alt

সম্পাদকীয়

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

: বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এজন্য ভুক্তভোগীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নাগরিকদের বসবাসস্থল থেকে যেসব গার্হস্থ্য বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা উত্তর তেমুহনীর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জমা করে বাছাই করেন। এছাড়া শহরের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে, ইটের পুল ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় রাস্তার দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় পৌর শহরটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের। পথচারীদের বর্জ্যরে দুর্গন্ধ সয়ে পথ চলতে হচ্ছে। একদিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। যাদের শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা তারাই সেটাকে অপরিচ্ছন্ন করছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো জরুরি একটি কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে না পারে সেই কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অন্য সেবা কিভাবে দেবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ময়লা-আবর্জনা বাছাইয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে শহরের জনবহুল এলাকায় সে কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ডাম্পিং প্লান্টের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেটা বাস্তবায়ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।

ডাম্পিং প্লান্ট অনুমোদনের খবর আমাদের আশান্বিত করেছে। এটা আরও আগেই করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও যে প্লান্টের অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেটা স্বস্তিদায়ক। আমরা আশা করব, দ্রুত প্লান্ট স্থাপন করা হবে। সেটা হলে পৌর বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে।

বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নাগরিকদের সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। এক্ষেত্রে উদাসীনতা-অবহেলার সুযোগ নেই। দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে নাগরিকদের নানান রোগে ভুগতে হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। এছাড়া যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা হলে নগরের সৌন্দর্যহানিও ঘটে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভা নাগরিকদের বসবাস উপযোগী হোক, একটি পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তির হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চাই

বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এজন্য ভুক্তভোগীরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নাগরিকদের বসবাসস্থল থেকে যেসব গার্হস্থ্য বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তা উত্তর তেমুহনীর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে জমা করে বাছাই করেন। এছাড়া শহরের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে, ইটের পুল ও ফায়ার সার্ভিস এলাকায় রাস্তার দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রেখেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় পৌর শহরটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

বর্জ্য অব্যবস্থাপনার জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নাগরিকদের। পথচারীদের বর্জ্যরে দুর্গন্ধ সয়ে পথ চলতে হচ্ছে। একদিকে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। যাদের শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কথা তারাই সেটাকে অপরিচ্ছন্ন করছেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। যে কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো জরুরি একটি কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করতে না পারে সেই কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের অন্য সেবা কিভাবে দেবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, ময়লা-আবর্জনা বাছাইয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে শহরের জনবহুল এলাকায় সে কাজ সম্পন্ন করতে হচ্ছে। তবে আশার কথা হলো, পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ডাম্পিং প্লান্টের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সেটা বাস্তবায়ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।

ডাম্পিং প্লান্ট অনুমোদনের খবর আমাদের আশান্বিত করেছে। এটা আরও আগেই করা উচিত ছিল। দেরিতে হলেও যে প্লান্টের অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেটা স্বস্তিদায়ক। আমরা আশা করব, দ্রুত প্লান্ট স্থাপন করা হবে। সেটা হলে পৌর বর্জ্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে।

বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নাগরিকদের সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। এক্ষেত্রে উদাসীনতা-অবহেলার সুযোগ নেই। দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে নাগরিকদের নানান রোগে ভুগতে হয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। এছাড়া যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা হলে নগরের সৌন্দর্যহানিও ঘটে। লক্ষ্মীপুর পৌরসভা নাগরিকদের বসবাস উপযোগী হোক, একটি পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তির হোক সেটাই আমাদের চাওয়া।

back to top