিপ্ত হয়। তাই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের দমন করার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তাদের সঙ্গে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে যোগসাজশের অভিযোগ পাওয়া যায় সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। বনভূমি তদারকির ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।

back to top