alt

সম্পাদকীয়

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

শকুনকে বলা হয় প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। দেশে পাখিটিকে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও আইইউসিএন বলছে, ১৯৯০ সালে দেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। ২০১২ সালে এসে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৫৫০টিতে।

একসময় শকুনকে অশুভ প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান পাখিটির প্রতি মানুষের এমন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে। এই পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। একমাত্র শকুনই অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদি পশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। জানা যায়, ৪০টি রোগের ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করে শকুন।

প্রকৃতি ও মানুষের জন্য প্রাণ রক্ষাকারী শকুন কেন বিলুপ্তির পথে চলে গেল সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরেনারি মেডিসিন-এর গবেষণা জানাচ্ছে, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ।

শকুন রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। কোথাও আহত বা অসুস্থ শকুন দেখলে সংরক্ষক দলের সদস্যরা তাদের উদ্ধার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে- এটাই আমাদের আশা।

শকুনরা বাসা বাঁধে উঁচু গাছে। তাই উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে। শুধু সুন্দরবন ও সিলেট নয়, দেশের যেকোন স্থানে শকুন থাকলে সেখানে তার বসতি রক্ষা করতে হবে। শকুন রক্ষা করতে না পারলে পরিবেশ-প্রকৃতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

অনেক অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী শকুনের মাংস পাখির মাংস বলে বিক্রি করে। শকুন অশুভ পাখি- এমন কুসংস্কারের জন্যেও মানুষ শকুন হত্যা করে। নির্বিচারে পাখি হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে।

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

কুড়িল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

tab

সম্পাদকীয়

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

শকুনকে বলা হয় প্রকৃতির ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’। দেশে পাখিটিকে এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। বন বিভাগ ও আইইউসিএন বলছে, ১৯৯০ সালে দেশে শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। ২০১২ সালে এসে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ৫৫০টিতে।

একসময় শকুনকে অশুভ প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান পাখিটির প্রতি মানুষের এমন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়েছে। এই পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। মৃত প্রাণীর দেহ থেকে ক্ষতিকর জীবাণু প্রকৃতিতে ছড়ানোর আগেই তা খেয়ে ফেলে। গরু ও মানুষের জীবনের জন্য অন্যতম ঝুঁকি হচ্ছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। একমাত্র শকুনই অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত মৃত গবাদি পশুর মাংস খেয়ে হজম করতে পারে। জানা যায়, ৪০টি রোগের ঝুঁকি থেকে মানুষকে রক্ষা করে শকুন।

প্রকৃতি ও মানুষের জন্য প্রাণ রক্ষাকারী শকুন কেন বিলুপ্তির পথে চলে গেল সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শকুন কমে যাওয়ার প্রধান কারণ ছিল ডাইক্লোফেনাক ও কিটোফেন নামের দুটি ওষুধ। গরুর বিভিন্ন রোগে ওষুধ দুটি ব্যবহার করা হতো। গরু মারা গেলেও তার দেহে ওষুধ দুটির কার্যক্ষমতা সক্রিয় থাকত। এ ধরনের গরুর মাংস খাওয়ার কারণে শকুন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কলেজ অব ভেটেরেনারি মেডিসিন-এর গবেষণা জানাচ্ছে, পশু চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাকের ব্যবহার শকুন বিলুপ্তির অন্যতম কারণ।

শকুন রক্ষায় সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার খুলনা ও সিলেটের দুটি এলাকায় ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটার শকুনের জন্য নিরাপদ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঘোষিত এলাকায় শকুনের জন্য নিরাপদ খাবার সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। কোথাও আহত বা অসুস্থ শকুন দেখলে সংরক্ষক দলের সদস্যরা তাদের উদ্ধার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে- এটাই আমাদের আশা।

শকুনরা বাসা বাঁধে উঁচু গাছে। তাই উঁচু গাছ রক্ষা করতে হবে। শুধু সুন্দরবন ও সিলেট নয়, দেশের যেকোন স্থানে শকুন থাকলে সেখানে তার বসতি রক্ষা করতে হবে। শকুন রক্ষা করতে না পারলে পরিবেশ-প্রকৃতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

অনেক অসাধু হোটেল ব্যবসায়ী শকুনের মাংস পাখির মাংস বলে বিক্রি করে। শকুন অশুভ পাখি- এমন কুসংস্কারের জন্যেও মানুষ শকুন হত্যা করে। নির্বিচারে পাখি হত্যা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় হতে হবে।

back to top