পাকা সড়ক না থাকায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেখানে যানবাহন বলতে রয়েছে ভাড়ায়চালিত মোটরবাইক। তবে বৃষ্টি হলে মেঠোপথে মোটরবাইকে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটি পাকা সড়ক হলে সেখানকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ লাঘব হবে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
চরাঞ্চলের মানুষদের যে শুধু যাতায়াত-যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা নয়। তাদের জীবনমান নানান কারণেই পিছিয়ে রয়েছে। তাদের কল্যাণে সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয় কিন্তু সেই অর্থ অনেক সময় ব্যয় করা হয় না। অভিযোগ রয়েছে যে, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অতীতে পরপর দুইবার বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হলেও সেখান থেকে তাদের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়নি।
বাজেট বরাদ্দের পরও চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কেন কাজ করা হলো না সেটা একটি প্রশ্ন। এ অপারগতার কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।
চরাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা যেমন উন্নয়নবঞ্চিত, তেমনি উন্নয়নের মূলধারাতেও তারা সংযুক্ত হতে পারেনি। সমন্বয়হীনতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে চরাঞ্চল নিয়ে সরকারের অনেক ভালো উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখে না। আমরা বলতে চাই, চরের মানুষের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকাতে হবে। তাদের সার্বিক উন্নয়নে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলে পাকা সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। সেখানে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই দুই ইউনিয়নে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে নিত্যদিন তাদের অনেক কষ্ট সইতে হয়। একটি পাকা রাস্তা হলে হাজারও মানুষ সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। এতে চরের কৃষির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পথ সুগম করার জন্যও উন্নত যোগাযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে- সেটা আমাদের আশা।
দৌলতপুরের মতো দেশে এমন আরও চর এলাকা রয়েছে যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত নয়। সেসব স্থানেও প্রয়োজনীয় সড়ক ও সেতু নির্মাণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
পাকা সড়ক না থাকায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেখানে যানবাহন বলতে রয়েছে ভাড়ায়চালিত মোটরবাইক। তবে বৃষ্টি হলে মেঠোপথে মোটরবাইকে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটি পাকা সড়ক হলে সেখানকার মানুষের যাতায়াত-যোগাযোগে দুর্ভোগ লাঘব হবে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
চরাঞ্চলের মানুষদের যে শুধু যাতায়াত-যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা নয়। তাদের জীবনমান নানান কারণেই পিছিয়ে রয়েছে। তাদের কল্যাণে সরকার অর্থ বরাদ্দ দেয় কিন্তু সেই অর্থ অনেক সময় ব্যয় করা হয় না। অভিযোগ রয়েছে যে, চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য অতীতে পরপর দুইবার বাজেটে ৩০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হলেও সেখান থেকে তাদের জন্য কোনো অর্থ ব্যয় করা হয়নি।
বাজেট বরাদ্দের পরও চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কেন কাজ করা হলো না সেটা একটি প্রশ্ন। এ অপারগতার কারণ খতিয়ে দেখা হয়েছে কিনা সেটা আমরা জানতে চাইব।
চরাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা যেমন উন্নয়নবঞ্চিত, তেমনি উন্নয়নের মূলধারাতেও তারা সংযুক্ত হতে পারেনি। সমন্বয়হীনতা এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে চরাঞ্চল নিয়ে সরকারের অনেক ভালো উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখে না। আমরা বলতে চাই, চরের মানুষের দিকে সহানুভূতির দৃষ্টিতে তাকাতে হবে। তাদের সার্বিক উন্নয়নে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলে পাকা সড়ক নির্মাণ করা জরুরি। সেখানে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী এই দুই ইউনিয়নে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস করে। ভঙ্গুর যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে নিত্যদিন তাদের অনেক কষ্ট সইতে হয়। একটি পাকা রাস্তা হলে হাজারও মানুষ সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে। এতে চরের কৃষির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পথ সুগম করার জন্যও উন্নত যোগাযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেবে- সেটা আমাদের আশা।
দৌলতপুরের মতো দেশে এমন আরও চর এলাকা রয়েছে যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত নয়। সেসব স্থানেও প্রয়োজনীয় সড়ক ও সেতু নির্মাণ করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।