alt

সম্পাদকীয়

হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত হোক

: মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে একজন নারী মারা গেছেন। সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কমর্রত উক্ত নারীকে গত বুধবার সকালে র‌্যাব আটক করে। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, র‌্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, প্রতারণার অভিযোগে উক্ত নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে র‌্যাব।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। অতীতেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হেফাজতে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবে কিছু প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রায় সব ঘটনায় দেখা যায় যে, নিহত ব্যক্তির স্বজনরা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করেন; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। তখন নিহত বা নির্যাতিত ব্যক্তির স্বজন ও পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বা রিমান্ডে যেসব মানুষ মারা যায় তাদের বিরুদ্ধে নানান অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। নিহত ব্যক্তিকে কোন না কোন মামলার আসামি হিসেবে দাবি করা হয়। অবশ্য অতীতে কোন অপরাধ করার রেকর্ড নেই এমন মানুষও হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। হেফাজতে থাকা একজন নাগরিকের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এড়াতে পারে না।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন থাকলেও তার প্রয়োগ দেখা যায় না। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। এজন্য ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার আশা করেন না। আমরা বলতে চাই- বিচার করা না হলে কোন অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

রাজশাহীতে হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের সুরাহা হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য জানা যেতে পারে। উক্ত নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন রয়েছে কিনা- এসবই ময়নাতদন্তে জানা সম্ভব। ময়নাতদন্তের কাজকে কেউ যেন প্রভাবিত না করে- সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি বন্ধে বাধা কোথায়

বাল্যবিয়ে : সামাজিক এ ব্যাধির নিরাময় করতে হবে সমাজকেই

বাসাইলে সেতু পুনর্নির্মাণে পদক্ষেপ নিন

পাহাড় কাটা কি চলতেই থাকবে

পীরগাছায় আড়াইকুঁড়ি নদীতে সেতু নির্মাণ করুন

বাড়ছে ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা

খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

শিশু নির্যাতন বন্ধে সমাজের মনোভাব বদলানো জরুরি

তেঁতুলিয়ায় ভিডব্লিউবির চাল বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করুন

শিশুর বিকাশে চাই পুষ্টি সচেতনতা

রংপুর শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করতে দেরি কেন

পেঁয়াজের বাড়তি দাম, লাভের গুড় খাচ্ছে কে

পানি সংকট নিরসনে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

কক্সবাজারে অপহরণ বাণিজ্য কেন বন্ধ করা যাচ্ছে না

ভালুকায় সড়ক সংস্কারের কাজ বন্ধ কেন

মানুষ ও হাতি উভয়কেই রক্ষা করতে হবে

দালাল চক্রের হাত থেকে বিদেশ গমনেচ্ছুদের রক্ষা করতে হবে

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে

বিএসটিআইর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিসের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে

সৈয়দপুরে রেলের পয়ঃনিষ্কাশনের নালা দখলমুক্ত করুন

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের প্রয়োগ ঘটাতে হবে

ফরিদপুরে পদ্মার বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাত ও অতি উষ্ণতা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিতে হবে

নদী খননে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পেঁয়াজের দাম ও কিছু প্রশ্ন

সুন্দরগঞ্জে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

প্রান্তিক দরিদ্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে

ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

চাই আর্সেনিকমুক্ত পানি

তারাকান্দার সড়কটি সংস্কার করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতীরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব কেন

দশমিনার খালগুলো রক্ষা করুন

পাহাড় দখল বন্ধে টেকসই পদক্ষেপ নিন

tab

সম্পাদকীয়

হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত হোক

মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে একজন নারী মারা গেছেন। সদর উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী পদে কমর্রত উক্ত নারীকে গত বুধবার সকালে র‌্যাব আটক করে। শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। স্বজনদের অভিযোগ, র‌্যাবের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, প্রতারণার অভিযোগে উক্ত নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে র‌্যাব।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। অতীতেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হেফাজতে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবে কিছু প্রশ্ন দেখা দেয়। প্রায় সব ঘটনায় দেখা যায় যে, নিহত ব্যক্তির স্বজনরা হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করেন; কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। তখন নিহত বা নির্যাতিত ব্যক্তির স্বজন ও পুলিশের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে বা রিমান্ডে যেসব মানুষ মারা যায় তাদের বিরুদ্ধে নানান অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। নিহত ব্যক্তিকে কোন না কোন মামলার আসামি হিসেবে দাবি করা হয়। অবশ্য অতীতে কোন অপরাধ করার রেকর্ড নেই এমন মানুষও হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। হেফাজতে থাকা একজন নাগরিকের নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এড়াতে পারে না।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন থাকলেও তার প্রয়োগ দেখা যায় না। হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না বললেই চলে। এজন্য ভুক্তভোগীরা নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিকার আশা করেন না। আমরা বলতে চাই- বিচার করা না হলে কোন অপরাধ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

রাজশাহীতে হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের সুরাহা হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য জানা যেতে পারে। উক্ত নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন রয়েছে কিনা- এসবই ময়নাতদন্তে জানা সম্ভব। ময়নাতদন্তের কাজকে কেউ যেন প্রভাবিত না করে- সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top