alt

সম্পাদকীয়

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের বাসিন্দারা সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন। গভীর নলকূপের কোনো কোনোটি থেকে মিলছে না পানি। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যায়। এ সময়ে চাষাবাদে পানি ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয় শ্যালোমেশিন। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের অনেক এলাকার মানুষকেই সুপেয় পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। নানান কারণে নদ-নদী, খাল-বিল অস্তিত্ব হারাচ্ছে। সুপেয় পানির সংকট মেটাতে অনেক স্থানে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জলাধার গড়ে উঠেছে। তবে এসব জলাধার মানুষের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।

কোনো এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিলে সেটা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। এতে জনসাধারণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ে। প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

সুপেয় পানির সংকট থেকে সংশ্লিষ্ট এলকাগুলোর মানুষকে কিভাবে নিষ্কৃতি দেয়া যায়, তা নিয়ে সরকারকে গভীরভাবে ভাবতে হবে। সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা দরকার। বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে দীর্ঘদিনের জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষের পানির চাহিদা মেটানো কঠিন। তবে এ কাজগুলোও করতে হবে। পানির সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ বসাতে হবে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এর যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা দরকার। উপকূলীয় এলাকয় লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। দেশের মিঠাপানির পুকুরগুলো সংস্কার করে ব্যবহার উপেযোগী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দেশের নদ-নদী রক্ষা করার বিকল্প নেই। সুপেয় পানির বড় উৎস নদ-নদী। কিন্তু মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আত্মঘাতী এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

tab

সম্পাদকীয়

সুপেয় পানির সংকট প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটের বাসিন্দারা সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন। গভীর নলকূপের কোনো কোনোটি থেকে মিলছে না পানি। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের এ কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় খাল-বিলের পানি শুকিয়ে যায়। এ সময়ে চাষাবাদে পানি ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করা হয় শ্যালোমেশিন। যে কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশের অনেক এলাকার মানুষকেই সুপেয় পানির সংকটে ভুগতে হচ্ছে। পানির প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। নানান কারণে নদ-নদী, খাল-বিল অস্তিত্ব হারাচ্ছে। সুপেয় পানির সংকট মেটাতে অনেক স্থানে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় জলাধার গড়ে উঠেছে। তবে এসব জলাধার মানুষের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।

কোনো এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিলে সেটা শুধু খাওয়ার পানির সমস্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা আরও বড় বড় সংকটের কারণ হয়ে ওঠে। এতে জনসাধারণের জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে। তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ে। প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

সুপেয় পানির সংকট থেকে সংশ্লিষ্ট এলকাগুলোর মানুষকে কিভাবে নিষ্কৃতি দেয়া যায়, তা নিয়ে সরকারকে গভীরভাবে ভাবতে হবে। সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা দরকার। বৃষ্টির পানি জলাধারে সংরক্ষণ করে ও পুকুরের পানি ফিল্টারিং করে দীর্ঘদিনের জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষের পানির চাহিদা মেটানো কঠিন। তবে এ কাজগুলোও করতে হবে। পানির সংকট নিরসনে গভীর নলকূপ বসাতে হবে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। এর যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে মানুষকে সচেতন করা দরকার। উপকূলীয় এলাকয় লবণাক্ততা-নিরোধ প্ল্যান্ট বসাতে হবে। দেশের মিঠাপানির পুকুরগুলো সংস্কার করে ব্যবহার উপেযোগী করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দেশের নদ-নদী রক্ষা করার বিকল্প নেই। সুপেয় পানির বড় উৎস নদ-নদী। কিন্তু মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে নদী মারা যাচ্ছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে। ফলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আত্মঘাতী এ প্রবণতা ত্যাগ করতে হবে।

back to top