alt

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

: রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৩ আসামির ৪ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দন্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান।

২০১৬ সালে নাসিরনগরের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ৮টি মামলা হয়।

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হচ্ছে- অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যে বা যারাই হোন না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে- এটা ভালো খবর। অভিযোগ আছে যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয় না। এ কারণে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মামলার হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বলে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে। আবার এসব মামলার বেশিরভাগই আলোর মুখ দেখে না। কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার এখনো বিচার হয়নি। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের বাড়িঘর ও বৌদ্ধবিহারে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল।

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বলে এখন অনেকে বিচার চান না। আমরা চাই, দেশে ঘটা প্রতিটি সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হোক। নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার যে বিচার হয়েছে তার ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে হবে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো গেলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা কমবে বলে আশা করা যায়।

সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো নেপথ্যের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বা কমেন্টকে কেন্দ্র করে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি মাত্র পোস্ট বা কমেন্টের কারণে ভয়াবহ আক্রমণ হয় কিভাবে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, পরিকল্পিতভাবে এসব হামলা চালানো হয়। এর পেছনে রয়েছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার, এই ধারা অব্যাহত থাকুক

রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৩ আসামির ৪ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দন্ডিতদের মধ্যে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই চেয়ারম্যান।

২০১৬ সালে নাসিরনগরের বাসিন্দা হিন্দু সম্প্রদায়ের যুবক রসরাজ দাসের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে ইসলাম ধর্মকে অবমাননার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় ৮টি মামলা হয়।

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হচ্ছে- অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যে বা যারাই হোন না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে- এটা ভালো খবর। অভিযোগ আছে যে, দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হয় না। এ কারণে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটে। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মামলার হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বলে এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে। আবার এসব মামলার বেশিরভাগই আলোর মুখ দেখে না। কক্সবাজারে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার এখনো বিচার হয়নি। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধদের বাড়িঘর ও বৌদ্ধবিহারে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছিল।

সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হয় না বলে এখন অনেকে বিচার চান না। আমরা চাই, দেশে ঘটা প্রতিটি সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার হোক। নাসিরনগরে সাম্প্রদায়িক হামলার যে বিচার হয়েছে তার ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে হবে। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতির অবসান ঘটানো গেলে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা কমবে বলে আশা করা যায়।

সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানো নেপথ্যের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। গত এক দশকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্ট বা কমেন্টকে কেন্দ্র করে অনেক সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি মাত্র পোস্ট বা কমেন্টের কারণে ভয়াবহ আক্রমণ হয় কিভাবে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, পরিকল্পিতভাবে এসব হামলা চালানো হয়। এর পেছনে রয়েছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top