alt

সম্পাদকীয়

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

: বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডের সাত বছর পেরিয়েছে। হত্যামামলা তদন্ত করেছে একাধিক সংস্থা। বদলেছে তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কোনো আসামি শনাক্ত হয়নি। সোহাগী হত্যার বিচার আদৌ হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরের একটি ঝোঁপ থেকে কলেজছাত্রী সোহাগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন বিকেলে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সোহাগী হত্যামামলার তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। বাস্তবে সেটা হয়নি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা দুইবার ময়নাতদন্ত করেছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি। ২০১৬ সালের মে মাসে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হত্যার আগে সোহাগী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে তারা জানিয়েছিলেন। তারপরও আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি।

আসামি শনাক্ত করার লক্ষ্যে অন্তত ৫০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু তনুর পরিবার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন যে তিনজনের নাম বলেছিল তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর আসামিদের খুঁজে পাওয়া যায় না, নাকি খোঁজাই হয় না- সেটা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সোহাগী হত্যার গতিহীন তদন্তে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, আদৌ এই হত্যামামলার বিচার হবে কিনা।

আমরা বলতে চাই, সোহাগী হত্যাকান্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কোনভাবেই যেন প্রকৃত আসামি বেরিয়ে যেতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। দায়ী ব্যক্তিদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। মানুষ চায় না কোন অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকুক।

সোহাগীর স্বজনরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আইনি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘৃন্য অপরাধের আইনি সমাধান না হলে নাগরিকদের মধ্যে এ নিয়ে হতাশার সৃষ্টি হবে।

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগ করা কাম্য নয়

অবৈধ ইটভাটা : আইনের অমান্যতা ও প্রশাসনের নীরবতা

ভবদহের জলাবদ্ধতা ও আত্মঘাতী প্রকল্পের বিপর্যয়

চায়না দুয়ারী জাল : জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

চাল সংরক্ষণের সাইলো : অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ইরামতি খাল ও রক্তদহ বিলের জলাবদ্ধতা : কৃষকদের দুর্দশার শেষ কোথায়?

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : টেকসই মৎস্যসম্পদ রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা

জলাবদ্ধতার প্রভাব ও শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা : জরুরি সমাধান প্রয়োজন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ও প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

tab

সম্পাদকীয়

সোহাগী হত্যার তদন্ত কবে শেষ হবে

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকান্ডের সাত বছর পেরিয়েছে। হত্যামামলা তদন্ত করেছে একাধিক সংস্থা। বদলেছে তদন্ত কর্মকর্তা। কিন্তু তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কোনো আসামি শনাক্ত হয়নি। সোহাগী হত্যার বিচার আদৌ হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরের একটি ঝোঁপ থেকে কলেজছাত্রী সোহাগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন বিকেলে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যামামলা করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সোহাগী হত্যামামলার তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। বাস্তবে সেটা হয়নি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকরা দুইবার ময়নাতদন্ত করেছেন। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি। ২০১৬ সালের মে মাসে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হত্যার আগে সোহাগী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে তারা জানিয়েছিলেন। তারপরও আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি।

আসামি শনাক্ত করার লক্ষ্যে অন্তত ৫০ সন্দেহভাজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু তনুর পরিবার হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন যে তিনজনের নাম বলেছিল তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর আসামিদের খুঁজে পাওয়া যায় না, নাকি খোঁজাই হয় না- সেটা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সোহাগী হত্যার গতিহীন তদন্তে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, আদৌ এই হত্যামামলার বিচার হবে কিনা।

আমরা বলতে চাই, সোহাগী হত্যাকান্ডের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে কোনভাবেই যেন প্রকৃত আসামি বেরিয়ে যেতে না পারে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। দায়ী ব্যক্তিদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। মানুষ চায় না কোন অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকুক।

সোহাগীর স্বজনরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের আইনি ক্ষেত্রে সমান সুযোগ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার মতো ঘৃন্য অপরাধের আইনি সমাধান না হলে নাগরিকদের মধ্যে এ নিয়ে হতাশার সৃষ্টি হবে।

back to top