উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আদালত। উক্ত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায় দেয়।
আদালতে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষিত ৩৩ ধারার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এই রায়ের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালনায় তারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। তারা আগের মতো সচিব হিসেবে পরিষদে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।
আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা ভালো বলতে চাই। উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার কারণে উপজেলায় আমলারাই কর্তৃত্ব করে যাচ্ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা হয়ে পড়েছিল গৌণ।
আদালতের রায়ের মাধ্যমে উপজেলা স্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসনের একটি দ্বার উন্মোচিত হলো। সেখানে আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, জনপ্রতিনিধিদের শাসনের চর্চা হবে।
উপজেলার মতো দেশের সর্বস্তরেই যেন জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। আমলাদের শাসন চাই না। দেশের সংবিধানে আমলার শাসনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানে বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। আর জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ শাসন হবে।
দেশে আমলাতন্ত্র দরকার আছে- কিন্তু আমলার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের সুযোগ নেই। আমলার শাসন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আমলাতন্ত্রের শাসন চলেছে। পাকিস্তান আমলে চলেছে সামরিক আমলাতন্ত্র। জনপ্রতিনিধির শাসনের জন্য মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করেছে।
স্বাধীন দেশে মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, জননির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসন করবে সেটাই কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক শাসন কখনো রাজনৈতিক শাসনের স্থান দখল করতে পারে না।
প্রশাসন জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। আর প্রশাসনকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধীনে থেকে কাজ করতে হবে। আইনি সীমার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আদালত। উক্ত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায় দেয়।
আদালতে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষিত ৩৩ ধারার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এই রায়ের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালনায় তারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। তারা আগের মতো সচিব হিসেবে পরিষদে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।
আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা ভালো বলতে চাই। উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার কারণে উপজেলায় আমলারাই কর্তৃত্ব করে যাচ্ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা হয়ে পড়েছিল গৌণ।
আদালতের রায়ের মাধ্যমে উপজেলা স্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসনের একটি দ্বার উন্মোচিত হলো। সেখানে আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, জনপ্রতিনিধিদের শাসনের চর্চা হবে।
উপজেলার মতো দেশের সর্বস্তরেই যেন জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। আমলাদের শাসন চাই না। দেশের সংবিধানে আমলার শাসনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানে বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। আর জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ শাসন হবে।
দেশে আমলাতন্ত্র দরকার আছে- কিন্তু আমলার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের সুযোগ নেই। আমলার শাসন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আমলাতন্ত্রের শাসন চলেছে। পাকিস্তান আমলে চলেছে সামরিক আমলাতন্ত্র। জনপ্রতিনিধির শাসনের জন্য মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করেছে।
স্বাধীন দেশে মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, জননির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসন করবে সেটাই কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক শাসন কখনো রাজনৈতিক শাসনের স্থান দখল করতে পারে না।
প্রশাসন জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। আর প্রশাসনকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধীনে থেকে কাজ করতে হবে। আইনি সীমার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।