alt

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

: মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

চাঁদপুরের কচুয়ায় বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই। শিক্ষার্থীরাও নোট-গাইড বই নির্ভর হয়ে পড়ছে। নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই কিনতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও একশ্রেণীর শিক্ষক। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু চাঁদপুরেই যে নোট-গাইড বইয়ের বাণিজ্য চলছে তা নয়। দেশের প্রায় সব স্থানেই নোট-গাইড বেচাকেনা হয়। প্রকাশ্যে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিকসহ সব শ্রেণীর সকল বিষয়ের সৃজনশীল গাইড ও নোট বই বিক্রির ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বেচাকেনা হলেও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।

নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করতে ১৯৮০ সালে সরকার একটি আইন করেছে। সেই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সালে একটি নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়।

কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে দেখা যায় না। আইন বাস্তবায়ন হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইড প্রকাশিত হতে পারত না, আর তা প্রকাশ্যে বেচাকেনাও হতো না। নোট-গাইড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো নোট-গাইড বাণিজ্য শুরু হয়।

শিক্ষা বিষয়ক দপ্তর বলছে, নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন থাকলেও আইন বাস্তবায়নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় দেশের সর্বত্র একইভাবে গাইড ও নোট বই বিক্রি হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং-বাণিজ্য আর নোট-গাইড বাণিজ্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যত দিন কোচিং বাণিজ্য থাকবে, তত দিন নোট-গাইড বাণিজ্যও চলবে।

নোট-গাইড বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অসাধু প্রকাশক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক হতো। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকেও নোট-গাইড বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা হলে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড নির্ভরতা কমবে।

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

tab

সম্পাদকীয়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

চাঁদপুরের কচুয়ায় বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই। শিক্ষার্থীরাও নোট-গাইড বই নির্ভর হয়ে পড়ছে। নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই কিনতে উৎসাহ জোগাচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও একশ্রেণীর শিক্ষক। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু চাঁদপুরেই যে নোট-গাইড বইয়ের বাণিজ্য চলছে তা নয়। দেশের প্রায় সব স্থানেই নোট-গাইড বেচাকেনা হয়। প্রকাশ্যে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রাথমিকসহ সব শ্রেণীর সকল বিষয়ের সৃজনশীল গাইড ও নোট বই বিক্রির ব্যবসা চলছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বেচাকেনা হলেও নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা।

নোট-গাইড বই নিষিদ্ধ করতে ১৯৮০ সালে সরকার একটি আইন করেছে। সেই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ২০০৮ সালে একটি নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়।

কিন্তু বাস্তবে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে দেখা যায় না। আইন বাস্তবায়ন হলে নিষিদ্ধ নোট-গাইড প্রকাশিত হতে পারত না, আর তা প্রকাশ্যে বেচাকেনাও হতো না। নোট-গাইড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন মাঝে-মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালায়। অভিযান শেষ হতে না হতেই আবারো নোট-গাইড বাণিজ্য শুরু হয়।

শিক্ষা বিষয়ক দপ্তর বলছে, নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে সরকারি আইন থাকলেও আইন বাস্তবায়নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো হস্তক্ষেপ না থাকায় দেশের সর্বত্র একইভাবে গাইড ও নোট বই বিক্রি হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং-বাণিজ্য আর নোট-গাইড বাণিজ্য অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যত দিন কোচিং বাণিজ্য থাকবে, তত দিন নোট-গাইড বাণিজ্যও চলবে।

নোট-গাইড বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা জরুরি। আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলে অসাধু প্রকাশক ও ব্যবসায়ীরা সতর্ক হতো। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেবে- সেটাই আমাদের আশা। পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকেও নোট-গাইড বন্ধে ভূমিকা রাখতে হবে। ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করা হলে শিক্ষার্থীদের নোট-গাইড নির্ভরতা কমবে।

back to top