সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহীর আদিবাসীরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তানোরের মাহালীপাড়ায় ভূঅভ্যন্তরের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে সেখানে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এরপরও সেখান থেকে যে পানি মেলে তাতে আয়রন ও আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।
পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের। যাদের বড় একটি অংশই আদিবাসী। তাদেরকে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপরও কোনো কোনো দিন পানি মেলে না। পানি সংগ্রহের ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশুদের।
পানি সংকট দূর করতে বরেন্দ্র অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে স্থানীয়দের চাহিদা মিটছে না। আবার অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি। এজন্য অনেকে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপেয় পানিসংকট ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। কাজেই এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করা যাবে না। পানি সংকট দূর করতে টেকসই প্রকল্প নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও অনেক করণীয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এ কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা জরুরি।
ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারেও সচেতন হওয়া জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের বার্ষিক বৃষ্টিপাত ছিল গড়ে ১ হাজার ৪০০ মিলিমিটারের কম। আর এ সময়ে দেশে গড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিমিটার। অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চলে ৪৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষিসহ নানান কাজে সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেও সেখানে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। নির্বিচারে পানি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।
শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহীর আদিবাসীরা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তানোরের মাহালীপাড়ায় ভূঅভ্যন্তরের পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত বৃহস্পতিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে সেখানে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়েছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এরপরও সেখান থেকে যে পানি মেলে তাতে আয়রন ও আর্সেনিকের উপস্থিতি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি।
পানির অভাবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের। যাদের বড় একটি অংশই আদিবাসী। তাদেরকে সুপেয় পানি সংগ্রহের জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এরপরও কোনো কোনো দিন পানি মেলে না। পানি সংগ্রহের ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী ও শিশুদের।
পানি সংকট দূর করতে বরেন্দ্র অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে স্থানীয়দের চাহিদা মিটছে না। আবার অনেক প্রকল্প টেকসই হয়নি। এজন্য অনেকে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপেয় পানিসংকট ভবিষ্যতে বাড়বে বৈ কমবে না। কাজেই এ বিষয়ে এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ দূর করা যাবে না। পানি সংকট দূর করতে টেকসই প্রকল্প নিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও অনেক করণীয় রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এ কাজে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও সম্পৃক্ত করা জরুরি।
ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারেও সচেতন হওয়া জরুরি। বরেন্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হয়। তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলের বার্ষিক বৃষ্টিপাত ছিল গড়ে ১ হাজার ৪০০ মিলিমিটারের কম। আর এ সময়ে দেশে গড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ মিলিমিটার। অর্থাৎ বরেন্দ্র অঞ্চলে ৪৫ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় কৃষিসহ নানান কাজে সেখানে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণেও সেখানে পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। নির্বিচারে পানি উত্তোলন বন্ধ করা না গেলে এই সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না।