চাঁদপুরের কচুয়ায় বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই। শিক্ষার্থীরাও নোট-গাইড বই নির্ভর হয়ে পড়ছে। নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই কিনতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও একশ্রেণীর শিক্ষক। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাঁদপুরেই যে নোট-গাইড বইয়ের বাণিজ্য চলছে তা নয়। দেশের প্রায় সব স্থানেই নোট-গাইড বেচাকেনা হয়। প্রকাশ্যে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিকসহ সব শ্রেণীর সকল বিষয়ের সৃজনশীল গাইড ও নোট বই বিক্রির ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বেচাকেনা হলেও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।
নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করতে ১৯৮০ সালে সরকার একটি আইন করেছে। সেই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সালে একটি নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে দেখা যায় না। আইন বাস্তবায়ন হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইড প্রকাশিত হতে পারত না, আর তা প্রকাশ্যে বেচাকেনাও হতো না। নোট-গাইড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো নোট-গাইড বাণিজ্য শুরু হয়।
শিক্ষা বিষয়ক দপ্তর বলছে, নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন থাকলেও আইন বাস্তবায়নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় দেশের সর্বত্র একইভাবে গাইড ও নোট বই বিক্রি হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং-বাণিজ্য আর নোট-গাইড বাণিজ্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যত দিন কোচিং বাণিজ্য থাকবে, তত দিন নোট-গাইড বাণিজ্যও চলবে।
নোট-গাইড বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অসাধু প্রকাশক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক হতো। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকেও নোট-গাইড বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা হলে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড নির্ভরতা কমবে।
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
চাঁদপুরের কচুয়ায় বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই। শিক্ষার্থীরাও নোট-গাইড বই নির্ভর হয়ে পড়ছে। নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই কিনতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও একশ্রেণীর শিক্ষক। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাঁদপুরেই যে নোট-গাইড বইয়ের বাণিজ্য চলছে তা নয়। দেশের প্রায় সব স্থানেই নোট-গাইড বেচাকেনা হয়। প্রকাশ্যে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিকসহ সব শ্রেণীর সকল বিষয়ের সৃজনশীল গাইড ও নোট বই বিক্রির ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বেচাকেনা হলেও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।
নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করতে ১৯৮০ সালে সরকার একটি আইন করেছে। সেই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সালে একটি নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে দেখা যায় না। আইন বাস্তবায়ন হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইড প্রকাশিত হতে পারত না, আর তা প্রকাশ্যে বেচাকেনাও হতো না। নোট-গাইড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো নোট-গাইড বাণিজ্য শুরু হয়।
শিক্ষা বিষয়ক দপ্তর বলছে, নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন থাকলেও আইন বাস্তবায়নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় দেশের সর্বত্র একইভাবে গাইড ও নোট বই বিক্রি হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং-বাণিজ্য আর নোট-গাইড বাণিজ্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যত দিন কোচিং বাণিজ্য থাকবে, তত দিন নোট-গাইড বাণিজ্যও চলবে।
নোট-গাইড বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অসাধু প্রকাশক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক হতো। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকেও নোট-গাইড বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা হলে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড নির্ভরতা কমবে।