মাটি ফেলে গারোইল ও দেয়াইল্যা বিল ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী। বিল ভরাট করা যে বেআইনি সেটা কানেই তুলছেন না তারা। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের বিল দুটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার বোরো ও অন্যান্য ফসলের সেচ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিল দুটির ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিল ভরাট হলে কৃষকের চাষাবাদ হবে বিঘ্নিত। মাছের উৎপাদনও কমবে। ভরাট বিল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জনবসতিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
ভালুকায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিলে ফেলে ভরাটের কাজ চলছে ১৫-২০ দিন ধরে। ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন, বিল দুটি ভরাটে সরকারি অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি সংশ্লিষ্টরা। আইন অমান্য করে সরকারি বিল ভরাটের কাজ চলছে- এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী সে প্রশ্নও এসে যায়।
সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল বা ভরাট করে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্তাব্যক্তির সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে তারা দিনদুপুরেই দখল বা ভরাটের মতো অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখায় এবং অপরাধ করেও তারা পার পেয়ে যায়।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। কিন্তু আইন না মেনেই দেশের অনেক স্থানেই খাল-বিল ভরাট করা হচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, যে কোনো এলাকার জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপন্ন হয়। ভূউপরিস্থ পানির স্বল্পতা দেখা দেবে। এ কারণে যেকোনো মূল্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খাল-বিল ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা আইন অমান্য করে খাল-বিল ভরাট করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩
মাটি ফেলে গারোইল ও দেয়াইল্যা বিল ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী। বিল ভরাট করা যে বেআইনি সেটা কানেই তুলছেন না তারা। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া ইউনিয়নের গোয়ারী গ্রামের বিল দুটি ভরাট হয়ে গেলে এলাকার বোরো ও অন্যান্য ফসলের সেচ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটবে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিল দুটির ওপর সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকাংশে নির্ভরশীল। বিল ভরাট হলে কৃষকের চাষাবাদ হবে বিঘ্নিত। মাছের উৎপাদনও কমবে। ভরাট বিল দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হলে জনবসতিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।
ভালুকায় ফসলি জমির মাটি কেটে বিলে ফেলে ভরাটের কাজ চলছে ১৫-২০ দিন ধরে। ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন, বিল দুটি ভরাটে সরকারি অনুমতি নেয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি সংশ্লিষ্টরা। আইন অমান্য করে সরকারি বিল ভরাটের কাজ চলছে- এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা কী সে প্রশ্নও এসে যায়।
সাধারণত স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল বা ভরাট করে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রশাসনের একশ্রেণীর অসাধু কর্তাব্যক্তির সঙ্গে তাদের যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে তারা দিনদুপুরেই দখল বা ভরাটের মতো অপকর্ম করার দুঃসাহস দেখায় এবং অপরাধ করেও তারা পার পেয়ে যায়।
প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ অনুযায়ী কোনো পুকুর, জলাশয়, নদী, খাল ভরাট করা বেআইনি। এই বিধান লঙ্ঘন করলে আইনের ৮ ও ১২ ধারা অনুযায়ী ৫ বছরের কারাদ- বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। কিন্তু আইন না মেনেই দেশের অনেক স্থানেই খাল-বিল ভরাট করা হচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, যে কোনো এলাকার জলাশয় ও পুকুরগুলো ভরাট হয়ে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ বিপন্ন হয়। ভূউপরিস্থ পানির স্বল্পতা দেখা দেবে। এ কারণে যেকোনো মূল্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খাল-বিল ভরাট বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা আইন অমান্য করে খাল-বিল ভরাট করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।