alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

: শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

রোজা এগিয়ে আসছে, নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। রোজাকে কেন্দ্র করে ছোলা, চিনি, বেসনের মতো যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেসবের দাম বেড়েছে আগেই। মাছ-মাংসের দাম চড়া। সবজির বাজারে স্বস্তি নেই।

সংযমের মাস রমজান। এ সময়ে দেশে বরাবরই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। রোজায় কেন দাম বাড়ে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেকে বলেন, এই মাসে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। ভোক্তারা কেনাকাটা বাড়িয়ে দেন। অনেক ভোক্তা বাড়তি পণ্য কিনে মজুদ করেন। যার প্রভাব পড়ে বাজারে। যে কারণে সরকার প্রতি রোজায় সাধারণ মানুষকে পণ্য কিনে মজুদ না করার আহ্বান জানায়। এবারও প্রধানমন্ত্রী রোজায় বেশি পণ্য কিনে ঘরে মজুদ না করবার আহ্বান জানিয়েছেন।

এবারের রোজায় সাধারণ মানুষ বাড়তি পণ্য কিনছেন বলে জানা যাচ্ছে না। কারণ সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। মহামারী করোনায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে তারা অনেক কাটছাট করছেন। পণ্য মজুদ করার চিন্তাও এবার করেননি অনেকে। যে কারণে বাজারে পণ্যের চাহিদা কমেছে। চাহিদায় ভাটা পড়ায় খুচরা বিক্রেতারাও পণ্য কিনছেন কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

পণ্যের চাহিদা কমলে, এর দাম কমবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে বলে জানা যায় না। মুরগির দাম বেড়েছে। সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশের কোনো কোনো বাজারে অবশ্য ছোলার দাম সামান্য কমেছে বলে জানা যায়। তবে চাহিদা যতটা কমেছে, দাম তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কমেছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

বাজারে সরবরাহ থাকলেও দেশে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চাহিদা কমলেও দাম কমে না। এর কারণ কী?

অভিযোগ রয়েছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। তারা খেয়ালখুশি মতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিনের পর দিন ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অতীতে অনেকবার বলেছেন, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঘোষণা আর বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে।

বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতটা দক্ষ সেই প্রশ্ন রয়েছে। যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে কোনো ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না। শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হোক

আবার সড়ক দুর্ঘটনা, আবার মৃত্যু

চরের শিশুদের শিক্ষার পথের বাধা দূর করুন

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বিল ভরাট বন্ধ করুন

বরন্দ্রে অঞ্চলে পানি সংকট

শকুন রক্ষায় তৎপর হতে হবে

সুনামগঞ্জে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

শিশুর অপুষ্টি চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

গ্যাস জমে ভবন বিস্ফোরণ ও তিতাসের দায়

নিষিদ্ধ নোট-গাইড বই বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিন

চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘব করুন

বড়খালের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

বন রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ময়ূর নদ খননে সব বাধা দূর করুন

বন্যপ্রাণী পাচার বন্ধে কঠোর হোন

দেলুয়াবাড়ী চরের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করুন

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় ঘাটতি কোথায়

সুন্দরগঞ্জের সাব-প্রাণিসম্পদ কল্যাণ কেন্দ্রটির সংকট নিরসন করুন

বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের পাঠযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করুন

জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের প্রতিকার করুন

দূর হোক মজুরি বৈষম্য

নির্ধারিত সময়ে হাওরের বাঁধ নির্মাণ করা হয় না কেন

রাজধানীতে ভবন বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকান্ড প্রসঙ্গে

সীতাকুণ্ডে আরেকটি ট্র্যাজেডি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক হামলা প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলবে কীভাবে

কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগ দিন

অবৈধভাবে নদীর বালু তোলা বন্ধ করুন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নির্যাতিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে হবে

চট্টগ্রাম হাসপাতালের অকেজো এমআরআই মেশিন মেরামতে পদক্ষেপ নিন

ওএমএস-এর পণ্য বিক্রিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হোক

কুড়িল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে চাই শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থাপনা

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

রোজা এগিয়ে আসছে, নিত্যপণ্যের দামও বাড়ছে। রোজাকে কেন্দ্র করে ছোলা, চিনি, বেসনের মতো যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেসবের দাম বেড়েছে আগেই। মাছ-মাংসের দাম চড়া। সবজির বাজারে স্বস্তি নেই।

সংযমের মাস রমজান। এ সময়ে দেশে বরাবরই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। রোজায় কেন দাম বাড়ে সেটা একটা প্রশ্ন। অনেকে বলেন, এই মাসে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। ভোক্তারা কেনাকাটা বাড়িয়ে দেন। অনেক ভোক্তা বাড়তি পণ্য কিনে মজুদ করেন। যার প্রভাব পড়ে বাজারে। যে কারণে সরকার প্রতি রোজায় সাধারণ মানুষকে পণ্য কিনে মজুদ না করার আহ্বান জানায়। এবারও প্রধানমন্ত্রী রোজায় বেশি পণ্য কিনে ঘরে মজুদ না করবার আহ্বান জানিয়েছেন।

এবারের রোজায় সাধারণ মানুষ বাড়তি পণ্য কিনছেন বলে জানা যাচ্ছে না। কারণ সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। মহামারী করোনায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে তারা অনেক কাটছাট করছেন। পণ্য মজুদ করার চিন্তাও এবার করেননি অনেকে। যে কারণে বাজারে পণ্যের চাহিদা কমেছে। চাহিদায় ভাটা পড়ায় খুচরা বিক্রেতারাও পণ্য কিনছেন কম। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।

পণ্যের চাহিদা কমলে, এর দাম কমবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিত্যপণ্যের দাম কমেছে বলে জানা যায় না। মুরগির দাম বেড়েছে। সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশের কোনো কোনো বাজারে অবশ্য ছোলার দাম সামান্য কমেছে বলে জানা যায়। তবে চাহিদা যতটা কমেছে, দাম তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কমেছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

বাজারে সরবরাহ থাকলেও দেশে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। চাহিদা কমলেও দাম কমে না। এর কারণ কী?

অভিযোগ রয়েছে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। তারা খেয়ালখুশি মতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিনের পর দিন ভোক্তাদের পকেট কাটছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অতীতে অনেকবার বলেছেন, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ঘোষণা আর বাস্তবায়নের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকে।

বাজার ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতটা দক্ষ সেই প্রশ্ন রয়েছে। যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কৌশলে কোনো ঘাটতি ও দুর্বলতা থাকলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না। শক্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

back to top