alt

সম্পাদকীয়

মনোহরদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করুন

: শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

এক সপ্তাহ আগে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও মাথা গোঁজার জন্য ঘর পায়নি ১৫টিরও বেশি পরিবার। নির্মাণ কাজে ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণেই নির্ধারিত সময়ে ঘরে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে গৃহহীন পরিবারগুলো। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কাগজে-কলমে মনোহরদী উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, কিছুসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন এখনো ঘর পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিন গুনছেন। মনোহরদীর গৃহহীন বৃদ্ধার স্বপ্ন ছিল নিজঘরে তৃপ্তি নিয়ে ঘুমানোর। গৃহবধূ চেয়েছিলেন ঈদের আগে ঘর পেলে বেঁচে যাওয়া বাসা ভাড়া দিয়ে মায়ের চিকিৎসা করাবেন। সন্তান ও স্বজনদের নতুন কাপড় দেবেন। কিন্তু সে আশা অধরাই রয়ে গেল।

নির্ধারিত সময়ে গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বুঝে পাননি। গৃহীনদের ঘর প্রদান প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিতও গেছে। প্রকল্পের নানা অনিয়ম বন্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে টিম গঠন করে মাঠপর্যায়ে পরিদর্শনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কাজ দেখভালের জন্য আছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। এত কিছু থাকতেও ঠিকাদারদের গাফিলতিতে ঘর নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যায় কিভাবে সেটা আমরা জানতে চাইব।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রকল্প এলাকায় কোনো কর্মতৎপরতাও নেই। ঘরের বারান্দায় মাটিই ফেলা হয়নি। ঘরের প্লাস্টার কাজও ধরা হয়নি। দরজা-জানালার কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিদ্যুৎ, পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। কাজ শেষ হতে কত দিন লাগবে, সেটি ঠিকাদাররা বলতে পারছেন না।

আমরা বলতে চাই, অপ্রস্তুত ঘরগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর মাঝে তাদের কাক্সিক্ষত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হোক। যাদের গাফিলতির কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর বুঝে পায়নি তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে

নদী রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি প্রভাবমুক্ত হতে পেরেছে

হরিণার বিলে দখলদারিত্বের অবসান ঘটান

tab

সম্পাদকীয়

মনোহরদীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করুন

শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

এক সপ্তাহ আগে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখনও মাথা গোঁজার জন্য ঘর পায়নি ১৫টিরও বেশি পরিবার। নির্মাণ কাজে ঠিকাদারদের গাফিলতির কারণেই নির্ধারিত সময়ে ঘরে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে গৃহহীন পরিবারগুলো। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কাগজে-কলমে মনোহরদী উপজেলাকে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত’ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, কিছুসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন এখনো ঘর পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিন গুনছেন। মনোহরদীর গৃহহীন বৃদ্ধার স্বপ্ন ছিল নিজঘরে তৃপ্তি নিয়ে ঘুমানোর। গৃহবধূ চেয়েছিলেন ঈদের আগে ঘর পেলে বেঁচে যাওয়া বাসা ভাড়া দিয়ে মায়ের চিকিৎসা করাবেন। সন্তান ও স্বজনদের নতুন কাপড় দেবেন। কিন্তু সে আশা অধরাই রয়ে গেল।

নির্ধারিত সময়ে গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বুঝে পাননি। গৃহীনদের ঘর প্রদান প্রকল্পে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে। এসব খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিতও গেছে। প্রকল্পের নানা অনিয়ম বন্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে টিম গঠন করে মাঠপর্যায়ে পরিদর্শনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা কী ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কাজ দেখভালের জন্য আছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। এত কিছু থাকতেও ঠিকাদারদের গাফিলতিতে ঘর নির্মাণের কাজ পিছিয়ে যায় কিভাবে সেটা আমরা জানতে চাইব।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। তবে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রকল্প এলাকায় কোনো কর্মতৎপরতাও নেই। ঘরের বারান্দায় মাটিই ফেলা হয়নি। ঘরের প্লাস্টার কাজও ধরা হয়নি। দরজা-জানালার কাজ সম্পন্ন হয়নি। বিদ্যুৎ, পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। কাজ শেষ হতে কত দিন লাগবে, সেটি ঠিকাদাররা বলতে পারছেন না।

আমরা বলতে চাই, অপ্রস্তুত ঘরগুলোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর মাঝে তাদের কাক্সিক্ষত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হোক। যাদের গাফিলতির কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘর বুঝে পায়নি তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- এটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top