alt

সম্পাদকীয়

একটি ভালো রায়

: শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আদালত। উক্ত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায় দেয়।

আদালতে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষিত ৩৩ ধারার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এই রায়ের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালনায় তারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। তারা আগের মতো সচিব হিসেবে পরিষদে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।

আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা ভালো বলতে চাই। উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার কারণে উপজেলায় আমলারাই কর্তৃত্ব করে যাচ্ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা হয়ে পড়েছিল গৌণ।

আদালতের রায়ের মাধ্যমে উপজেলা স্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসনের একটি দ্বার উন্মোচিত হলো। সেখানে আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, জনপ্রতিনিধিদের শাসনের চর্চা হবে।

উপজেলার মতো দেশের সর্বস্তরেই যেন জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। আমলাদের শাসন চাই না। দেশের সংবিধানে আমলার শাসনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানে বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। আর জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ শাসন হবে।

দেশে আমলাতন্ত্র দরকার আছে- কিন্তু আমলার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের সুযোগ নেই। আমলার শাসন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আমলাতন্ত্রের শাসন চলেছে। পাকিস্তান আমলে চলেছে সামরিক আমলাতন্ত্র। জনপ্রতিনিধির শাসনের জন্য মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করেছে।

স্বাধীন দেশে মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, জননির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসন করবে সেটাই কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক শাসন কখনো রাজনৈতিক শাসনের স্থান দখল করতে পারে না।

প্রশাসন জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। আর প্রশাসনকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধীনে থেকে কাজ করতে হবে। আইনি সীমার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

একটি ভালো রায়

শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে আদালত। উক্ত ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায় দেয়।

আদালতে অসাংবিধানিক হিসেবে ঘোষিত ৩৩ ধারার বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) উপজেলার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। এই রায়ের পর উপজেলা প্রশাসন পরিচালনায় তারা নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন না। তারা আগের মতো সচিব হিসেবে পরিষদে সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।

আদালত যে রায় দিয়েছে সেটাকে আমরা ভালো বলতে চাই। উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারার কারণে উপজেলায় আমলারাই কর্তৃত্ব করে যাচ্ছিল। সেখানে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা হয়ে পড়েছিল গৌণ।

আদালতের রায়ের মাধ্যমে উপজেলা স্তরে জনপ্রতিনিধিদের শাসনের একটি দ্বার উন্মোচিত হলো। সেখানে আসলেই জনপ্রতিনিধিরা নেতৃত্ব দেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। আমরা আশা করব, জনপ্রতিনিধিদের শাসনের চর্চা হবে।

উপজেলার মতো দেশের সর্বস্তরেই যেন জনপ্রতিনিধিদের শাসন নিশ্চিত হয় সেটাই আমাদের চাওয়া। আমলাদের শাসন চাই না। দেশের সংবিধানে আমলার শাসনের কোনো সুযোগ নেই। সংবিধানে বলা আছে, দেশের মালিক জনগণ। আর জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ শাসন হবে।

দেশে আমলাতন্ত্র দরকার আছে- কিন্তু আমলার শাসন ব্যবস্থা কায়েমের সুযোগ নেই। আমলার শাসন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে আমলাতন্ত্রের শাসন চলেছে। পাকিস্তান আমলে চলেছে সামরিক আমলাতন্ত্র। জনপ্রতিনিধির শাসনের জন্য মানুষ একাত্তরে যুদ্ধ করেছে।

স্বাধীন দেশে মানুষ জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে, জননির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাসন করবে সেটাই কাম্য। আমরা বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আমলাতান্ত্রিক শাসন কখনো রাজনৈতিক শাসনের স্থান দখল করতে পারে না।

প্রশাসন জনকল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। আর প্রশাসনকে অবশ্যই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধীনে থেকে কাজ করতে হবে। আইনি সীমার মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে।

back to top