alt

সম্পাদকীয়

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

: বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সৌদি আরবে কর্মরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা বলছেন, তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে না আনলে তার পক্ষে আত্মহত্যা ছাড়া গত্যান্তর নেই। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সৌদি আরবে শুধু যে একজন প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা নয়। ভাগ্য বদলাতে দেশের অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে মারাও গেছেন। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ নারীকর্মী সৌদি আরবে গেছেন। নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৩৩৬ জন। জাতীয় সংসদেও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দেশের নীতিনির্ধারকরা অতীতে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবে নারীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা সৌদি আরবে যাতে কোন বিপদে না পড়ে সেজন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো সেখানে প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন। সৌদি আরবে নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।

সৌদি আরবে নির্যাতিত উক্ত নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজনরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের আশা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসে যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, তাদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। না হলে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বড় একটা কারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণা। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকে বলছেন, দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর দায়িত্ব না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নারী শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ আমলে নিন

বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

সৌদি আরবে কর্মরত একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনরা বলছেন, তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে না আনলে তার পক্ষে আত্মহত্যা ছাড়া গত্যান্তর নেই। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

সৌদি আরবে শুধু যে একজন প্রবাসী নারী শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তা নয়। ভাগ্য বদলাতে দেশের অনেক নারী শ্রমিক সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতিত হচ্ছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেকে মারাও গেছেন। বাংলাদেশ জনশক্তি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, ১৯৯১ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭০০ নারীকর্মী সৌদি আরবে গেছেন। নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরেছেন ২ হাজার ৩৩৬ জন। জাতীয় সংসদেও প্রবাসী নারী শ্রমিকদের নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

দেশের নীতিনির্ধারকরা অতীতে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, সৌদি আরবে নারীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশি নারী শ্রমিকরা সৌদি আরবে যাতে কোন বিপদে না পড়ে সেজন্য তারা সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। বাস্তবতা হচ্ছে, এখনো সেখানে প্রবাসী নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন। সৌদি আরবে নারী শ্রমিকরা নির্যাতিত হলে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অভিযোগের সুরাহা হওয়া দরকার।

সৌদি আরবে নির্যাতিত উক্ত নারী শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বজনরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে- সেটা আমাদের আশা। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসে যেসব নারী নির্যাতনের শিকার হন, তাদের সঠিকভাবে পুনর্বাসন করতে হবে। না হলে তাদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে নারী শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রবাসে নারী শ্রমিক নির্যাতনের বড় একটা কারণ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতারণা। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকে বলছেন, দালাল ও রিক্রুটিং এজেন্সির ওপর দায়িত্ব না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় নারী শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলে অবস্থার উন্নতি হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে।

back to top